(দয়ালু আল্লাহর নামে)
হে চাদরে আবৃত প্রিয় মুখ!
ইবাদতের উৎকৃষ্টতায় রাত্রিতে করো দৃঢ় সংকল্প,
হতে পারে তা রাতের অর্ধাংশ তার বেশি বা অল্প।
মহাগ্রন্থে মনোনিবেশ করে সুবিন্যস্ত ও স্পষ্টতায়,
জগৎবাসীর জন্যে হেদায়েতের উৎকৃষ্ট সান্ত্বনায়।
গভীর রাত্রিতে জাগরণ মানুষের অতি প্রতিকূল,
যদিও তা বৃত্তি দলনে সহায়ক;হৃদয়ঙ্গমে পরম অনুকূল।
খোরাকের নিমিত্তে পার্থিব জীবন কাটে;দীর্ঘ কর্মব্যস্ততায়,
পরকালের আশায়;রাত্রিতে মগ্ন হও খোদার স্মরণসভায়।
উদয়াচল ও অস্তাচলের হর্তাকর্তা,উপাস্য মাতৃকায়,
অধিপতি মেনে নেই তাকে সকল কর্মক্ষমতায়।
অবিশ্বাসীর উপহাস্য;ধৈর্য্যর সাথে করো পরিহার,
বিত্ত-বৈভবের বিলাসিরা পাবে সাময়িক মনিহার।
মজুদ আছে শিকল ও অগ্নিকুন্ড,গলগ্রহ শাস্তির মর্মন্তুদ,
সেদিন পৃথিবী প্রকম্পিত আর পর্বতসমূহ হবে বহমান বালুকাস্তুপ।
এমনি করে শান্তির দূত এসেছিলো ফেরাউনের জীবদ্দশায়,
সীমালংঘনে হলো সলিল সমাধিস্থ;নিজ দাম্ভিকতায়।
অস্বীকার করে কি সম্ভব কোন ভাবে আত্নরক্ষা!
সেদিন আকাশ বিদীর্ণ,যুবা হবে বৃদ্ধ;এটাই রবের প্রতিজ্ঞা।
একাত্মবাদ মেনে যে হয় অধীকর্তার পথে সর্বোপরি অধীনত,
রাত্রির দুই তৃতীয়াংশ,বা অর্ধাংশ ও তৃতীয়াংশ হয় ধ্যানে অবনত।
দিবস ও রজনীর কঠিন হিসাব স্বয়ং পালনকর্তার,
কুরআন আবৃত্তির দায় বর্তায় একান্ত সক্ষমতার।
কেউবা অসুস্থ কেউবা দেশান্তরী আর কেউ রপ্ত সংগ্রামী সংকটে।
ক্ষমাপরায়ন প্রভু চান কুরআন আবৃত্তি সহজতর ও নিঃসংকোচে।
প্রফুল্ল চিত্তে করি নামায কায়েম,যাকাত প্রদান ও আত্মার সুখের উত্তম ঋণ অগ্রভাগে,যার নিমিত্তে বর্ধিত পুরস্কার,
ক্ষমাশীল রবে করি প্রার্থনা ক্ষমার;নিয়ামত দেন যিনি পরিশুদ্ধরতার।
(সূরা আল-মুজাম্মিলের ছায়া অবলম্বনে)
পটভুমি - হুজুরের নবুয়তের প্রথম যুগে কাফিরেরা একত্রে বসে তার জন্য মন্দ উপাধি নির্ধারণ করার পরামর্শ করলো - অতঃপর কেউ গণক,কেউ উম্মাদ,কেউ যাদুকর বলতে লাগলো কারণ তিনি বন্ধু হতে বন্ধুকে বিচ্ছিন্ন করে দেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এতে দুঃখিত হয়ে চাদর মুড়ে শুয়ে পড়েন তখন তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য আল্লাহ স্নেহের সঙ্গে সম্বোধন করেন হে চাদরে আচ্ছাদন কারী।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:১৮