কে জানে! হয়তো কাঠাল চাঁপার মতো
তীব্র আন্দোলনের সম্ভাবনাময় মূহুর্তে,তোমার,
হয়তো বা তোমার নাক ত্বক চোখ কন্ঠস্বর চেতনা,
অথবা শাশ্বত স্বপ্নে ভরপুর হৃদয় কিংবা মাথা থেকে
উড়ে যাবে নীল চাষিদের বিদ্রোহী লাল কৃষ্ণচূড়ার মতো সাহসের পাখি!
হয়তো বুক জ্বলা মরিচের ঝালের মতো আগুন মাখা কোন বিপর্যয়ের
আদিম পূর্বাভাসে অনিচ্ছায় অথবা সেচ্ছায় উজ্জীবিত হয়ে
তুমি ভুলে যাবে আমাদের একসাথে প্রতিটি সূর্যোদয়ের সুকোমল আলো ছোঁয়ার
দৃঢ় প্রত্যয়ের দৃপ্ত শপথ!!
অথবা
আমাদের প্রেমের প্রাচীন প্রস্তরের মতো কঠিন ভালবাসার মেরুদন্ড
তোমাকে আরো অসীম আকাশের মতো উদার বিপ্লবীর প্রেরণার
সুউন্নত মাথা অথবা ফুঁসে ওঠা গলিত আগুনে পরিনত করবে।
কিংবা হয়তো আমাদের কল্প বাস্তবগুলিকে কালোত্তীর্ন স্থপতির বেহিসেবী নকশায়
আরো ভালভাবে সাজিয়ে নেয়ার সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ইচ্ছায়
তুমি তীব্র হবে মাস্তুল উড়িয়ে নেয়া খেপা হাওয়ার চেয়েও অপ্রতিরোদ্ধ।
যা-ই হোকনা কেন,
আমি স্বপ্নবাজের না পাওয়ার ব্যর্থতাকে
তাচ্ছিল্যে অহংকারের শপথ করে বলছিঃ
আমাদের প্রেমের অপ্রাপ্তিটুকু এক টুকরো পাথরের মতোই সুন্দর,
যখন আমাদের এক হয়ে যাবার সুতীব্র স্বপ্ন আর বাস্তবের মধ্যে
কোন ফাঁড়াক থাকে না।
২৩ ফেব্রু.-২০১৩