থাইল্যান্ডের দেয়া নাম সী ত্রাং,তার আসার কথা ছিল আগামীকাল কিন্ত একটুও যেন ধৈর্য্য নেই তার। একটু আগে শুনি উনি আন্দামান সাগর থেকে রওনা দিয়েছেন তো বটেই তবে বড্ড দ্রুত গতিতে নাকি আসছে। কখন আসবে, কখন আছড়ে পরবে বেলাভূমিতে আর লন্ড ভন্ড করে দেবে সাজানো বাগান সেটাই ভাবার বিষয় । গত রাত ভর বৃষ্টি হয়েছে তবে আমরা টের পাইনি সুরক্ষিত ভবনের ভেতরে থাকায়। কিন্ত গরীব যেই লোকটা রুম পরিস্কার করতে আসে, মাটি আর ছনে ছাওয়া ঘরে যার ঠাই, নাম বল্লো জামালউদ্দিন। এই ছেলেটাই জানালো কাল সারারাত প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে সাথে ঝোরো বাতাস। ভয়ে ঘুমাতে পারেনি কখন না জানি তার সেই পর্ন কুটিরটি ভেংগে পরে।
আমরা গতকাল সকালে এসেছি, তখন মোটামুটি আকাশ বাতাস সমুদ্র তুলনামূলক শান্ত। কিন্ত আজ সকাল থেকে কক্সবাজারের সায়মন হোটেলের কাচের দরজার ওপাশে দেখছি বিশাল সমুদ্রের উপর সি ত্রাংকের নাচন আর কিছুক্ষণ আগে থেকে শুনছি তার ভয়াবহ গর্জন। মাথার উপর দিয়ে তিন বার চক্কর খেয়ে ল্যান্ড করতে না পেরে বেসরকারি সংস্থার প্লেনটা কই জানি চলে গেল। না জানি ভেতরে থাকা যাত্রীরা কি আতংকেই না আছে।
উত্তাল সমুদ্র, সি ত্রাং এর আসল রূপ দেখা যাবে গভীর রাতে। উপকূল এর জেলাগুলোতে ৬ থেকে ৮ ফিট উচু জলোচ্ছ্বাসের আশংকা
সব ছবি আমার মোবাইলে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৩০