সম্প্রতি পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বইমেলা উৎসব নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। বইমেলায় বিপুল পরিমাণ বই থাকলেও সর্বমোট ৩৫ টি বই বিক্রি হয়েছে যা অস্বাভাবিক ঘটনা হিসাবে বলছেন আয়োজকেরা।
বিভিন্ন সূত্র মতে, লাহোরে বইমেলায় ১২০০ টির বেশি শর্মা এবং ৮০০ প্লেট বিরিয়ানি বিক্রির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাহিত্য অনুরাগীরা। যারা বইমেলায় গিয়েছিলেন তারা বইয়ের তুলনায় মুখরোচক খাবারের সন্ধান বেশি করেছিলেন।
পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর, লাহোরকে পাকিস্তানের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বলা হয়। ঐতিহাসিকভাবে জনপ্রিয় এবং সাহিত্যিক কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল এই শহর। এমনকি সাদাত হাসান মান্টো এবং ফয়েজ আহমেদ ফয়েজের মতো বিখ্যাত লেখক এই শহরেই জন্মগ্রহণ করেন। আর আজ সেই লাহোর শহরেই বইমেলার এমন দুর্দশা, পাঠকদের মধ্যে বই না পড়ার এমন প্রবণতা, সারা বিশ্বে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া ex ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন যে বেশিরভাগ পাকিস্তানিই বই পড়ায় আগ্রহী নন। অপর একজনের মতে, 'করাচিতে এই মেলা বসলে হয়ত ভালো সেল হতো। আসলে বইগুলোর দামও তো একটি কারণ। এক প্লেট বিরিয়ানির দাম ৪০০-৫০০ টাকা বা হয়ত তারও কম। কিন্তু একটি উপন্যাস কিনতে গেলে খরচ হতে পারে ১০০০ থেকে ৪০০০ টাকা। একজন আবার অন্য হিসাব দিয়ে লিখেছেন যে 'একটি বইয়ের দাম ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। যেখানে বিরিয়ানি এবং শর্মা প্রায় ১০০ টাকা দিলেই পাওয়া যায়। তাই তাঁর কখনও বই কেনার ইচ্ছা হলে, সেকেন্ড হ্যান্ড বইয়ের দোকানে গিয়ে বই কিনে আনেন। নানান রকমের বই অনেক সস্তাতেই পাওয়া যায়।
এই ঘটনাকে পাকিস্তানে সাহিত্য এবং সংস্কৃতির সংকট হিসাবে দেখছেন পাকিস্তানের কবি সাহিত্যিক সমাজ। ধর্মীয় গোঁড়ামি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, মানুষের কাছে টাকা না থাকাকে দায়ী করেছেন তারা।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:০৭