somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিপরীত বৃষ্টি

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তীব্র কোলাহলের এই শহর যখন শান্তির ডাকে সুউচ্চ দালানে দালানে প্রতিযোগিতার ফাঁকে ক্লান্ত চাকুরিজীবী অথবা শ্রমিকের কাছে এনে দেয় কয়েক ফোটা বৃষ্টির জল। তোমরা তাকে কিভাবে দেখো?

নববিবাহিত যুগলের জন্য এই বৃষ্টি শয্যাকে করে দেয় ফুল,
নগরবাসী বারবার চোখে দেখে সিটি কর্পোরেশনের ভুল।
টিনেজার থেকে ভিসেনারিয়ান সকলে পুড়ে মৌন উত্তাপে,
শহরের সকল উষ্ণতা এসে জমে চায়ের সিরামিক কাপে।
কখনো সেই উত্তাপে ভাগ বসায় গরম বাষ্প ছড়ানো খিচুড়ি,
কখনো সেই উত্তাপ ভুলে বিষন্নতায় স্মৃতি হাতড়ায় কিশোরী।
জলবদ্ধতা প্রায়ই উপজাত হয়ে রূপ নেয় ফুলস্টপে,
গন্তব্য কখনো ফ্রেঞ্চ বিস্ট্রো অথবা মার্কিনী কফিশপে।

শহরের পূর্বে এই বৃষ্টি প্রবেশ করেছিলো গ্রামে। গ্রামকে ছাপিয়ে শহরকেন্দ্রিক কবিতা নিষিদ্ধ সংগ্রামে। এই সংগ্রামকে তোমরা কিভাবে দেখো?

চাষার ডুবে যাওয়া ফসলি জমি আর তার আইল কাটা সেচের নালা, তারা জানে সংগ্রাম কী!
জানে তাদের বৃষ্টিতে ফুটো হয়ে যাওয়া টিনের চালা।
উঠোনে থাকা কাপড় কিংবা মাঠেতে থাকা গরু,
নির্জল ঘরে তুলবার তাড়া মারিয়ে সকল তরু।
যেখানে বৃষ্টিতে শিশুরা পুকুরে নামে মাথায় দিয়ে কচুর পল্লব।
সেখানেও আজ পৌঁছে গেছে ব্রডব্যান্ড-ডিশ, সংগ্রাম-বিপ্লব।
ফসলি জমি কেড়ে কারখানা করো, স্লোগানে সংরক্ষণ।
গ্রামের ছেলেকে চাচাতো ভাই বলো, এ কেমন আদি লক্ষণ!

গ্রামের পূর্বে এই বৃষ্টি এসেছিলো পাহাড়ে অথবা নিন্মচাপ হয়ে উপকূলে। উপকূলের ঝড় অথবা পাহাড়ি ঢল, দুটোই প্রাকৃতিক-নির্মল। এই নির্মলতাকে তোমরা কিভাবে দেখো?

সাগরের কল্লোল; মৌসুমী বায়ু পূর্ণিমা রাতে তটিনীতে বাড়ায় জল,
অদ্ভুত প্রাণোচ্ছল; বৃষ্টি বাড়লেই উপকূলে মিলে শত মানুষের দল।
কেউবা যাবে আশ্রয় কেন্দ্রে, কেউ হারাবে বাড়ি।
কেউ দাঁড়িয়ে দেখবে বৃষ্টি, করবে সাগরে বাড়াবাড়ি।
পাহাড়ে নামবে ঢল, মানুষের জীবন পাহাড় লইবে কে থামাবি বল?
থামাতে নাকি পারতো আর্মি; "পানি" পাহাড়ের টপে, এই দু:খে বন্ধু আমার "পাহাড় আমার আরেক ফিলিস্তিন" জপে।

শহর, গ্রাম, পাহাড় কিংবা উপকূলের আগে এই বৃষ্টি আমার মনে এসেছিলো প্রেমের অনুরাগে। এই নির্মোহ প্রেমকে তুমি কিভাবে দেখো?

গ্রীষ্মের দাবদাহে আমি তোমাকে বৃষ্টি ভেবে ভিজি,
কালবৈশাখী ঝড়ে শুনি এই তুমি এলে বুঝি।
তুমি শ্রাবণের একাকীত্বে ছাতাকে ছাপিয়ে আসা তীব্র মেঘ,
তুমি শরতের আলিঙ্গনে নদী-নৌকোয় গাঁথা গ্রামীণ আবেগ।
তুমি শীতের বর্ষায় ছুটে আসা উষ্ণতম চুম্বন,
তুমি আমার "সমুদ্র বা পাহাড়ের যৌবন"।
ওয়াচ-টাওয়ার বা জুমঘর; অপলক দৃষ্টি।
হয়তো তোমায় দেখবো নয়তো বিপরীত বৃষ্টি।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি জাতির কান্না......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৫২

একটি জাতির কান্না......

স্বাধীন সিকিম রাষ্ট্রের ভারত ভুক্তির নেপথ্য!
১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান ব্রিটিশদের কাছে থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। ওই সময় উপমহাদেশে ৫৬৫ টি "Princely States" বা "সতন্ত্র দেশিয় রাজ্য" ছিল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

এসব কিসের ইঙ্গিত?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:২৯


ক্ষমতাচ্যুত হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার দাবিতে হঠাৎ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগ নেতাদের বিক্ষোভ মিছিল! সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

‘নির্দেশ আছে তোকে ক্রস ফায়ারে মেরে ফেলার’ - হুমায়ুন কবির

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:১৪

(মানব জমিনে হুমায়ুন কবির ভাইয়ের গুম নির্যাতনের কথা পড়ে মনোকষ্ট নিয়ে বসে আছি। আপনার জন্য দোয়া করি, আপনাদের আত্মত্যাগেই এই জাতি স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে, এখন কাজ হচ্ছে তাদের বিচার করা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী থেকে বরখাস্ত করার জন্য কোটার দরকার আছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৬



**** চাকুরী সৃষ্টি করতে জানে না বাংগালী জাতি, কিন্তু চাকুরী থেকে তাড়াতে জানে; কিছু কিছু ব্লগার মানুষকে তাদের কাজের যায়গা থেকে বিতাড়িত করার জন্য ব্লগে চীৎকার করছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ফিরে যেতে ইচ্ছে করে কৈশোরে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৫


এখানে কী আছে বলো তো, এখানে কী আছে আর
কেন যে সময়ের পিঠে হলাম সওয়ার;
সময় আমায় নিয়ে এ কোথায় এলো
স্বপ্ন সব হয়ে গেল এলোমেলো।

সেই প্রাথমিকের গন্ডি, পা রাখি ইচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×