কোন এক জ্যোৎস্নার রাতে মেয়েটাকে হঠাৎ আমি ঘর থেকে বের করে আমার ডান হাত দিয়ে তার বাঁ হাত ডান হাত ধরে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে নিয়ে আসবো। জ্যোৎস্নার আলোতে ছাদটা ভরে থাকবে। আমি হাঁটু গেড়ে বসে তাকে আমার সাথে জ্যোৎস্না স্নানের আমন্ত্রণ জানাবো। সে ছাদে এসে চাঁদটার দিকে তাকিয়ে থাকবে। আমি অবাক চোখে তার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকবো। সেও চাঁদ দেখছে আমিও চাঁদ দেখছি। সে দেখছে চাঁদকে আর আমি দেখছি তাকে। চাঁদের আলোতে তার মুখটাকেও ঠিক চাঁদের মতো লাগছে। মাতাল চোখে আবেগী দৃষ্টিতে আমি তার দিকে তাকিয়ে থাকবো। দুজনের দুটি চাঁদকে অবাক করে দেখতে থাকার মাঝে তার "এভাবে কি দেখছো?" কথাটিতে নিরবতা ভাঙবে। আমি তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হবো যে, তার মুখটাও এই জ্যোৎস্নার আলোতে চাঁদের মতোই লাগছে। সেও নাছোড়বান্দা। সে আমাকে একের পর এক প্রশ্ন করে যেতে থাকবে। আমিও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একই উত্তর ভিন্নভাবে দিয়ে যেতেই থাকবো। মনটা রূপকথার গল্পে হারিয়ে যাবে। এভাবে উপভোগ করবো আমরা জ্যোৎস্নাস্নান।
কোন এক বর্ষার দুপুরে খুব বৃষ্টি হবে। লোকজন সবাই ঘরে লুকাবে রাস্তায় আমি আর সে একাধারে হাঁটতে থাকবো।দুজনের মাথার উপর ছাতা থাকবে, আমিই ছাতাটা ধরবো । স্পর্শ থাকবে, মৌনতায় দুজনে এক ছাতার ভেতরে বাইরের বৃষ্টিটা উপভোগ করবো। হঠাৎ মৌনতা ভেঙে সে আমায় বলবে, "ছাতাটা একপাশে নিয়ে যাচ্ছো কেনো? আমি পুরোই ভিজে যাচ্ছি যে!" আমি বাধ্য ছেলের মতো ছাতাটা তার দিকে হেলিয়ে ধরবো।
না স্পর্শ হবে, মৌনতাও থাকবেনা। তবুও আজীবন আমরা পাশাপাশি থাকবো। না এটা শুধু ভালোবাসা না, ভালোবাসার চাইতেও বেশি কিছু। আজীবন পাশাপাশি থাকার প্রতিশ্রুতি।
Influenced by Bay Of Bengal & The Tree