অসাধারণ খেলেছে বাংলাদেশ। বিশ্ব র্যাঙ্কিং এ বাংলাদেশের অবস্থান ৪০ আর চীনের অবস্থান ১৮তে। তবে বাংলাদেশের খেলা দেখে মনেই হয়নি র্যাঙ্কিং এ কে কোন অবস্থানে। প্রথমে ১ গোলে পিছিয়ে পড়লেও জিমি, চয়নদের দুর্দান্ত স্টিকওয়ার্ক দলকে ৩-২ গোলের জয় পেতে সাহায্য করে। ওয়ার্ল্ড হকি লীগের এই টুর্নামেন্টে প্রতি গ্রুপের সেরা ২টি দল পরবর্তী বিশ্বকাপ হকিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। প্রথম খেলায় শক্তিশালী আয়ারল্যান্ডের কাছে পরাজিত হলেও আজকের ম্যাচে দাপটের সাথে জয় লাভ করে। বাংলাদেশ দলের তৃতীয় গোলটি ছিল দেখার মত। জিমির অসাধারণ পাস থেকে গোলটি করেন জাতীয় দলের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার পুষ্কর খিসা।
ক্রিকেটের পরে হকিতেই বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উল্লেখ করার মত সাফল্য রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের কর্তা-ব্যাক্তিদের কাছে হকি যেন বরাবরই উপেক্ষিত। দেশের মানুষের কাছেও কেন জানি হকি গুরুত্ব পায় না। যেখানে ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ বা রিয়াল-বারসেলনার ফুটবল ম্যাচের পর ফেসবুক আর ব্লগে শত শত স্ট্যাটাস পরে সেখানে নিজ দেশের হকি ম্যাচে জয় লাভের পরেও কাউকে অভিনন্দন জানিয়ে পোস্ট দিতে দেখা যায় না। যেকোনো ধরণের খেলাই হোক না কেন, নিজে দেশের ম্যাচ সব সময়ই প্রাধান্য পাওয়া উচিৎ।
হকিতে যদি ক্রিকেটের মত স্পন্সর আসে তাহলে বাংলাদেশ এই খেলায়ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও সাফল্য ছিনিয়ে আনতে পারবে।
সব শেষে জিমি, চয়ন, কৌশিক এবং পুষ্কর খিসাকে আবারো অভিনন্দন। আশা করি সামনের ম্যাচগুলোতেও তারা আরও ভালো করবে।