আমার ভোকাল ভাল না হওয়াই আবৃতির মত নেশাগুলো মন থেকে মুছে দিতে হয়ছিল। কারও সুন্দর আবৃতি শুনলে আমি খুব জেলাস হতাম, নিজেই নিজের প্রতি হতাশ আর আক্ষপে জ্বলে পুড়ে ছারখার হতাম।
সেদিন ছিল স্কুলের একটা কালচারাল অনুষ্ঠান।
আমার অপারগতা সত্ত্বেও খুব ইচ্ছে হচ্ছিল আজ আবৃতি করবো। যথারীতি নাম লিখাইলাম।
আমার নাম ডাকা হল। মাইক্রোফোন সামনে রেখে আবৃতি শুরু করলাম। অডিয়েন্সে আমার ডান সাইটে লাস্ট মাথায় একটা মেয়ে খিল খিল করে হাসতেছিল আমার আবৃতি শুনে।
পরের দিন জানলাম মেয়েটার নাম ছিল সারিন।
পাতলা ঠোটের গালের নিচে একটা একটা তিল ছিল। চোখের ভ্রু যুগল ছিল মিলিত, আয়তাকার চোখ দুটোয় মায়াবী উৎসুক।
আমার সেদিন খুব ইচ্ছে হয়েছিল ওর দু' চোখের মায়বী উর্বশীতে ডুবে মরে যেতে।
সারিন একবার আমাকে কিছু কাঁশফুল এনেদিতে বলছিল।অসংগত কারনে আমি নিয়ে যেতে পারিনি।
পরে একদিন সারিনের জন্য কিছু শুকনো গোলাপ নিয়ে গেছিলাম।
স্টীলের শোকেজের সাথে লাগানো কাচের আয়নায় সামনে সারিনের চোখে কাজল লাগিয়ে দিচ্ছিল।
মেহেদী লাগানো হাতে,লালটুকটুকে শাড়ী পরে সারিন সেদিন চলে গিয়েছিল অনেক দূরে।
অনেক বছর একদিন খবর পেয়েছিলাম,সারিন নাকি সেই শুকনো গোলাপের পাপড়িগুলো এখনও গুছিয়ে রেখেছে......!!
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫২