somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

র্মাকনি পুঁজবাদি ব্যবস্থা ও ইরান

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মার্কিন পুঁজিবাদ ব্যবস্থা যে কত কঠিন, কত ক্রিটিক্যাল।
এই দেশ অন্যায় ভাবে আরেক দেশের উপরে অবরোধ করলে আর কোন দেশ এবং কোম্পানী সেই অবরোধ আরোপিত দেশের সাথে ব্যবসা করতে পারবে না।
এই পুঁজিবাদী ব্যবস্থা আমেরিকার এক দিনের চাল না শতশত বছরের চালবাজের ফসল।

আজ একটা নিউজ দেখলাম ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটা পাল্টা আদেশ জারি করছে," যদি কোন কোম্পানী মার্কিন অবরোধ অনুসরন করে ইরানের সাথে ব্যবসা করতে অস্বীকৃতি জানায় বা ব্যবসা গুটিয়ে নেয়, তাহলে সেই কোম্পানীর উপরেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অবরোধ আরোপ করবে।"

এক্ষেত্রে এসব কোম্পানীগুলো ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে পড়ে গেছে। তাদেরকে হয় ইরানকে বেছে নিতে হবে নয়তো মার্কিন নীতি অনুসরন করে চলতে হবে।

১৯৭৯ সালের পর থেকে পারস্য উপসাগরের এই দেশের উপর শুধু অর্থনৈতিক অবরোধই না আমরা জানি তৎকালীন ইরাকী প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে দিয়ে এক দীর্ঘ মেয়াদী যুদ্ধ ও চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। তখন সাদ্দাম হোসেনের সব থেকে ঘনিষ্ঠ বন্ধ ছিল এই আমেরিকা। যুদ্ধের ময়দানে সামরিক উপদেষ্টা থেকে শুরু করে ইরাককে সব ধরনের সামরিক সহায়তা করছিল আমেরিকা।
এমনকি তখন ইরানে সাদ্দাম হোসেনর রাসায়নিক হামলার পরেও ইরাকের উপর জাতিসংঘে নিন্দা প্রস্তাব নিয়ে আসলে আমেরিকা তাতে ভেটো দেয়।
৮ বছর যুদ্ধ শেষে যখন ইরানকে কাবু করতে পারেনি। ১৯৮৮ সালের ১৮ এপ্রিল ইরানের একটি বেসামরিক যাত্রীবাহী বিমান টেক অফের সময়ে পারস্য উপসাগরে অবস্থিত মার্কিন রনতরী থেকে মিসাইল নিক্ষেপ করেছিল।
বিমানের ২৬০ যাত্রী ক্রু সহ সবাই মারা যায়।
সেদিন বিশ্ববাসী শুধ চেয়ে দেখেছিল। ইরাকের সাথে যুদ্ধ করে কোনরকমে বেঁচে থাকা ইরান সাথে সাথে সরাসরি হয়তো কোন প্রতিশোধ নিতে পারেনি। কিন্তু পরবর্তীতে এর প্রতিশোধ হিসেবে লেবাননের নৌবন্দরে রাখা মার্কিন রনতরীতে এক হিজবুল্লাহ সদস্যকে দিয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায়। যে হামলায় প্রায় ২৯৬ জনেরও বেশী আমেরিকান নৌসেনা নিহত হয়। বিশ্ব মিডিয়া সেদিন এঘটনা প্রকাশ করেনি। এই হামলার পরে আমরিকা লেবানন থেকে তাদের সব ঘাঁটি ত্যাগ করে লেজ গুটিয়ে পলায়। ( আলজাজিরার নিউজগুলো খুঁজলে এই ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাবে,উইকিপিডিয়াতে নেই)

এইসব ক্ষোভ আমেরিকার এখনও মনে আছে।
১৯৭৯ সালে তেহরান ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা আমেরিকান দুতাবাসে যখন হামলা করে আমেরিকা অনেক চেষ্টার পরেও দূতাবাসে কর্মরত আমেরিকানদের উদ্ধার করতে পারেনি আমেরিকা।
এইসব ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ আজ এখনও ইরান বয়ে বেড়ায়।

যদিও এতশত অবরোধের পরেও ইরান তার নিজের পথ নিজেই দেখে নিচ্ছে,ইরানীরা নিজেদের দেশেই ক্ষেপনাস্ত্র,ট্যাংক,যুদ্ধবিমান,সাবমেরিন,রনতরী বানায়।
এসব প্রচলিত যুদ্ধাস্ত্রের জন্য তাদের কারও কাছে হাত পাতা লাগে না।






হরমুজ প্রণালীতে মহড়ায় ইরানী জাহাজ



১৯৭৯ সালের পর থেকে আজ অব্দী অবরোধের মুখে থেকেও এই দেশটা তার সম্ভ্রম হারায়নি।
যদিও গত অবরোধের পর থেকে ইরানের মুদ্রাস্ফীতি অনেক নিচে নেমে গেছে।
ফলে আফগান যুদ্ধের সময় ইরানে আশ্রয় নেওয়া যে শরনার্থীরা আর নিজ দেশে ফিরে যায়নি,পরে ইরানে বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী কোম্পানী, আবাসনে চাকরী নেওয়া এই লোকগুলো ও চাকরি হারাতে যাচ্ছে।

সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বজনমতের তোয়াক্কা না করে ইরানের বিরুদ্ধে সর্বকালের সর্বাত্মক অবরোধ আরোপে মডিউলে সাইন করেছে।
চাীন, ভারত, রাশিয়া হয়তো এই অবরোধ অগ্রাহ্য করবে,পাকিস্তান ও এই অবরোধকে উপেক্ষা করে ইরান- পাকিস্তান গ্যাস পাইপলাইন কাজ সম্রসারন করবে।

সর্বোপরি ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই পাল্টা আদেশ কতটা কার্যকর হয় সেটাই দেখার বিষয়।
যদি ইইউ এর এই পদক্ষেপ অকার্যকর হয় তাহলে ইরানের সামনে হয়তো দুটো পথ খোলা থাকবে...
প্রথমত, এই অবরোধের বোঝা মাথায় নিয়ে চলা।
দ্বীতিয়ত, হরমুজ প্রাণালী বন্ধ করে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়া। সেক্ষেত্রে হয়তো বিশ্ব একটা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্মুখীন হবে।

বাকিটা ভবিষ্যৎ বলে দেবে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দেশনায়ক তারেক রহমানকে সম্পৃক্ত করার নেপথ্যে  

লিখেছেন এম টি উল্লাহ, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৮


আগেই বলেছি ওয়ান ইলেভেনের সরকার এবং আওয়ামীলীগের যবনায় জনাব তারেক রহমানের বিরুদ্ধে পৌনে একশ মামলা হলেও মূলত অভিযোগ দুইটি। প্রথমত, ওই সময়ে এই প্রজন্মের নিকট উপস্থাপন করা হয়েছিল দেশনায়ক তারেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্পকে নিয়ে ব্লগারদের রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



**** এডমিন টিমের ব্লগারেরা আমাকে বরাবরের মতোই টার্গেট করে চলেছে, এভাবেই সামু চলবে। ****

ট্রাম্পের বিজয়ে ইউরোপের লোকজন আমেরিকানদের চেয়ে অনেক অনেক বেশী শংকিত; ট্রাম্প কিভাবে আচরণ করবে ইউরোপিয়ানরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্পের বিজয়, বিশ্ব রাজনীতি এবং বাংলাদেশ প্রসংগ

লিখেছেন সরলপাঠ, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২১

ট্রাম্পের বিজয়ে বাংলাদেশে বা দেশের বাহিরে যে সব বাংলাদশীরা উল্লাস করছেন বা কমলার হেরে যাওয়াতে যারা মিম বানাচ্ছেন, তারাই বিগত দিনের বাংলাদেশের ফ্যাসিস্টের সহযোগী। তারা আশায় আছেন ট্রাম্প তাদের ফ্যাসিস্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঠেলার নাম বাবাজী !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩১

এক গ্রামীণ কৃষক জমিদার বাড়িতে খাজনা দিতে যাবে। লোকটি ছিলো ঠোটকাটা যখন তখন বেফাস কথা বা অপ্রিয় বাক্য উচ্চারণ করে ক্যাচাল বাধিয়ে ফেলতে সে ছিলো মহাউস্তাদ। এ জন্য তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×