সম্প্রতি উচ্চ আদালতের রায়ে প্রমাণিত হলো কর্নেল তাহেরের বিচার, ফাঁসির দন্ড এবং ফাঁসি ছিল সাজানো ও অবৈধ। এতে কর্নেল তাহের বিদ্রোহী, দেশদ্রোহী; জিয়াউর রহমান ও পরবর্তীতে তার দলের দেওয়া অপবাদ থেকে মুক্ত হলেন। তার আত্মা শান্তি পেল।
যদিও সাধারণ আমজনতা ঠিকই জানত, যে জিয়াউর রহমান তার ক্ষমতার পথে কোনো কন্টক চান নাই। তাইতো যে তাহেরের কারণে ৭৫-এর ৭ নভেম্বরের পর থেকে তিনি হিরো, পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি, বড় একটি দলের জনক-সেই তাহেরকে ফাঁসির মঞ্চে পাঠাতে জিয়ার হাত কাপেনি।
কর্নেল তাহের সেনাবাহিনী নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা পূরণ হলে দেশের উপকার হতো। পরবর্তীকালে এরশাদ বা হালের ১/১১-এর নায়কেরা ছড়ি ঘোরাতে পারতেন না। দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী মাঝে মাঝে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের খেলায় মেতে উঠত না।
সাড়ে তিন দশক পর হলেও আবু তাহেরের আত্মা শান্তি পেয়েছে। তাঁর স্বজনেরা খুশি হয়েছেন। লুৎফা তাহেরের একাকী যুদ্ধ বিজয়ী হয়েছে।
এখন প্রশ্ন আসে স্বাভাবিকভাবেই, সিরাজ শিকদারের আত্মা শান্তি পাবে কবে? 'লাল ঘোড়া'য় যে আত্মা উড়ে গেয়ে সিরাজ শিকদারের দেহ পিঞ্জিরা ছেড়ে তার শান্তিও আমরা চাই। সিরাজ শিকদার হ্ত্যার প্রকৃত বিচারের জন্য কোন আমলের অপেক্ষা করতে হবে? কবে শান্তি পাবে এই বিপ্লবীর আত্মা?