রুমের দরজা জানালা, লাইট বন্ধ করে সিলিং ফ্যানটা ছেড়ে দিয়ে একটা কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছি। ফ্যানের শব্দ আর হালকা ঠান্ডায় কেবল বার বার মনে হচ্ছে বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে।
আসলে কি বাইরে বৃষ্টি নাকি মনের বিভ্রম এটা জানতে আমার বারান্দায় যাওয়া জরুরী। আমি বারান্দায় গিয়া মনের ভ্রম কাটাতে সেই বিকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দী আলসেমির যুদ্ধ করতেছি।
এখন নিকষ সন্ধ্যা। হতাশায় গিলে খাওয়া এক গুচ্ছ দূর্ভেদ্য অন্ধকার জানলার কাছের আবছা আলোটুকু ঢেকে দিয়েছে।
আমি সত্ত্বর বছরের রুগ্ন বৃদ্ধের মত গুটি সুটি পায়ে জং ধরা জানালার কপাট খুলে দেখলাম,বৃষ্টি নয়, ওটা ছিল আর্শ্বিনের সুক্ষ কুয়াশা।
আমার দুপুরের শুকোতে দেওয়া সাদা তোয়ালেটা এখনও স্যাঁতসেতে ভিজে আছে।
তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে, আলমারির তাকে রাখা পুরানো ডায়েরীর পাতাগুলো উল্টোতে লাগলাম।
পাশে রাখা গরম চায়ের কাপ থেকে উড়ে আসা বাষ্পে মন টা ভিজে চুপচুপ।
কেমন যেন বিষন্ন, আকাশের সাথে বোধ হয় মনের একটা গোপন আঁতাত আছে,আকাশ ফ্যাকাশে হলে মনটাও মেঘাচ্ছন্ন লাগে,বিধ্বস্ত লাগে।
অপরান্হের এই শহরের আকাশ দেখে কেবল ভাবি, যে সন্ধ্যার জলোচ্ছ্বাস দগদগ করে বিকেলের স্নিগ্ধ আলো নিভিয়ে দেয়, সেই সন্ধ্যার দেয়ালে কেমন করে হাজারো বিচ্ছেদের গল্প লেখা থাকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫