প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি সব আপুদের কাছে। কিন্তু কিছু কথা না বললেই নয়। দয়া করে অন্য ভাবে নিবেন না। যা লিখেছি তা আপনাদের ভালোর জন্যই।
খবরটা নারীর জন্য মোটেও সুখকর নয়। তারপরও খবরটি সত্য। কারণ খবরটি ভিত্তি হচ্ছে বৈজ্ঞানিক গবেষণা। মার্কিন গবেষকরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, লিপস্টিক ব্যবহার নারীকে বুদ্ধিহীন বানাতে ভূমিকা রাখে।
তাই লিপস্টিক যাদের রূপচর্চার নিয়মিত অনুষঙ্গ তাদের জন্য খবরটা খারাপই বলতে হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক তাদের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় মানবদেহে লিপস্টিকের ক্ষতিকারক কিছু ভূমিকার কথাই প্রমাণসহ উপস্থাপন করেছেন। আর গবেষকদের এই দাবি সত্য হলে রূপচর্চার এই উপাদানটির ব্যবহারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে যেসব লিপস্টিকে ক্ষতিকারক সীসার উপস্থিতি রয়েছে সেসব লিপস্টিক ব্যবহারকারীর বুদ্ধিমত্তা আর আচরণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করতে পারে বলেই মনে করছেন এই গবেষকরা। মূলত বোস্টনের একটি প্রতিষ্ঠান যারা মানবদেহে সীসার ক্ষতিকারক বিভিন্ন দিক নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে গবেষণা চালিয়ে আসছেন তাদেরই এক সমীক্ষায় এই বিষয়টি উঠে এসেছে।
এতে নমুনা হিসেবে নেওয়া ২২টি খ্যাতনামা ব্র্যান্ডের লিপস্টিকের উপাদান বিশ্লেষণ করে দেখা যায় এর মধ্যে মোট ১২টি বা শতকরা প্রায় ৫৫ ভাগ লিপস্টিকেই নানা মাত্রায় সীসা রয়েছে। এসব লিপস্টিকে সীসার এই উপস্থিতি পরিমাণগত দিক থেকে খুব সামান্য হলেও তা ব্যবহারকারীর শরীরে জটিলতা সৃষ্টি করতে সক্ষম।
বিশেষ করে ব্যবহারকারী নারীদের মানসিক স্বাস্থ্য ও বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে বোস্টন সীসা বিষক্রিয়া প্রতিরোধ কর্মসূচির চিকিত্সা বিষয়ক পরিচালক ডা. সিন পালফ্রে জানান, সামান্য সীসাও জটিল স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও তা খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, যেসব মায়েরা গর্ভাবস্থায় লিপস্টিক ব্যবহার চালিয়ে যান তাদের ক্ষেত্রে অনাগত সন্তানের দেহেও সীসার এই বিষক্রিয়া প্রভাব রাখতে পারে বলে ধারণা করছেন এই গবেষকরা।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, লিপস্টিকে কতোটুকু সীসা থাকতে পারে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে কোনো নীতিমালা না থাকায় এটি সম্পূর্ণরূপেই এ ধরনের পণ্য নির্মাতাদের উপর নির্ভর করে এবং লিপস্টিক এর স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির বিষয়েও এদের উপরই নির্ভর করতে হয়।
উল্লেখ্য, সীসা লিপস্টিকের কোনো উপাদান না হলেও লিপস্টিকে বিভিন্ন রং ও শেড আনতে যেসব মিনারেল বেসড এডিটিভ ব্যবহার করা হয় সেসব মিনারেলসের কারণেই এতে সীসার উপস্থিতি বৃদ্ধি পায়।