সেদিন আমার চোখে পড়া পোকা বের করতে করতে রীমা বললো," তোমাকে না কতবার বলি,বাইরে গেলে সানগ্লাস ইউজ করবা,তো করো না কেন?"
আমি বজ্রগলায় ঝাড়ি দিয়ে বলি, "যে কাজ করতেছো,তাড়াতাড়ি করো,পন্ডিতি মারাচ্ছে !"
রীমা আমার ঝাড়ি খেয়ে কিছু মনে করিনি,এরকম মারপিট ঝাড়ি খেয়ে ও অভ্যস্ত হয়ে গেছ। রীমা আমার ফুফাতো বোন।ছোটবেলায় এক সড়ক দূর্ঘটনায় মা- বাবা মারা যাওয়ার পরে মামার বাড়ি(আমাদের বাড়ি) থেকে মানুষ। রীমা ছিল বেশ,সল্পভাষী। ছোটবেলা থেকেই আব্বা মা ওর সাথেই আমাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য বলাবলি করতো। অবশ্য এ বিষয়ে আমাকে বললে আমি সরাসরি নাকচ করে দিতাম। ৫/৬ বছর ধরে চেষ্টা তদবির করার পর ২০০২ সালের ৫ ই ফেব্রুয়ারী আমার অ-মতে শুধুমাত্র পরিবারের সবার মন রাখতে গিয়ে বিয়ে করছিলাম।
বিয়ের পর থেকে কখনও স্ত্রী হিসেবে কখনও মেনে নিতে পারিনি।
বিয়ের প্রথম বাসর ঘরে ঢুকে লাল টুকটুকে শাড়ীতে জড়ানো রীমার হাসিমুখ, গায়ের কাঁচা হলুদ আর মেহেদীর গন্ধ আমায় একটুও টানেনি।
আমার মনে আছে কোনরকমে মোহরানা শোধ করে সারারাত ঘুমিয়েছিলাম।
ভোর বেলা কারও ডাক পেয়ে চোখে খুলে দেখি রীমা আমার মাথায় হাত দিয়ে বলতেছে," কি হল উঠবা না? সকাল হয়ে গেছে!"
রাগে ঘৃনায় সমস্ত শরীরে যেন আগুন জ্বলতেছিল।
তারপর খুব জোরে ঝাড়ি দিয়ো বললাম," ধুর ছেড়ী,যা তোর ওঠা তুই ওঠগা,আমার ওঠা আমি উঠবো! "
রীমা হয়তো খুব কষ্ট পেয়েছিল,কিন্তু ওর কষ্ট পাওয়া আমার হৃদয় স্পর্শ করেনি।
বিয়ের প্রথম কয়েকটা দিন ওর সাথে পশুর ব্যবহার করতাম। আমি জানিনা কেন এমন করতাম।তবে আমি যে তাকে কোনভাবেই মেনে নিতে পারতাম না এটা বুঝতাম। তাকে চোখের সামনে দেখলেই ঘৃনায় শরীরে আগুন ধরে যেত।
বিয়ের আগে যখন ফুফাতো বোন হিসেবে ছিল,তখন কখনও এমন হত না,আমরা বাসায় ক্যারাম খেলতাম,সাপ লুডু খেলতাম, পুকুরে বর্শী দিয়া মাছ ধরতাম।
কিন্তু যখন থেকেই বিয়ের কথা উঠছিল সেদিন থেকেই কেন যেন দুনিয়ার সব ঘৃনা তার প্রতিই জমাট বাঁধলো। আমি এর উত্তর খুজে পেতাম না।
শুধু জানি আমি তাকে কখনও মেনে নিতে পারতাম না।
এভাবেই সংকট,অশান্তির মধ্যে দিয়ে আমদের সংসার চলতো। খুব টুকিটাকি বিষয় নিয়া অসহ্য হয়ে যেতাম,মারপিট করতাম।রীমা অবশ্য আমার এইসব আচারণের কথা বাসার কাউকে বলতো না। বাড়ির কেউ আমাদের এসব ব্যাপার জানত ও না।
মাঝে একদিন কি একটা বিষয় নিয়ে যেন ওর দাঁতে ঘুষি মারাতে দাঁত নড়ে গিয়েছিল। সকালে উঠে আব্বার কাছে গিয়ে বললো," আব্বু আমারে একটু ডাক্তারের কাছে নিয়ে চলেন,গতরাতে ওয়াশরুমে পড়ে গিয়ে দাঁতটা নড়ে গেছে"।
আমার অপরাধ ঢাকতে রীমার এসব অভিনয় ও কখনও আমায় স্পর্শ করেনি।
আমি অনেক চেষ্টা করতাম ওর প্রতি মন বসাতে কিন্তু পারতাম না। এভাবে বছর দুয়েক পরে আমার মনে হল,আমাদের একটা সন্তান হলে হয়তো বা ঠিক হয়ে যাবে।
...
রীমার পেটে তখন আমার তিন মাসের সন্তান। এক রাত্রে কেন যেন মনে হল,সন্তান নিলে আমার জীবনটা আরও দূর্বিসহ হয়ে যাবে। আমার সন্তান হলে আমি ওকে কখনও তালাক দিতে পারবো না আমার সন্তানের জন্য,কিন্তু আমি ওকে মেনে নিতে পারবো না। আমি ওকে ছাড়াই আমার বাকিটা জীবন চলতে চাই। কয়টা দিন বা আর বাঁচবো, আমি নতুন করে বাঁচতে চাই,সুখী হতে চাই।
প্রয়জনে যা করতে হয় করবো,আমার অনাগত সন্তানকে নষ্ট করতে হলে করবো।
তারপর রীমাকে জাগিয়ে তুললাম।
এত রাতে হঠাত ওকে ডেকে তোলাতে ও খুব অবাক হল।এমন করে এত রাতে কখনও ওকে ডাকে নি। খুশীতে গদগদ হয়ে রীমা বললো,"কি হল ঘুমাও না কেন, এত রাতে ডাকছো কেন! কি হয়ছে তোমায়?জানো একটা স্বপ্ন দেখছি!"
-- কি স্বপ্ন দেখছো?
-- আচ্ছা বলতেছি আগে বলতো, আমাদের কি সন্তান হলে তুমি খুশী হইবা?
-- আরে ধুর আগে বলতো কি স্বপ্ন দেখছো?
রীমা ডান হাত আমার গলায় জড়িয়ে রেখে বললো,স্বপ্ন দেখছি আমাদের একটা ফুটফুটে মেয়ে হয়েছে।
-- তুমি শিউর মেয়ে?
-- হ্যা ১০০% শিউর,আমি ডানকাত হয়ে স্বপ্নটা দেখছি।
আমি বেশ বড় সড় একটা ছুতো পেলাম,রীমার পেটে বাচ্চাটা নষ্ট করার জন্য।
আমি ওকে বললাম শোন আমি কখনই প্রথমে মেয়ে সন্তান নিবো না। চলো কাল ডাক্তারের কাছে যাবো,বাচ্চা নষ্ট করবো।
রীমা সম্ভবত আমার এই উত্তর কল্পনাতেও আশাও করে নি।
মধ্যরাতে রীমা অনেক জোরে চিৎকার করে কেঁদে উঠে বললো,"....না..এটা কখনই সম্ভব না, আমি আমার পেটের বাচ্চাকে নষ্ট করতে দিবো না,কখনও না, মরে গেলেও না"
আমি ওর মুখ চেপে ধরে কষিয়ে ৪/৫ টা ঘুষি আর লাথি দিয়ে বললাম," আমার এক জবান,যা বলবো তাই,আমার বউ হয়ে থাকতে হলে আমার কথা তোকে শুনতোই হবে, কাল হয়তো তোর পেটের বাচ্চা নষ্ট করবি আমার সাথে গিয়ে,নয়তো তুই মরবি,নয়তো আমি মরবো"
ও কাঁদো কাঁদো হয়ে বললো,-- না প্লিজ এটা কখনও করো না,আমাকে মেরে ফেল,আমার সন্তানটাকে হত্যা করো না!"
ওর এই কথার তর্ক আমার সহ্যসীমা অতিক্রম করলো। চুলের মুঠো ধরে খাট থেকে নিচে নামিয়ে অন্ধকারে এলোপাথারি লাথি দিয়ে বললাম," কাল এই বিছানায় শুইতে হলে তোকে বাচ্চা নষ্ট করতেই হবে,না হকে তোর বাচ্চা নষ্টের ব্যাবস্থা আমিই করবো"।
.
পর দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে দেখলাম রীমা পাশে নেই, ভাবলাম ওয়াশরুমে গেছে কিন্তু ওয়াশরুমেও নাই। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সারা বাড়ির সবাই খোঁজ করেও পেল না।সারা সকাল,বিকাল,রাত হয়ে গেল রীমার কোন খোঁজ পেলাম না।
বাসার সবাইকে কি বলবো ভেবে পাচ্ছিলাম না।
তারপর আব্বার রুমে গিয়ে রাতে কাঁদো কাঁদো ভঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলাম যে সে কয়েক মাস যাবৎ অন্যমনস্ক,ওর কোন বন্ধুর সাথেও মাঝে চিঠিতে কথা বলতো হেন তেন বুঝিয়ে সবাই বিশ্বাস করাইলাম যে রীমা আর এ সংসার করতে চাইনি,ওর কোন ফ্রেন্ডের সাথে ভেগে গেছে।
.
দিন গেল,মাস গেল রীমার আর খবর পাইনি আমার পরিবার। মাস দশেক পরে আমার নতুন বিয়ে হল।
আমার নতুন বউএর নাম রুবি।
আমার বন্ধুরা যখন রুবির সাথে আমার বাসর ঘরে নিয়ে আসলো।
বাসর ঘরে ঢুকেই তিনবছর আগের সেই রীমার সাথে প্রথম বাসর ঘরের কথা মনে হল।
কি খারাপ ব্যবহারটাই না করছিলাম বেচারীর সাথে। মনে পড়াতে কিন্ঞিত খারাপ লাগলো।
রুবির সাথে আমার বেশ দিনক্ষন মোটামুটি ভালই চলতেছিল।প্রায় দেড় বছর হয়ে গেলে আমাদের নতুন সংসার,সবকিছু ঠিকঠাক ছিল তবুও কেমন যেন অস্বস্তিতে ছিলাম।
রীমাকে কিভাবে পশুর মত পিটাইতাম,কিভাবে খারাপ ব্যবহার করতাম, কিভাবে অবহেলা,গালি দিতাম,সবকিছু চোখের সামনে ভেসে উঠতো।
পুরো বাড়ির সবাই জানে রীমা তার বন্ধু সাথে ভেগে গেছে। অথচ রীমা আজ অব্দী কাউকে বলিনি আমার এই খারাপ আচারনের কথা। কিন্তু আমি জানি সেই চরম সত্যটা।
আমার বাচ্চাটা রীমার কাছে কেমন আছে,কিভাবে আছে,কোথায় থাকে, প্রতিনিয়ত এসব আমাকে বিষিয়ে তুলতো।
খুব ছোটবেলা থেকে মা বাবা হারা এই এতিম মেয়েটা ছোটবেলা থেকে মা বাবার আদর ও পাইনি, বিয়ের পর থেকে স্বামীর কাছে থেকে স্ত্রী মর্যাদাটুকুও ভালভাবে পায়নি। কত রাত পশুর মত আচারণ করেছি,যেদিন ও ভয়ে পালিয়ে গেছে,তার আগের রাতে মুখ চেপে ধরে কত পিটাইছি,পেটে লাথি মারছি,এ সবকিছু নিষ্ঠুর ভাবে আমার হৃদয়ে কাটা দিত।
বাড়িতে আমার এসব কাউকে বলতে পারতাম না,শুধু মন মরা হয়ে বসে থাকতাম, খাওয়া দাওয়া,খুব কম করতাম, কারও সাথে কথা বলার মত মন মানসিকতাও থাকতো না,এমনকি রুবির সাথেও না,কেউ কেউ বলতে লাগলো আমি নাকি পাগল হয়ে গেছি।
রাত্রে আমার ঠিক মত ঘুম হয় না,বিছানায় শুইতে পারিনা,রাত্রে রুবি প্রায় উঠে দেখতো আমি বিছানায় বসে আছি। রুবি ভয় পেয়ে আর আমার সাথে বিছানায় শুইতো না। বাসা থেকে আমার অনেক চিকিৎসা করালো কোন কাজ হল না।সেদিন দুপুর বেলা চৌকিদার এসে একটা নোটিশ দিয়ে গেছিল।ওটা ছিল রুবির ডিভোর্স পেপার।
আসলেই কেনই বা থাকবে,একটা পাগলের সাথে কেউ কি আর সংসার করতে চায়,তার ভবিষ্যৎ আছে। শুনেছি ওর নাকি নরওয়ে প্রবাসী এক ছেলের সাথে বিয়ো হইছে।
.
( অনেক বছর পর)
বাড়িটা আর আগের মত নেই, গ্রামের সবাই আমাকে পাগল নামেই ডাকে। বাইরে বের হলে ছোট ছোট বাচ্চারা ঢিল ছুঁড়ে মারে। আব্বা গত বছর স্ট্রোক করে মারা গেছে। এখনও মা আর বোন, দুলাভাই আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। আমি তাদেরকে কতবার বলছি আমি পাগল না কিন্তু কে শোনে কার কথা! এক ডাক্তার বলছে আমাকে আবার বিয়ে দিলে নাকি ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু গ্রামে আমাকে সবাই পাগল বলে চেনায় কেউ মেয়ে দিতে চাইনা।
গতকাল দুপুরের পরে বাড়ির সবাই খাওয়ার পরে ঘুমাচ্ছিল। বাড়ির গেটে এসে আমাদের গ্রামের ফজলু পিয়ন ডাকাডাকি করতে লাগলো," আমি দরজা খুলে বলি কি হয়ছে,কিছু বলবেন? "
-- তোমার মাকে ডেকে দাও, একটা চিঠি আইছে।
-- ঠিক আছে আমার কাছে দেন, আমি দিচ্ছি।
-- আরে ধুর বাবা তোমার মাকে ডাকো,তোমার কাছে দিয়ে মরবো নাকি পাগল ছাগল..
-- আমি বিনয়ের সাথে বললাম,চাচা আমি পাগল নই এখন ঠিক আছি, আম্মা ঘরে ঘুমোচ্ছে তার শরীরডা ভাল না।
তারপর উনি আমার কাছেই চিঠিটা দিল।
বেনামী একটা চিঠি।
চিঠিটা খুলে দেখলাম খুব ছোট বাচ্চার ভাঙা ভাঙা হাতের লেখা।
চিঠিটা পড়া শুরু করলাম,
আব্বু,
আমাকে চিন? চিননা তাইনা, কখনও দেখনিও। কখনও এমন করে ডাক শুনুনি তাইনা? আব্বু আমি তোমার সেই তিন মাসের অনাগত সন্তান বলছি। আজ আমি বড় হয়েছি,আমার বয়স ১৪বছর। আব্বু তুমি ১৪ বছর ৮ মাস আগে স্বপ্নে আমাকে মেয়ে জানানোতে আমাকে আমার মায়ের পেট থেকে খুন করতে চেয়েছিলে,আমার আম্মু পালিয়ে চলে আসছিল। হ্যা আমি মেয়ে হয়েই জন্মেছি। আমাকে পেটে নিয়ে আমার আম্মু খুব মানবেতর জীবন যাপন করছিল। আব্বু জানো আমার আম্মু যখন তোমাদের বাসা থেকে পালিয়ে আসছিল, তার শরীরের পরনে শাড়ীটা আর একাডেমীক সার্টিফিকেটগুলো ছাড়া কিছুই ছিল না। কোন রকমে বাসে উঠে খুলনায় গেছিল। সেদিন খুব বর্ষা হয়েছিল, ভেজা কাপড় পরে খুলনা বয়রা বাজারের এক দোকানে নিচে বসে শীতে কাঁপতেছিল। আব্বু আমার নানা,নানী বেঁচে ছিল না, তাই আমার আশ্রয়হীন আম্মু পেটে আমাকে নিয়ে কোনরকমে খেয়ে পরে বেঁচে থাকার জন্য একটা খাওয়ার হোটেলে বাবুর্চির চাকরি নিছিল।
আব্বু আমার জন্ম হয়েছিল হাসপাতালে এক কোনে। কেউ ফল,খাদ্য নিয়ে আমাকে অসুস্থ আম্মুকে দেখতে যাইনি,সদ্য জন্ম নেয়া আমাকে আমার আম্মু আর হাসপাতালের নার্স ছাড়া সেদিন কোলে তুলে আদর করিনি।
সদ্য সন্তান জন্ম দেয়া আমার আম্মু অসুস্থ শরীর নিয়ে কোন কাজ করতে পারেনি বলে হাসপাতালের এক ডাক্তারের বাসায় আশ্রয় নিছিল। পরে ডাক্তার আঙ্কেল আম্মুর সার্টিফিকেট গুলো দেখে একটা প্রাইভেট হাসপাতালে চাকরি দেয় আম্মুকে।
তারপর আর কখনও পিছে তাকাতে হয়নি। আম্মু বাসা নিছিল।
তোমার কথা অনেক শুনেছি আব্বু,শুনেছি তোমাকে নাকি গ্রামের ছেলেপেলেরা পাগল বলে ঢিল ছুড়ে মারে! সবাই তোমাকে পাগল বলে জানে।
আব্বু সবাই তোমাকে পাগল বলে জানলেও, তুমি আমার জন্মদাতা বাবা। আমি তোমাকে আমার বাবা বলেই জানি,আমার আম্মু এত বছর পরে কখনও আমাকে ফেলে দ্বীতিয় বিয়ে করিনি,সে এখনও তোমার অপেক্ষাতেই থাকে,তুমি কোন একদিন আসবে,আমাদের নিয়ে বেঁচে থাকবে সেই আশা,সেই স্বপ্ন বুকে লালন করে।
আমি সেই স্বপ্নকে দীর্ঘায়িত না করে বাস্তবে রুপ দেওয়ার জন্য আম্মুর এক লুকিয়ে রাখা ডায়েরী থেকে তোমার ঠিকানা নিয়ে চিঠি দিয়েছি।
যদি মন চাই,আমাকে আম্মুকে নিয়ে যেও,অথবা আমাদের কাছেই এসে পড়ো।
ইতি তোমার সেই অনাগত সন্তান
বৃষ্টি
প্রযত্নে,
আসমাউল জান্নাত রীমা
মৌসুমী ভিলা,১১৭/০৮
পূজোখোলা,বয়রা বাজার।
খুলনা।
চিঠিটা পড়ার পড়ার পরে এ্যাসটোনিশড হয়ে পড়ে রইলাম। শরীরের সমস্ত শিরা উপশিরায় যেন রক্ত সন্ঞালন থেমে গেল।
অনেকদিনের বেঁধে থাকা একটা শেল যেন বুক চিরে বের হয়ে গেল।
এটুকু মনে আছে কোন এক যন্ত্রনায় চিঠিটা বুকে নিয়ে চিৎকার করে কেঁদে উঠলাম,অগনিতবার চুমু খেলাম চিঠিটায়, চিঠির লেখাগুলোয় বার বার চোখ বুলিয়ে পিতৃত্বের স্বাদ খুজতে লাগলাম..... আহারে প্রিয় চিঠি!!
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭