(বয়োবৃদ্ধ ও বয়োকনিষ্ঠদের পোস্টটি এড়িয়ে যাবার অনুরোধ )
(৪)
এবার রমজান আলী শিকার কাজে লাগাতে ভুল করলেন না। রহিমাকে বাংলাদেশে নিয়ে বিয়ে দেওয়ার সুযোগ কাজে লাগানোর এখনি মোক্ষম সময়। মেয়েকে সিদ্ধান্ত জানানোর পর রহিমা বেগম চিন্তা করলো অনেক হ'য়েছে এবার মা- বাবার মতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদশর্ন করতেই হবে। তাই ভেবেচিন্তে সে দেশে গিয়ে বিযে করতে রাজি হলো। মেয়েকে দেশে নিয়ে গিয়ে ডিগ্রি পাশ,বেকার আপন ভাতিজা রাজীবের সাথে বিয়ে দিয়ে দিলেন। নিজের মেয়েকে তো রমজান আলী ভালো করে চিনেন তাই বিয়ের পর পুরো এক বছার মেয়েকে বাংলাদেশে থাকার বন্দোবস্ত করে দিলেন। রাজীবের পরিবার তাদের সামর্থ্যর সবটুকু দিয়ে রহিমা বেগমকে আদর, মায়া মমতা উজার করে দিলেও কিছুতেই তার মন ভরে না। তার মধ্যে সবসময় অতৃপ্তি কাজ করে। রাজীব বলে, যা করলে তুমি খুশি হবে আমি তাই করতে চেষ্টা করবো। তুমি বলো কিভাবে তোমাকে খুশি করতে পারবো! রহিমা বেগম ভাঙা গলায় বলে, ইটস মাই লাক, কোন লাভ নেই, এটা আমার 'ঠেলা-ধাক্কার সংসার'।
কথাটা শুনে রাজীব কষ্ট পেলেও তার কিছুই করার নেই। কারণে বা অকারণে রহিমা বেগম কথায় কথায় শুধু বলে 'ঠেলা-ধাক্কার সংসার। কথাটা শুনতে যতটা তিতা লাগে তার মানে কতটা তিক্ত তা রাজীবের জানা নেই। প্রায় একবছর দেশে থেকে গর্ভে সাত মাসের বাচ্চা নিয়ে রহিমা বেগম লন্ডন ফিরে আসে।
(৫)
লন্ডন আসার কিছুদিন পর পবিত্র রোজার মাসে রহিমা বেগমের কোল জুড়ে একটি প্রিম্যাচ্যুর মেয়ে সন্তান জন্ম নিলো। প্রেগন্যান্সির শেষ দিকে তার শরীরে সুগারের মাত্রা বেশি হওয়াতে ডাক্তাররা নিদিষ্ট সময়ের আগেই ডেলিভারির ব্যবস্থা করেন। রমজান আলীর ছেলে বিয়ে করেছে প্রায় চার বছর আগে কিন্তু এখনো কোন সন্তান নেই। তার ছেলেমেয়েদের মধ্যে এই প্রথম কোন সন্তান এলো। রমজান মাসে বাচ্চাটি জন্ম গ্রহণ করাতে, নানা- নানী আদর করে নাতিনের নাম রাখলেন "রোজা"।
বাবা'কে ছাড়া জীবনের প্রথম ঈদ পালন করে শিশু রোজা। এদিকে রমজান আলী মনেপ্রাণে ভাতিজার ভিসা প্রসেসিং তরান্বিত করতে চেষ্টা করেন। তিনি চান যে কোনো ভাবে কুরবানির ঈদের আগে ভাতিজাকে লন্ডন নিয়ে আসতে। যদিও তার সে আশা পূর্ণ হয়নি। কুরবানীর ঈদের পরপরই রাজীব ভিসার জন্য ডাক পায়। আড়াই বছরের স্পাউস ভিসা নিয়ে সে লন্ডন চলে আসে।
রহিমা বেগম দেশে থাকতে যা একটু আধটু স্ত্রীর মতো আচরণ করতো কিন্তু লন্ডন আসার পর তার ভাবলেশহীন আচরণে রাজীব আহত হলো। তার সংসারে যেন অজানা কালো এক ছায়া যা তাকে প্রতিনিয়ত পুড়াচ্ছে।শীতের রাতে কম্বলের ওম শিরশির হাওয়ার মতো মনে হয় তাই উঞ্চ জলে কখনো সাঁতার কাটতে মন চায়। গঙ্গার কিনারে থেকেও জলের নাগাল পায় না। জলের নীচে শেওলা রূপে ভেসে থাকে মানুষের অবয়ব। খুব আপন করে যাকে পেতে চায় তার মনে ভিন্ন চিন্তা। নিশিপদ্ম কে হাত বাড়ালে সে বলে তার জলাভূমি দিয়ে মাসে পনের থেকে বিশ দিন রক্ত স্রোত বের হয়। এভাবেই নিশিভোর হয় তবুও আলোর দেখা পায় না।
এদিকে তার আদরের মেয়ের শারিরীক দুর্বলতা দেখা দিলে৷ মেয়ে উপর দিকে শুধু চেয়ে থাকে আর রাতে হলে বাবার কোল ছাড়া ঘুমায় না। মা যেহেতু বুকের দুধের বদলে ফিডার মিল্ক খাওয়ায় তাই মেয়ে ক্ষুধার্ত হলে রাজীব তাকে বোতল দুধ মুখে তুলে দেয়। ডাক্তার কনফার্ম করেছে তার মেয়ের এই ভয়ে ভয়ে থাকাটা স্বাভাবিক নয় তাকে তারা অটিস্টিক বাচ্চা হিসাবে মনে ক'রেন। খবরটা শুনে রাজীব কষ্ট পেলো সে ভাবলো ভয়ে ভয়ে তো তার থাকার কথা কিন্তু তার অসুখ কেন মেয়েটাকে পেয়ে বসলো! তাহলে কি বাবার মনের প্রভার বাচ্চা মেয়ের উপর পরে নাকি এটাই নিয়তির কষাঘাত। রাজীব কোন হিসাব মিলাতে পারে না। পৃথিবীর বুকে তার এক টুকরো সুখ তার মেয়ে আর তার অসুখ কতাট পীড়াদায়ক তা কাকে বুঝাবে!
(৬)
রাজীবের লন্ডন আসার প্রায় এগারো মাস হতে চললো। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে কাউন্সিলের একটা ফ্ল্যাটে থাকে। যদিও বাসাটা তিন তলা পযর্ন্ত কিন্তু রাজীবদের বাসা হলো দু'তলার শেষর দিকের কর্ণার ফ্ল্যাট। কাউন্সিল ফ্ল্যাট হওয়াতে মাস শেষে তাদের কোন ভাড়া গুণতে হয় না। রাজীব একটি রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ করে। তার কাজের রুটিন হলো, দুপুর বারটা থেকে দুটা ও বিকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে রাত সাড়ে এগারোটা। সপ্তাহের শেষ দুইশত পঞ্চাশ পাউন্ড বেতন পায় তা থেকে দেশে একশো, স্ত্রীকে একশো ও তার পকেট খরচের জন্য বাকী পঞ্চাশ টাকা রাখে। সপ্তাহে ছয় দিন কাজ করে আর বন্ধের দিন মেয়েকে নিয়ে খেলা করে। তার স্ত্রী সে বেঁচে আছে কি না, তার খুব একটা খবর রাখে না। খুব প্রয়োজন হলে সংক্ষেপে আলাপ আলোচনা সারে। এই যেমন প্রতিদিন কাজ শেষ করে ফ্ল্যাটের নিচে এসে ফোন বা কলিং বেল দিলে সে ইন্টারকম দিয়ে মেইন দরজা খুলে দেয়। রাজীব কত করে বললো একটা আলাদা চাবি বানিয়ে দাও কিন্তু সে বলে কাউন্সিলের চাবির কোন ডুপ্লিকেট কপি হয় না। রাজীব প্রতিদিনকার মতো আজও কাজের উদ্দেশ্য রওয়ানা দিলো। রাস্তায় বের হয়ে দেখে অনেক ছেলেমেয়ে ফুল হাতে একে অন্যকে জড়াজড়ি করছে যদিও তা নতুন কিছু নয় তবে আজ এত মানুষের হাতে ফুল দেখে সে ভাবলো কোন বিশেষ দিন কি না ! মোবাইল ক্যালেন্ডারে চেয়ে দেখে আজ চৌদ্দ ফেব্রুয়ারি, আজ নাকি ভালোবাসার দিন, দেশে এমন দিনে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা আর এদেশে কাজের জন্য যাত্রা। রেস্টুরেন্ট গিয়ে দেখে সাংঘাতিক অবস্থা, সামনের দরজায় নোটিশ টাঙানো ও রেড সিল তাতে বড় করে লেখা "প্রবেশ নিষিদ্ধ"। অন্য কলিগসহ সকলের কাছ থেকে জানতে পারলো একটু আগে এনভায়রনমেন্ট হেলথ অফিসার ভিজিট করে রেস্টুরেন্টের স্টোর রুমে ইঁদুরের উপস্থিতি দেখতে পান। যার ফলে এক সপ্তাহের জন্য রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দিয়েছে।
গাবনার ( মালিক) বলে দিয়েছে সবাইকে বাসায় ফিরে যেতে এবং একসপ্তাহ পর কাজে যোগ দিতে। হঠাৎ কাজের থেকে ছুটি পেয়ে রাজীব একগুচ্ছ লাল গোলাপ ও এক পকেট চকলেট কিনে বাসার দিকে রওয়ানা দিলে। হাজার হোক স্ত্রীকে বিশেষ কোন দিন উপহার দিয়া দায়িত্বশীল পুরুষের কাজ। ঘরের সামনে গিয়ে দরজা খোলার জন্য স্ত্রীকে ফোন দিবে এমন সময় উপরের তলার একটা ছেলে বের হয়ে আসতেই সে ভেতর ঢুকে পরে। তার ঘরের সামনে যাওয়ার সাথে ভেতর থেকে চাপা গোঙানির আওয়াজ শুনতে পেলো। হেঁটে হেঁটে আসার পর শরীর যতটুকু গরম হয়েছিলো মুহুর্তেই তা একশো গুণ ঠান্ডা হয়ে গেলো। স্পষ্ট একটা পুরুষের সাথে রাহিমার রঙলীলা দেখতে পেলো। হাতের টাটকা গোলাপ ফুলগুলো তার শরীরের ঠান্ডায় যেন নুয়ে পড়লো। ধীরপায়ে ফ্লাট থেকে নেমে নীচের ডাস্টবিনে ফুল ও চকলেট ফেলে দিয়ে বাসার পিছনের দিকে গেলো। গাছে চড়ার কৌশল তার জানা আছে। জীবনে কখন কোন কৌশল কাজে লাগে তা কে জানে। ফ্লাটের পাইপ বেয়ে সে দুতলার বেলকনিতে দাঁড়িয়ে তার বেডরুম স্পষ্ট দেখতে পেলো। মাথার চুল ছিঁড়ে হাতের তালুতে রেখে দেখলো সে সত্যি দেখছে। ছোট বেলায় ভি,সি,আর ভাড়া করে বেদের মেয়ে জোসনা দেখার সময় বন্ধুরা মিলে যে ইংলিশ নীল ছবি দেখছিলো আজ তা সরাসরি পর্দার ফাঁক দিয়ে দেখছে। এ ঘোড়দৌড় যেন শেষ হয় না। অবাক হলো রহিমা যে কালো ছাইয়ের মতো ঘোড়ার সওয়ার তার চেয়ে কয়েকগুণ ভালো চেহারা তো রাজীবের। বিকাল সাতটা থেকে রাত এগারোটা পনের মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে মাটিতে পড়ে যাবার অবস্থা আর এদিকে রহিমার তামাশা শেষ হয় না। এবার সে আস্তে করে নীচে নেমে গেলো। রাত সাড়ে এগারোটার দিকে একাটা সাদা বি,এম ডব্লিউ দিয়ে সে চলে গেলো। হাতের মোবাইল দিয়ে গাড়ির প্রাইভেট নাম্বার প্লেটের (HD10LAR)ছবি তুললো। সাথে সাথে মনে তার হলো, যদি আজকের ঘটনা ভিডিও করতাম তবে তো প্রমাণ থাকতো। একটু পরে সে বেল দিয়ে ঘরে ঢুকলো। রহিমার আচরণ প্রতিদিনের মতো স্বাভাবিক মনে হলো । সারারাত এক মুহূর্তের জন্য রাজীবের চোখে ঘুম এলো না। সকালে কাজে যাবার কথা বলে তার শালিকার কাছে গিয়ে নাম্বার প্লেটের লোকটাকে চিনে কি না জানতে চাইলো,সে বললো ও তো আপুর ছোটবেলার বন্ধু হেডলার। তার সাথে মেলামেশা তো স্বাভাবিক, এটা কোন ইস্যু হলো নাকি!
বোনের এমন কথা শুনে সে বাকরূদ্ধ হয়ে পড়ে। তারপর রহিমার বড় ভাইয়ের কাছে গিয়ে এ ব্যাপারে বললে সে বাংলা- ইংলিশ মিলে যা বললো তা হলো, ইটস নরমাল,সি কেন হেভ এ বয়ফ্রেন্ড ! এতে দোষের কি!
নাহ সব দোষ আমার এই চিন্তা করে সে একটা ইলেকট্রনিকস দোকানে গিয়ে রেকর্ডিং ক্যামেরা কিনে বাসায় ফিরলো। ঘরের ওয়ারড্রবের পাশে গোপন ক্যামেরা বসিয়ে রেখে বিকালে কাজের উদ্দেশ্য বের হয়ে গেলো। যেহেতু কাজে এক সপ্তাহের বন্ধ তাই ঘর থেকে কিছুদূর গাছের আড়ালে বসে আকাশ দেখছিলো, সে এবার কার কাছে তার অভিযোগ দিবে! নাকি সব মাটিতে যেমন ফসল হয় না তেমনি সব অভিযোগের কোন ফলাফল হয় না ! যেদিকে গাড়ি দেখে সবগুলো তার একই নাম্বার প্লেট (HD10LAR) ভেসে আসে। তার কি তবে দৃষ্টি ভ্রম হয়ে গেলো। সন্ধ্যা নামার সাথে ভাবলো বেলকনির দিকে যাই, সেখানে গিয়ে দেখে ওরা বেলকনিতে পাশাপাশি বসে সীসা টানছে। এমন দৃশ্য দেখে আফসোস হলো যদি স্বামী হিসাবে এমন বিরল ভালোবাসা উপভোগ করতে পারতাম ! যদিও তারা ঘন্টা খানিক পরে ভেতরে চলে গেলো কিন্তু রাজীব আজ আর বেলকনিতে গেলো না।
এভাবে প্রতিদিন সন্ধায় হেডলার আসে আর রাজীব নীচ থেকে দেখে যায়। ছয়দিন পর ক্যামেরাটা নিয়ে দেখে প্রতিদিন কালো ছেলেটার সাথে তার স্ত্রী অবৈধ মেলামেশা করছে অথচ তাকে সে বিয়ের পর থেকে বলে আসে তার নাকি পিরিয়ড সমস্যা। কঠিন ইংলিশ নাম শুনতে শুনতে তার প্রায় মুখস্থ হয়ে গেছে। এটি নাকি perimenopausal periods যা হলে মেয়েদের মাসে পনের থেকে বিশ দিন রক্তস্রাব হয়ে থাকে। আর ওর সাথে প্রতিদিন মাস্তি করতে তার কোন অসুখ নেই। কার কাছে এসব বলবে আর কি বা লাভ! সিদ্ধান্ত রাজীবকে নিতে হবে, সে কি চলে যাবে তাহলে অটিস্টিক শিশুটির কি হবে, তার ভিসা শেষ হয়ে গেলে তো ওভারস্টেয়ার হয়ে যাবে, এখন কি করবে!এই একটাই চিন্তা! কাল থেকে আবার কাজে যেতে হবে।
শেষ পর্ব
----------
রেকর্ডিংয়ের একটি সংলাপ শুনে রাজীব আর স্থির থাকতে পারলো না। তাহলে মেয়েটির এ পরিণতির জন্য রহিমা বেগম দায়ী। সাত মাসের গর্ভের শিশু যেখানে সব শুনতে পায় সে অবস্থায় রহিমার শারিরীক মেলামেশা আজকের ছবির মতো নিস্পাপ মেয়েটা বয়ে বেড়াচ্ছে। কি বেহায়ার মতো বলে, সেক্স ইন প্রেগন্যান্ট সিচুয়েশন ইজ ব্রিলিয়ান্ট। আর পশুরা জানে না যার ফলাফলে আজকে তার মেয়েটি বিকলাঙ্গ।
রাজীব যখন মেয়ের নিস্পাপ মুখের দিকে তাকায় আকাশের গুমোট মেঘ তার মনে ভর করে। ছোট্ট মেয়েটা রাত হলে বাবার বুকে এসে শুয়ে পরে আর বাবাহীন সে কার বুকে ঘুমাবে। বাবা চলে গেলে মেয়েটি কি আদৌ ঘুমাতে পারবে! এসব ভাবনা থেকে নিজের অজান্তেই দু'চোখ জুড়ে বাঁধ ভাঙা জোয়ার উপচে এলো।
মানুষ নামক জীব যে এতটা জঘন্য জানোয়ার, হিপোক্রেট, ভন্ড হতে পারে এই প্রথম সে বুঝলো। সে অনুধাবন করলো, যে হিপোক্রেসি বা ভণ্ডামি করে তার লাজলজ্জা ও বিবেক বলতে কিছুই নেই।
গাড়ি,জাহাজ কিংবা প্লেনের ইঞ্জিন যেমন ঠেলা ধাক্কা দিয়ে চলে না তেমনি মানব দেহে সংসার নাম ইঞ্জিন ঠেলা-ধাক্কা খেয়ে বেশি দিন টিকতে পারে না। রহিম বেগমের কাছে যা ঠেলা-ধাক্কার রাজীবের কাছে তাই হিপোক্রেসি বা ভণ্ডামি।
সে রেকর্ডিংয়ের কপি চারটি খামে ভরে, রহিমা, তার বাবা, ভাই ও বোনের কাছে দিয়ে অজানার উদ্দেশ্য ছুটলো।
রহিমা ও রাজীব হয়তো খুজে পাবে সুখের দেখা কিন্তু রোজা নামক নিস্পাপ শিশুর জীবনে কখনো মা-বাবার মুখ দেখে আসবেনা ঈদের খুশি।
(সমাপ্ত)
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০১৯ সকাল ৭:৫৮