থাই রাজা তাকসিনের রাজত্ব কালে (১৭৬৭- ১৭৮২)চীনারা ব্যাপকভাবে থাইল্যান্ডে বসতি গড়ে তুলেছিল। গড়ে তোলে বিশাল এক বানিজ্যিক কেন্দ্র। মহারাজা তাকসিনও চীনা বংশোদ্ভূত হওয়ায় তাদের প্রচ্ছন্ন সহায়তা দিয়েছিল। কিন্ত ১৭৮২ খৃঃ এক সামরিক অভ্যুত্থানে তাকসিন নিহত হলে চীনাদের আগের সুযোগ সুবিধা কিছুটা কমে যায়। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে তারা থাইদের সাথে ধীরে ধীরে মিশে যায়। তারপরও গোষ্ঠীবদ্ধভাবে বসবাস করা চীনাদের এলাকা ইয়াওরাতে গেলে এখনো তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও আচার আচরণ লক্ষ্য করা যায়।
চায়না মার্কেটের মেট্রোরেল স্টেশন নাম ওয়াট মংকন, সেখানের সাজসজ্জাতে রয়েছে লাল রঙের চীনা শিল্পের ছাপ
মেট্রোরেল স্টেশন এর একটি পিলার কাছ থেকে
মেট্রোরেল স্টেশনের ভেতরে দেয়াল চিত্র যাতে আছে চীনা শিল্পের ছাপ। এটাও মেট্রোরেল স্টেশন এর দেয়ালে। এই ছবিটিও স্টেশনের
এক্সেলেটরের সাহায্যে মাটির গভীর থেকে উপরে উঠে যাচ্ছি বাইরে বের হতেই রাস্তা
রাস্তার অপর পাশেই চায়না হোটেল
চীনা নকশার পুরনো বিল্ডিং পুরনো এক চীনা রেস্তোরাঁ
ব্যাংককের চীনা বাজারে ফলের দোকানের সারি
এখানে রয়েছে চীনা ঐতিহ্যবাহী খাবারের এক বিশাল সম্ভার, যেমন এই রোজমেরি চা অর্থাৎ গোলাপের চা
পলিথিন এর ঠোংগা ভরা মাছ দিয়ে বানানো চিপস চীনা কোন ফল বা সব্জি আচারের মত কোন একটা শুকনো ফল বিভিন্ন খাবারে ব্যবহার করে এমনকি ফালুদার মত খাবারেও কলা পাতায় মোড়ানো স্থানীয় খাবার
কাঁচাবাজারে বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা সব্জি রাস্তার পাশে চীনা দোকানের পশরা
চীনা পুতুল
ভেতরে রয়েছে মাইল কয়েক লম্বা গলি যা বিখ্যাত সাম্ফেন লেন নামে বিখ্যাত
গলির দুধারে সারি সারি দোকান আর তাতে নানা রকম পসরা সাজিয়ে বসেছে পশারীরা, তবে এখানে সব দোকানই পাইকারি বিক্রেতা। অর্থাৎ কমপক্ষে তিনটি জিনিস কিনতে হবে আপনাকে সাম্ফেন এর সরু গলির ভেতর চলছে বেচাকেনা
সরু গলির মাঝখান দিয়ে চলেছে মটর সাইকেল অথবা মালপত্র টানার ঠেলাগাড়ি
তিন ঘন্টা অনবরত ঘোরাঘুরির পর ইন্ডিয়ান মার্কেট ফাহুরাতে এসে ছোলে বাটুরে নিয়ে বসলাম।
আর এভাবেই আমার মত আপনারাও ঘুরে দেখতে পারেন পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম একটি চীনা বাজারের অলিগলি।
সমস্ত ছবি আমার মোবাইলে আমার তোলা।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৪১