somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে?

২১ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সারাবিশ্বে বাঙালি জাতি উদার,অতিথিপরায়ণ জাতি হিসাবে সমাদৃত হলেও তাদের চরিত্রের এক ভীষণ দূর্বলতা রয়েছে।তা হইলো গিয়া 'অতিকথন'।আমরা কাজের চেয়ে কথায় অধিক পারদর্শী।আমাদের মুখ হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ংকর অস্ত্র যা দিয়ে এমন সব কথা বলি যার কারণে হয়তো ভবিষ্যতে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ ঘটতে পারে। রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায় হতে শুরু করে চা দোকানদার মজনু মিয়া সবাই বড়ো কাজের প্রতিশ্রুতি দেন কিন্তু কাজের সময় তার প্রতিফলন দেখা যায় না।কয়েকজন ব্যাক্তির উদাহরণ দেখা যাক:
১-শেখ হাসিনা:উনাকে বিশ্রী কথার উপর পিএইচডি ডিগ্রী দেয়া যাইতে পারে৷ তিনি বাংলাদেশ কে সিংগাপুর বানাইতে চান কিন্তু কাজকর্মে তিনি লুটেরা ঔপনিবেশিক শক্তিকে হার মানিয়েছেন।
২-ওবায়দুল কাদের:নোয়াখালীর বুকে এক টুকরো কলঙ্ক এই মানুষটি লেপন করে গিয়েছেন। উনার বাচনভঙ্গিতে রাজনীতিবিদ থেকে কমেডিয়ান ভাব বেশি প্রকাশ পেত। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য শেখ হাসিনাকে সহযোগিতার চেয়ে ডুবিয়েছেন বেশি এই লোক।
৩-মুহাম্মদ ইউনূস:উনাকে স্বল্পভাষী মানুষ হিসাবে জানতাম এবং সারাবিশ্বে যারা নিত্য নতুন আইডিয়া প্রদানের মাধ্যমে পৃথিবীটাকে সুন্দর করে যাচ্ছেন তাদের একজন ভাবতাম।অনেক আশা নিয়ে দেশের মানুষ উনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছেন।ক্ষমতায় বসার পর থেকেই তিনি অতিকথন শুরু করে দিয়েছেন। জাতির মীমাংসিত বিষয় নিয়ে উনার বক্তব্য দেশের মানুষ ভালো ভাবে দেখছে না। অথচ উনার কাছে প্রত্যাশা ছিলো বৈষম্য দূর করার মশাল হাতে তিনি সবার সম্মুখ যোদ্ধা হবেন।
৪-আসিফ নজরুল: এই লোক শুরু থেকে প্রশ্নবিদ্ধ। নিজেকে সকল কাজের কাজী ভাবেন।ডিম কমানোর জন্য তিনি কখনো মুরগী হতে চান,কখনো ট্রাফিক পুলিশ হতে চান, আবার কখনো বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী হতে চান।তিনি তার নিজের পকেটের টাকায় গবেষণা করে বিগত ১৫ বছরে প্রমাণ পেয়েছেন ভারতের ২৬ লাখ লোক বাংলাদেশে কাজ করে। এই জন্য নাকি দেশের ২৬ লাখ বেকার রয়েছে। সুযোগ সন্ধানী এই মানুষটি কিভাবে যেন দেশের ক্ষমতার অংশ হয়ে গেলেন ৫ই আগস্টের পর থেকে। আগে তিনি ভারত খেদাও,বয়কট আন্দোলন কে সমর্থন হিসাবে ভারতের থেকে আমদানি করা ডিম খেতেন না,ভারতের তৈরী কোনো পণ্য যাতে বাংলাদেশের মানুষ ব্যবহার না করে তার জন্য মানুষকে মোটিভেট করতেন। এখন তিনি ক্ষমতায় গিয়ে ২৬ লাখ ভারতীয় দের তাড়াতে পারছেন না, ডিম আমদানি ছাড়া দাম কমাতে পারছেন না।কথা এবং কাজের কোনো মিল নাই।
৪- নাজমুল হাসান শান্ত:বাংলাদেশের বর্তমান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক!তার মাঠের পারফরম্যান্স যাই হউক না কেনো প্রেস কনফারেন্সে সে রয়েল বেঙ্গল টাইগার। সাংবাদিক দের নানা ধরণের কঠিন মন্তব্য করে ঘায়েল করেন কিন্তু মাঠে খেলেতে গেলে ডাব্বা মারেন।
৫-বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়: ইহারা কঠিন চিজ মাইরি। বৃষ্টি যেদিকে হয় তারা সেদিকে ছাতা ধরেন। ৫ই আগস্টের পূর্বে বাংলাদেশের বিশাল হাতি গর্তে পড়ার পিছে তাদের ছিটেফোঁটা অবদান আছে। এই প্রজাতি এক ধরণের বিশেষ কাগজের প্রতি বরাবর দূর্বল । তারা সেমিনার আয়োজন করেন বিভিন্ন দলের টাকায় এবং নিজেরা সেই দলের পক্ষ হয়ে অন্য দলকে ঘায়েল করেন তাদের বুদ্ধি দিয়ে। বাট দেশের জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তারা কিছু করেন না।
৬-বাংলাদেশের ভিখারি সম্প্রদায় :রাস্তা ঘাটে যারা ভিক্ষা করেন তাদের কথা বলছি না।বিশেষ এক শ্রেণির ভিক্ষুক আছেন যারা সংগঠিত। তারা বিভিন্ন মতবাদের অনুসারী। সেই মতবাদ আবার নিজেদের নয়।কোনো এক ক্ষণজন্মা হয়তো পৃথিবীটাকে সুন্দর করার জন্য বিভিন্ন ধারণাকে কাজে লাগিয়েছেন। এখন ভিখারি সম্প্রদায় সে মতবাদ না বুঝে মুখস্থ করেন এবং সমাজে তা প্রয়োগ করার চেষ্টা করেন না।এই মতবাদ কে পুজি করে তারা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন এবং সেখানে সেই মতবাদের শিক্ষাদানের মাধ্যমে নিজেদের পেট চালান। যারা তাদের পেট চালানোর ব্যবস্থা করেন তারাই এই ভিখারিদের কাছে প্রিয় পাত্র৷ হউক সে সুদখোর,রাজাকার,মেয়েবাজ,দূর্নীতিবাজ।
৭-মজনু মিয়া :এই লোক দেশের নিম্নবিত্ত শ্রেণির প্রতিনিধি হলেও তার মধ্যেও অতিকথন দেখা যায়৷ নানা ধরনের রঙীন স্বপ্ন দেখিয়ে মজনু মিয়া এক মেয়ে কে প্রেম করে বিয়ে করে। বিয়ের পর মেয়ে দেখে মজনু মিয়ার আসলে নিজের বলতে তার দেহ, দুইটা লুঙ্গি,দুইটা শার্ট ছাড়া নিজের বলতে কিছু নেই। তারপর ও মজনু মিয়া রাতের বেলায় মেয়ের কাছে যাওয়ার লোভে গল্প বানায়,স্বপ্ন দেখায় নানা ধরণের প্রতিশ্রুতি দেয়। সকাল হলেই সব কথা ভুলে যায়।
উপরের সব শ্রেণির মানুষের উদ্দেশ্য কুসুম কুমারী দাশ বলে গিয়েছেন :
আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে?
কথায় না বড়ো হয়ে কাজে বড়ো হবে।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ড: ইউনুসের গ্রহনযোগ্যতা এখনো আছে, বাড়ছে, নাকি কমছে?

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:১৪



দেশের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ শেখ হাসিনার সরকারের বিপক্ষে ছিলো; উহার পতন হয়েছে; মানুষ উৎসাহিত হওয়ার কথা; আপনারা ৩ মাস পর কি দেখছেন? উৎসাহ আছে, বাড়ছে, নাকি... ...বাকিটুকু পড়ুন

দৃষ্টি আকর্ষন।

লিখেছেন সামহোয়্যারইন ব্লগ টিম, ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:২২

প্রিয় ব্লগার,

একজন নারী ব্লগারকে ক্রমাগত ইঙ্গিতপূর্ণ ও অশালীন মন্তব্য করার জন্য সুপরিচিত ব্লগার এবং কবি সেলিম আনোয়ারের ব্লগিং সুবিধা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। লিখিত সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এবং প্রমাণের ভিত্তিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনে কত অদ্ভুত ঘটনা দেখে ফেললাম !

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:৩৫



শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার এমন সব কিছু দেখতে পাচ্ছি যা কোন দিন দেখবো বলে আশাও করি নি। শেখ হাসিনা এভাবে যে পালিয়ে যাবে এটাই যে আমি কোন দিন দেখব... ...বাকিটুকু পড়ুন

কবিতা : আযান

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৮:১৭


কে ওই শোনাল মোরে আযানের ধ্বনি।
মর্মে মর্মে সেই সুর, বাজিল কি সুমধুর
আকুল হইল প্রাণ, নাচিল ধমনী।
কি মধুর আযানের ধ্বনি!
আমি তো পাগল হয়ে সে মধুর তানে,
কি যে এক আকর্ষণে, ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেক মুজিব সুটকেস গুছিয়ে পাকিস্তান চলে গিয়েছিল তাজউদ্দিনকে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে বলে!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৮



সেক মুজিব সুটকেস গুছিয়ে পাকিস্তান চলে গিয়েছিল দেশকে ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ট বিপদে রেখে। তাজউদ্দিন সাহেবকে বলেছিল নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে। মেজর জিয়ার উই রিভোল্টের হাত ধরে যে যুদ্ধের শুরু, সে যুদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×