somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টলস্টয়ের গল্প: তিনটি প্রশ্ন, এবং পাঠ প্রতিক্রিয়া

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



স্কুলে আমাদের ইংরেজি বইয়ের পাঠ্যসূচিতে ছিল টলস্টয়ের তিনটি প্রশ্ন নামের গল্প।গল্পটি এরকম।
এক রাজার মনে তিনটি প্রশ্ন জাগলো। প্রথম প্রশ্ন- কোন কাজ করার সঠিক সময় কোনটি?  দ্বিতীয় প্রশ্ন- কোন মানুষকে সবচাইতে প্রাধান্য  দেয়া দরকার? তৃতীয় প্রশ্ন - কোন কাজের প্রতি সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেয়া দরকার।

রাজা তার প্রশ্নগুলির উত্তর পেতে খুব ব্যগ্র হলেন। তিনি রাজ্যময় ঘোষণা করে দিলেন, যে তার এই তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে তাকে তিনি অনেক পুরষ্কার দেবেন। পুরষ্কারের কথা শুনে দলে দলে পন্ডিতেরা এলেন তাদের জবাব নিয়ে, কিন্তু তাদের একেকজনের জবাব একেক রকম হল। প্রথম প্রশ্নের জবাবে একদল পণ্ডিত  বললেন, দিন-মাস-বছরের একটা তালিকা করে নিতে হবে, তারপর সেটা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। একমাত্র এই পদ্ধতি অনুসরণ করেই কোন কাজ করার ঠিক সময় জানা যাবে। আরেক দল পন্ডিত বললেন, এভাবে ঠিক সময়ের অপেক্ষা করতে গিয়ে অনেক সময় নষ্ট হবে, তাই যতরকম কাজ সামনে আসে সব করতে হবে, করতে করতেই ঠিক করতে হবে কোন কাজ কখন করতে হবে। আরেক দল বললেন যে একজন মানুষ একা কখনওই প্রতিটা কাজ করার ঠিক সময় নির্ধারণ করতে পারবে না, যতই চেষ্টা করুক। তাই জ্ঞানী ব্যক্তিদের নিয়ে একটা পরিষদ করা হোক, তারা প্রতিটা কাজ যাচাই করে ঠিক করবেন কোন কাজ কখন করতে হবে। আরেক দল বললেন, এমন অনেক কাজ আছে যা করার ব্যাপারে  তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেবার প্রয়োজন হয়, সেখানে পরিষদ যাচাই বাছাই করার কোন অবকাশ পাবেন না। কিন্তু এমন তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত  নিতে গেলে আগে থেকে জানা দরকার সামনে কি কাজ আসছে। তাই দরকার একদল ভবিষ্যৎ বক্তা, যারা আগে থেকেই ভবিষ্যৎবানী করে জানাবেন সামনে কি কাজ আসছে।

দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরও একেক দল একেকরকম দিল। কেউ বললেন রাজার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হওয়া উচিত তার পারিষদরা, কেউ বললেন, যাজকেরা। কেউ বললেন, ডাক্তাররা আবার কেউ বললেন যোদ্ধারা। তৃতীয় প্রশ্নের জবাবে কেউ বললেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল বিজ্ঞানচর্চা, কেউ বললেন যুদ্ধবিদ্যায় নৈপুণ্য অর্জন করা আবার কেউ বললেন ধর্মকর্ম করা।

এই রকমারি উত্তরের কোনটাই রাজার মনঃপূত হল না, তাই কাউকেই পুরষ্কার দিলেন না। রাজার রাজ্যে জংগলে থাকতেন এক সন্ন্যাসী। জ্ঞানী বলে সন্ন্যাসীর খ্যাতি ছিল। রাজা ঠিক করলেন তার তিনটি প্রশ্ন নিয়ে সন্ন্যাসীর কাছে যাবেন। এই সন্ন্যাসী কেবল সাধারণ মানুষের সাথে দেখা করতেন। তাই রাজা সাধারণ মানুষের  পোষাক পরলেন, নিজের ঘোড়া আর দেহরক্ষীকেও সন্ন্যাসীর বাড়ীর কিছুদূরে ছেড়ে দিয়ে একা সন্ন্যাসীর বাড়ীতে গেলেন। রাজা দেখলেন সন্ন্যাসী একটা কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ছেন। রাজাকে দেখতে পেয়ে সন্ন্যাসী সম্ভাষণ জানালেন, তারপর তার কাজ চালিয়ে যেতে লাগলেন। রাজা দেখলেন সন্ন্যাসী রুগ্ন ও দুর্বল, খুব অল্প করে কোপাচ্ছেন আর হাঁপাচ্ছেন। রাজা সন্ন্যাসীকে বললেন, "হে জ্ঞানী সন্ন্যাসী, আমার তিনটি প্রশ্নের উত্তর পাবার আশায় আমি আপনার কাছে এসেছি। আমার প্রথম প্রশ্ন, কোন কাজ করার ঠিক সময় কী? দ্বিতীয় প্রশ্ন, কোন মানুষ আমার জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ,অর্থাৎ কার প্রতি আমার সবচাইতে মনোযোগ বেশি দেয়া দরকার? তৃতীয় প্রশ্ন, সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে আমার কোন কাজ করা উচিত?" সন্ন্যাসী মনোযোগ দিয়ে রাজার প্রশ্ন শুনলেন, কিন্তু কোন উত্তর না দিয়ে মাটি খোঁড়ার কাজ করতে লাগলেন। রাজা বললেন, "আপনি ক্লান্ত, আপনি বিশ্রাম নিন ততক্ষন আমি কাজ করি।" সন্ন্যাসী রাজার হাতে কোদাল দিয়ে ওই জমিতেই বসে পড়লেন। একটানা কাজ করে রাজা দুইখন্ড জমি খুঁড়ে ফেললেন, তারপর আবার সন্ন্যাসীর কাছে তার প্রশ্ন জানালেন। এবারো সন্ন্যাসী উত্তর দিলেন না, বরং উঠে দাঁড়িয়ে কোদালের জন্য হাত বাড়ালেন। বললেন, "এবার আপনি বিশ্রাম নিন, আমি জমি তৈরি করছি।" কিন্তু রাজা তাকে কোদাল দিলেন না, বরং আবার মাটি কোপাতে লাগলেন। আরো দুই ঘন্টা পার হল, বনের গাছের আড়ালে সূর্য অস্ত যেতে লাগল। অবশেষে রাজা কোদাল মাটিতে গেঁথে দিয়ে সন্ন্যাসীকে বললেন, "হে জ্ঞানী মানুষ, আমি আপনার কাছে এসেছিলাম আমার প্রশ্নের উত্তর জানতে, যদি আপনি উত্তর না দিতে চান তবে বলে দিন, আমি চলে যাই।" সন্ন্যাসী বললেন, "কে যেন এদিকে আসছে।" রাজা ঘুরে দাঁড়িয়ে দেখলেন বনের ভিতর থেকে একজন দাড়িওয়ালা লোক তাদের দিকে ছুটে আসছে। লোকটা দুহাত দিয়ে তার পেট চেপে রেখেছে, হাতের আংগুলের ফাঁক দিয়ে রক্তস্রোত বইছে। রাজার কাছাকাছি এসেই লোকটা অস্ফুট আর্তনাদ করে অজ্ঞান হয়ে গেল। রাজা আর সন্ন্যাসী লোকটাকে পরীক্ষা করে দেখলেন তার পেটে একটা গভীর ক্ষত, সেটা থেকে ক্রমাগত রক্ত বের হচ্ছে। রাজার একটানা শুশ্রূষা করলেন তাকে, ফলে অবশেষে রক্তপাত বন্ধ হল, লোকটার জ্ঞান ফিরে এল। পানি খেতে চাইলে রাজা গিয়ে তার জন্য শীতল পানি নিয়ে এলেন। ততক্ষণে সন্ধ্যা নেমেছে, তাই রাজা সন্ন্যাসীর সাহায্যে আহত লোকটিকে সন্ন্যাসীর কুটিরে বয়ে এনে বিছানায় শুইয়ে দিলেন। সারাদিনের ধকলে রাজা পরিশ্রান্ত ছিলেন, তাই তিনি ঘরের মেঝেতে গুটিসুটি হয়ে যেই শুলেন অমনি এমন গভীর ঘুমে ঘুমিয়ে গেলেন যে সারা রাত কেটে গেল।

ঘুম ভেংগে রাজা প্রথমে মনেই করতে পারলেন না তিনি কোথায় আছেন, আর তার দিকে জুলজুল করে তাকিয়ে থাকা এই লোকটিই বা কে। রাজাকে চোখ মেলে তাকাতে দেখে লোকটি দুর্বল গলায় বল্ল, "আমাকে ক্ষমা করুন।" রাজা বললেন, "আমি তো আপনাকে চিনিই না, ক্ষমা করার কথা আসছে কেন?" লোকটি বল্ল, "আপনি আমাকে চেনেন না, কিন্তু আমি আপনাকে চিনি। আমি আপনার সেই শত্রু যার ভাইকে আপনি ফাঁসি দিয়েছিলেন আর যার সম্পত্তি আপনি কেড়ে নিয়েছিলেন। তাই আমি প্রতিশোধ নেবার প্রতিজ্ঞা করি। আমি জানতাম আজ আপনি সন্ন্যাসীর কাছে যাবেন, তাই আপনাকে হত্যা করার জন্য আমি লুকিয়ে অপেক্ষা করতে থাকি। কিন্তু দিন শেষ হয়ে এলেও আপনি ফিরে এলেন না দেখে আমি যেখানে ওৎ পেতে ছিলাম সেখান থেকে বের হই, আর তখনি আপনার দেহরক্ষীরা আমাকে দেখে ফেলে। তারা আমাকে চিনত, তাই আমাকে আক্রমণ করে। তাদের হাত থেকে  পালালাম আহত অবস্থায়, কিন্তু প্রচণ্ড রক্তপাতে আমার মৃত্যুই হত যদি না আপনি শুশ্রূষা করতেন। আমি চেয়েছিলাম আপনার জীবন শেষ করে দিতে, অথচ আপনি আমার জীবন রক্ষা করলেন। এখন আপনি যদি চান তবে যতদিন আমি বেঁচে থাকব ততদিন আপনার বিশ্বস্ত ভৃত্য হিসাবে থাকতে চাই, আর আমার ছেলেদেরও বলে যাব এই একই উকাজ করতে। আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।"

এভাবে একজন শত্রু বন্ধুতে পরিণত হওয়ায় রাজা খুব খুশি হলেন। তিনি লোকটিকে ক্ষমা  করলেন আর বললেন তিনি তার চিকিৎসক আর সেবকদের পাঠিয়ে দেবেন লোকটির সেবার জন্যে। লোকটির থেকে বিদায় নিয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে রাজা সন্ন্যাসীর সন্ধানে চারপাশে দেখলেন, শেষবারের মত তিনি সন্ন্যাসীকে প্রশ্ন করতে চাইলেন। সন্ন্যাসী তখন রাজার খুঁড়ে রাখা জমিতে বীজ বুনছিলেন। রাজা বললেন, "শেষবার অনুরোধ করছি, দয়া করে আমার প্রশ্নের উত্তর দিন।"
সন্ন্যাসী বললেন, "আপনি তো উত্তর পেয়ে গেছেন।"
" উত্তর পেয়ে গেছি, কিভাবে?" রাজা জানতে চাইলেন।
সন্ন্যাসী বললেন, "আপনি যদি গতকাল আমার প্রতি দয়াপরবশ হয়ে জমি কোপানোর জন্য থেকে না গিয়ে ফিরে যেতেন তাহলে লোকটি আপনাকে আক্রমণ করত, সেক্ষেত্রে থেকে যাওয়া আপনার জন্য ভাল হয়েছে। তাই তখন আপনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় ছিল যখন আপনি মাটি কোপাচ্ছিলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ ছিলাম আপনার সাথে থাকা আমি আর আমার উপকার করা ছিল আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এরপর যখন লোকটি এল তখন আপনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় ছিল যখন আপনি লোকটির পরিচর্যা করছিলেন, কারণ আপনি যদি তার রক্তপাত বন্ধ করতে না পারতেন তবে সে মারা যেত, আপনার সাথে তার শত্রুতার অবসান না করেই। আপনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ ছিল লোকটি আর তার জন্য আপনি যা করছিলেন তা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তাই মনে রাখবেন, একটিমাত্র সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ - তা হচ্ছে এখনই বা বর্তমান কাল। কারণ এই একটিমাত্র সময়ে আমাদের ক্ষমতা থাকে সবচেয়ে বেশি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ হচ্ছে যে সেই সময়ে কাছে থাকে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে তাকে সাহায্য করা কারণ পরষ্পরকে সাহায্য করার জন্যই মানুষকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে।"

পাঠ্যবইয়ের এই গল্প আমার খুব ভাল লাগত। কিছুদিন আগে আমার ইচ্ছা হল গল্পটা আরেকবার পড়ার। গুগলসার্চ দিয়ে পেয়েও গেলাম। http://www.online-literature.com/tolstoy/2736/
গল্পের সাথে বাড়তি পেলাম গল্পের পাঠকদের কিছু মন্তব্য। বেশিরভাগই মন্তব্য করেছেন অন্যকে সাহায্য করাটা মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য হতে পারে না, বরং মানুষের উচিত নিজের জীবনকে হাসি, আনন্দ আর ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়ে পুরোপুরিভাবে উপভোগ করা আর সেইসাথে অন্য মানুষের প্রতি সুন্দর ও ন্যায্য আচরণ করা। এই মন্তব্যগুলো পড়ে মনে হল এই গল্পের উপযোগীতা এই যুগে ফুরিয়ে গেছে। এই সময়টা সেল্ফির সময়- সবাই কেবল নিজেকে গুরুত্ব দেবার সময়। সেল্ফি তোলাটা একটা আত্মপ্রেমের একটা প্রতীকমাত্র, তাই দেখা যায় মৃত প্রিয়জনকে কবর দিতে এসেও আমরা তার বিয়োগব্যথায় কাতর না হয়ে নিজের কথাই ভাবি, ছবি তুলি। কদিন আগেই পত্রিকায় দেখেছিলাম একদল ছাত্র পিকনিকে গিয়ে পুকুরে গোছল শেষে সেল্ফি তুলেছে, ছবির একপাশে দেখা যাচ্ছে তাদের এক বন্ধু ডুবে যাচ্ছে। ডুবন্ত বন্ধুকে (যে মারা যায়) উদ্ধার না করে ছবি তোলাটাই তখন তাদের কাছে ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।জানি না একে অস্থির সময় বলা যায় কিনা। তবে এই অস্থির সময়ে আমার বারে বারে এই গল্প মনে পড়ে, বিশেষত যখনই অনেক দিন অদেখা কোন প্রিয়জনের মৃত্যু সংবাদ পাই তখনই আফসোস হয়- কেন তাকে কিছু সময় দেই নি, কেন তাকে আরেকটু গুরুত্ব দেই নি!

টলস্টয়ের ছবি: গুগল থেকে নেয়া
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭
৩৪টি মন্তব্য ৩২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা নিয়োগ কারা দেয় ?

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনের সফল পরিসমাপ্তির পর আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কেরা ডক্টর ইউনুসকে দেশের ক্ষমতা গ্রহন করার আহবান সেই শহীদ মিনার থেকেই জানিয়েছিল। ডক্টর ইউনুস প্রথমে অরাজি হলেও পরে ছাত্রদের হাজারো অনুরোধের মুখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমুখী একটি চাওয়া

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২০


মানুষের মুখে হাসি ফুটুক,
আঁধার মুছে আলোর ছোঁয়া,
ক্লান্তিহীন পথ চলুক,
নতুন স্বপ্ন আনবে জোড়া।

দিনবদলের শপথ নিয়ে,
কাঁধে কাঁধ মিলে কাজ করে যাই,
নদীর স্রোতে ভেসে ভেসে
একটি স্রোতে মিলিয়ে যাই।

সবার তরে সমান বিচার,
ধনীর দুঃখীর,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলার একমাত্র অভিশপ্ত রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ

লিখেছেন জ্যাকেল , ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫০

২৩শে জুন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব জনাব সিরাজ উদ দৌলা ব্রিটিশদের কাছ হেরে যান কেবলমাত্র মীরজাফর, জগৎশেট, রাজভল্লভ, ঘষেটিদের কারণে। বাংলার ইতিহাসে এই দিনটি একটি অভিশপ্ত দিন। এর পর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের গ্রামের বিয়ের বর দেখা

লিখেছেন প্রামানিক, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৩


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

একদিন পরেই শুক্রবার। সকালেই বাবাকে ঐ বাড়ির ঘরবর (অর্থাৎ বর দেখা অনুষ্ঠানকে আঞ্চলিক ভাষায় ঘরবর বলে) উপলক্ষে ডাকা হয়েছে। বাবা সকালে গিয়ে বর দেখা উপলক্ষ্যে কি কি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওবায়েদুল কাদের কি মির্জা ফখরুলের বাসায় আছেন?

লিখেছেন রাজীব, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮

"পালাবো না, পালিয়ে কোথায় যাবো? দরকার হলে মির্জা ফখরুলের বাসায় আশ্রয় নেবো। কি ফখরুল সাহেব, আশ্রয় দেবেন না?" ওবায়েদুল কাদের একটি জনসভায় এই কথাগুলো বলেছিলেন। ৫ই আগষ্টের পরে উনি মির্জা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×