*নিজাম উদ্দীন আহমেদ
২৪ নভেম্বর, ১৯৬১
হৃদ্য় দিবার আগে------------
বুঝিছিনু নাকো এইটুকু বানী ব্যথায় পরান যাবে!
অন্তরতর বান্ধব যারা দেয় নাকো আজ সাড়া,
বিকট লাগে ধরনীর ভালে কত ব্যথা দেয় তারা।
ফাগুনে আগুনে মিলন লগনে কত শত দিত দোল,
শ্বাপদ সংকুল বন্ধুর পথে মনে জাগে উতরোল।
অসিমের তালে চলেছি ভাসিয়ে অলস অবস কায়া
বিরহীর পানে দেখি নাকো তাই এতটুকু দয়া মায়া।
জীবন বীনার তারে----------
বাজে নাকো আর কল্লোল ধ্বনি মায়া মৃদু মঢু সুরে।
দেখি অভিরাম নয়নাভিরাম ফুটফুটে চাঁদ বালা;
খলখলে হাস, তবু রোধ শ্বাস গলে কলঙ্ক মালা।
ঠিক ঠিক ঠিক তাই------------
সুদিনের যত বান্ধব মোর রুখে জাগে পথ নাই।
মনে মনে তাই, বলি ওরে শুন; অবুঝ আখির কোন-
ওগ কায়া ছায়া এই ভিম ছাড়া, নেই কোন কারো জন।
কে আমি?
বাবার ব্যবহৃত বিছানার তোশক উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দেখছিলাম। হটাৎ একটি পুরানো খাতার উপর নজর পড়ে। খুব সাদা-মাটা পুরাতন খাতা। খাতাটির পাতা উল্টাতেই বেড়িয়ে আসে গোটা গোটা অক্ষরে লিখা বাবার কিছু স্বরচিত কবিতা ও স্মৃতি কথা। আমি তাঁর লিখাগুলো পড়ছিলাম আর আমার দু-চোখ দিয়ে অঝোরে পানি ঝরছিল। আমার বাবা গত ৩ ডিসেম্বর ২০১০ ইং তারিখে সত্তর বছর বয়সে আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে অসীমের পথে পারি জমিয়েছেন। আমি তাঁর আত্ত্বার মাগফেরাত কামনা করে তাঁরই লিখা একটি কবিতা আজ সামুর এই পাতায় প্রকাশ করলাম। আশা করি আপনাদের ভাল লেগেছে।
১. ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৩৯ ০
ভাল লাগল খুব।