গল্প/কবিতা লেখা হয়তো অনেকটা সন্তান প্রসবের মতো! গল্প/কবিতা সৃষ্টির জৈবিক প্রক্রিয়াটাও অদ্ভুদ! প্রথমে মাথার কোষে কোষে দৃশ্যাবলী এবং বোধ থেকে ধেয়ে আসে গল্পের শুক্রাণু। তার কিছু কিছু মাথার ভিতরে, যেন সম্ভাবনাময় মাতৃগর্ভে, গেঁথে যায়। চারপাশ থেকে পুষ্টি আসতে থাকে, আসতে থাকে স্বপ্ন ও সম্ভাবনা। মাথার গর্ভে জমে থাকা মহাকালব্যাপী অমিত ডিমগুলির একটি বুকে গেঁথে নেয় নতুন গল্প/কবিতার বীজ। তারপর তারা বেড়ে উঠতে থাকে, বদলে যেতে থাকে। তাদের হাত-পা-চোখ-নাক-হৃদয়-শরীর সৃষ্টি হয়। তারপর এবং তারপর জন্ম নেয় একটি কবিতা, একটি গল্প...।
আহা! অলস আমি। জন্ম দিতে চাইনা। মাথায় ধেয়ে আসে বিষাদের বীজ (বিষাদকে কবিতা করতে ইচ্ছা হয় না), মাথায় ধেয়ে আসে মানুষের কষ্ট (মানুষের কষ্টকে গল্প বানাতে অপরাধ বোধ জাগে), মাথায় ধেয়ে আসে স্বপ্ন-সবুজ (স্বপ্নকে গল্প বানালে ওরা বলে এই পোলা শ্যাষ!!)...
কি আর করবো! একটু ভন্ড হতেই হবে মনে হচ্ছে!
বিষাদ,স্বপ্ন, সম্ভাবনা,প্রেম, মানুষ,সংগ্রাম...এসবের বাইরেতো কেউ কিছু লিখেনি। দেখি কি করা যায়! কতটুকু পারি...! গর্ভাশয় ভরে আছে গল্প/কবিতার বীজে! জন্ম দিয়েই ফেলি?
কি বলেন আপনারা?
একটু সাহস দেন না... ( এই সময়ে জন্ম দেওয়াটা অবশ্যই ভয়ঙ্কর কাজ!)