পশ্চিমা বিশ্বে ফালতু বিষয় নিয়ে মাতামাতি করা নতুন কিছু নয়। তিল কে তাল বানানো তাদের পুঁজিবাদী ব্যাবস্থায় মুনাফা খাওয়ার পুরনো কৌশল। কোন হলিউড তারকার মৃত্যুর পরেও তারা সেটা নিয়ে ব্যাবসা করে। মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুর পর তার গান নেটে প্রচার করে প্রচুর মুনাফা তারা লুটেছিল। এই পশ্চিমা বিশ্বে থেকেই ফাদার ডে, মাদার ডে, ভ্যালেন্টাইন ডে’র মত উদ্ভট সব দিবস পালোন করার প্রচলন এসেছে। এই সব দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য মূলত একটাই আর তা হল মানুষের আবেগ-অনুভূতি নিয়ে ব্যাবসা করে পয়সা কামানো। এবারো আরেকটা দিন নিয়ে তারা গত একবছর ধরে ব্যাবসা করছে।
কবে কোন প্রাচীন সভ্যতায় পৃথিবী ধ্বংসের কথা বলা হয়েছে, ব্যাস সেটা নিয়ে ফালতু প্রচার শুরু। খোঁজ নিলে দেখা যাবে এরকম অনেক প্রাচীন সভ্যতার বিভিন্ন গল্পে, উপকথায় হয়তো কোন একদিন পৃথিবী ধ্বংসের কথা বলা আছে। মধ্য আমেরিকায় মায়ানদের মত বেশ কয়েকটা সভ্য জাতির বসবাস ছিল। কলম্বাসের আমেরিকায় আগমনের পর এইসব জাতি-গোষ্ঠীর ভাষা, সংস্কৃতি সমূলে উৎপাটিত হয়েছে। সে হিসেবে পৃথিবী ধ্বংসের বহু আগেই তারা নিজেরাই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কিন্তু এসব ভাবলেতো আর ব্যাবসা করা সম্ভব না। তাই সাম্রাজ্যবাদী, উপনিবেশিক কলম্বাসের উত্তরসূরিরা তাদের হাতে বিনষ্ট করা প্রাচীন জাতির দিনপঞ্জি বেচে ডলার কামানোর কৌশল নিয়েছে। অবশ্য তাতে কাজও বেশ ভালোই হয়েছে। এই দিন উপলক্ষে ব্রাজিল, একুয়েডর, কলম্বিয়ার বেশকিছু পর্যটন নগরীর হোটেল-মোটেল সব বুকিং হয়ে গেছে। মায়ান ক্যালেন্ডারে নাকি তুরুস্কের কিছু অঞ্চলের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তুরস্কের ওই এলাকাগুলোর সব হোটেলও এখন পর্যটকদের ভারে মুখরিত!!!
কুসংস্কারে বিশ্বাসী লোকের সংখ্যা আমেরিকাতেও যে কম না, তার একটা নমুনা দেখা গেলো এনবিসি’র একটা সংবাদে। সেখানে বলা হয়েছে, “ধ্বংস দিবস(!) উপলক্ষে মিশিগান এবং কানেক্টিকাটের ৩০টিরও বেশি স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে”।
স্কুল বন্ধ
ভালো। তারা তাদের মত ধান্দাবাজি করুক আর আমরা তামাশা দেখি। তবে খারাপ লাগে বাংলাদেশেও কিছু ছাগল আছে যারা এইসব ফালতু বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়!!!
এক ফ্রেন্ডকে বিকালে উত্তরায় আসার জন্য বললাম, গাধাটা বলে কিনা আজকে সারাদিন শুধু জুমা’আর টাইম ছাড়া সে ঘর থেকেই বের হবে না।(!) তাকে বললাম যদি ওইসময় গযব পড়ে তখন কি করবি। সে বলে, “তাহলে মসজিদ থেকেই বের হব না”