প্রথম শ্রীমঙ্গল গিয়েছিলাম ২০১৭ এর শেষের দিকে অফিসের কাজে- তাই কোন কিছুই দেখা হয় নাই তখন। এবার একদম হঠাৎ করেই প্লানটা করে ফেলা। টি ও বি এর শ্রীমঙ্গল সংক্রান্ত কিছু পোস্ট দেখে নিজেই বানিয়ে ফেললাম একটা প্ল্যান। সেই মোতাবেক গত ১ আগস্ট সকাল ৬ টা ৩৫ এর পারাবত এক্সপ্রেস এ রওনা দেই দুটি পাতা ও একটি কুঁড়ির শহর শ্রীমঙ্গল এ
প্রথম দিন- ১-আগস্ট-১৯
ঠিক বেলা ১১ টায় শ্রীমঙ্গল স্টেশন এ পৌছাই। আগে থেকে ঠিক করে রাখা টমটম এর চালক (সাজিদ ভাই- ০১৭৯৯৯৩০৯৭৪) এর সাথে কথা বলে প্রথম দিন কোথায় কোথায় ঘুরবো তা বলে দেই। এরপর সোজা পানসী তে নাস্তা। নাস্তা করে সোজা ভানুগাছ রোডে (শ্রীমঙ্গল থেকে প্রায় ৩ কিঃ মিঃ) চলে যাই। আমরা ছিলাম শান্তি বাড়ি ইকো রিসোর্ট এ। গ্রামীণ আবহে গড়ে তোলা এ জায়গাটিকে আমার শ্রীমঙ্গলে থাকবার জন্য বেশ ভালো মনে হয়েছে। যাই হোক কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। প্রথম দিন যে সব জায়গায় গেলাম-
১। বি টি আর আই (বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউট- খুবই সুন্দর জায়গা)
২। ফিনলে টি এস্টেট (ফিনলের বিশাল বিশাল চা বাগান পুরোটা এক দিনে ঘোরা সম্ভব না। আমরা শুধু কিছু অংশ ঘুরেছি)
৩। লাল পাহাড় (ফিনলে টি এস্টেট এর ভেতরেই অবস্থিত লাল মাটির পাহাড়। পাহাড়ের উপর থেকে ফিনলে টি এস্টেট এর খুব সুন্দর ভিউ পাওয়া যায়)
৪। পাখির চিড়িয়াখানা (সম্ভবত ব্যাক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তোলা বিভিন্ন পাখির সংগ্রহ- শহরের ভেতরেই একটা বাসায় অবস্থিত)
৫। শিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা।
৪। বধ্যভূমি ৭১ (বিকেলের দিকে গেলে খুব ভালো লাগবে)।
দ্বিতীয় দিন-২-আগস্ট-১৯
এদিন আমরা ঘুরলাম-
১। লাউয়াছড়া রিজার্ভ ফরেস্ট। (এখানে আমরা গাইড নিয়ে ১ঃ৩০ ঘণ্টার একটা ট্রেইল করি)
২। খাসিয়া পল্লী (লাউয়াছড়া রিজার্ভ ফরেস্ট এর ভেতরেই)
৩। মাধবপুর লেইক।
৪। নুরজাহান টি এস্টেট।
৫। আদি নীলকণ্ঠ টি কেবিন।
৬। মনিপুরি মার্কেট।
তৃতীয় দিন- ৩-আগস্ট-১৯
দুপুর ১ঃ৪৫ এ ঢাকার বাস ছিল তাই সকাল ১১ টার মধ্যে বের হয়ে দুটি জায়গায় যাই-
১। বাংলাদেশ টি মিউজিয়াম।
২। জান্নাতুল ফেরদৌস মসজিদ।
এরপর দুপুর ১ঃ৪৫ এ ঢাকার বাসে ঊঠে সন্ধ্যা ৬ঃ০০ টায় ঢাকা ফিরে আসি।
যেখানেই ভ্রমণে যান- অবশ্যই পরিবেশ এর প্রতি নজর রাখবেন। যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলবেন না।
হ্যাপি ট্র্যাভেলিঙ