somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চৌ-দ্দ-ব-ছ-রঃ এলোমেলো ভাবনাগুলো

১৫ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকেই ভাবছিলাম ব্লগে ১৪ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে একটা পোস্ট দেব। কিন্তু কোন টপিক ঠিক করতে পারছিলাম না। বর্ষপূর্তি পোস্টের ক্ষেত্রে স্মৃতিচারণমূলক লেখালেখিই সবচেয়ে জনপ্রিয়, কিন্তু বারে বারে আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম-টাইপ পোস্ট ব্লগাররা পড়তে চাইবেন বলে মনে হয় না। তাছাড়া কমিউনিটি ব্লগ একটা গতিশীল জিনিস, সময়ের সাথে পরিবর্তনটাই স্বাভাবিক। সুতরাং স্মৃতিচারণ আপাতত বাদ।

আরেকটা উপায় আছে-নিজের পছন্দের কিছু ব্লগার আর তাদের চমৎকার সব লেখা নিয়ে আলোচনা। সেখানে নিজের পছন্দের ব্লগারদের প্রশংসাবাক্যে ভাসিয়ে দেয়া যায়, হারিয়ে যাওয়া ব্লগারদের ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করা যায়, অপছন্দের ব্লগার আর নানান সিন্ডিকেটের সদস্যদের মুন্ডুপাতও করা যায়। আপাতত সেসবের প্রয়োজনীয়তাও আমি দেখছি না।

চার বছর পূর্তিতে নিজের সবগুলো পোস্টকে বিষয় অনুসারে সাজিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেই পোস্টটাকেও আপডেট করা যেতে পারে। সমস্যা হচ্ছে, পরের ১০ বছরে কি ব্লগিং এর সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পেরেছি? সুতরাং এই টপিকও বাদ।

আর কি করা যায়? ব্লগের ভবিষ্যত নিয়ে উৎকন্ঠিত হয়ে প্যানিক ছড়ানোর জন্যও পোস্ট দেওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে সচল বন্ধ হয়ে যাওয়া আর ব্লগ মডারেটর কাল্পনিক_ভালবাসার সাক্ষাতকারের পর উৎকণ্ঠিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া ব্লগ মাতা জানাও অসুস্থ, সুতরাং ব্লগারদের কপালে চিন্তার ভাজ পড়বেই।

এসব বিষয় নিয়ে ব্লগার বোকা মানুষ বলতে চায় বেশ ভাল একটা পোস্ট দিয়েছেন। ব্লগ মডারেটর সেখানে বেশ বড়সড় ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। এ বিষয়ে আমার নিজের চিন্তাভাবনাগুলোও লিখে রাখা উচিত। দেখা যাক, লিখব হয়ত কোন একদিন।

উপরের টপিকগুলো বাদ দিলে বর্ষপূর্তিতে লেখার মত আর কি থাকে?

সুতরাং নিজের কথা বাদ দেই। ব্লগে নিয়মিত না লিখলেও অফলাইনে অনেক পোস্টই পড়া হয়। সেখান থেকেই বরং কিছু নিয়ে কথা বলা যাক। গতকাল ব্লগার করুণাধারার নতুন পোস্টটা পড়লাম। দেশের ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব নিয়ে লিখেছেন তার পরিচিত এক তরুণীর অভিজ্ঞতার আলোকে।

এরই মধ্যে দেশে আরও কিছু ঘটনা ঘটে গেছে। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সার্বজনীন পেনশন প্রোগ্রামের 'প্রত্যয়' স্কিমে যুক্ত না হওয়ার জন্য আন্দোলন করছেন, ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রেখেছেন, তবে পর্যন্ত এই আন্দোলন থেকে দৃশ্যমান কিছু অর্জন করতে পেরেছেন কি না-সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ।

একই সময়ে এইসব শিক্ষকদের ছাত্র আর চাকরীপ্রার্থীরা আন্দোলন করছেন অযোক্তিক কোটা বাতিলের দাবীতে। রাজপথ যখন
'তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার।
কে বলেছে? কে বলেছে? সরকার, সরকার।-স্লোগানে মুখরিত, তখন ইচ্ছাকৃতভাবেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর মিডিয়ায় শুধুমাত্র প্রথম লাইনটা হাইলাইট করে পুরো আন্দোলনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে, আবার আদালতকে টেনে আন্দোলনকারীদের ভয় দেখানোর চেষ্টাও হয়েছে। বেশ কিছু নিউজ দেখলাম আন্দোলনকারীদের ওপর হেলমেট বাহিনী ওরফে হাতুড়ি লীগ ওরফে সোনার ছেলেদের আক্রমণের। ছেলে-মেয়েরা কি দমে যাচ্ছে? লক্ষণ দেখেতো মনে হচ্ছে না।

ব্লগার করুণাধারা তার পোস্টে সেই তরুণীর যে চিত্র এঁকেছেন, তাতে কি মনে হয়েছে এই মেয়েটি হেরে যাবে? কিংবা থেমে যাবে? আমার কাছে মনে হয়নি। আমি অন্তত চাইব এই মেয়েটি যেন জীবনযুদ্ধে হেরে না যায়।

তাহলে সামু কেন থামবে? আলোর দেখা পেতে হলেতো অন্ধকারের বুক চিরেই এগিয়ে যেতে হবে।

ভাল থাকুক সামু, ভাল থাকুক প্রিয় বাংলাদেশ।











**সবগুলো ছবি নেওয়া হয়েছে প্রথম আলোয় প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে।


সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৯
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৯

'পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......
[/সব

আমার এক মামা ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জব করতেন হোটেলের শুরু থেকেই। সেই মামা মাঝেমধ্যে আমাদের জন্য হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে মুখরোচক কেক, পেস্ট্রি ছাড়াও বিভিন্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তার চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না, তবুও

লিখেছেন খাঁজা বাবা, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩২



শেখ হাসিনার নাকি বায়ক্তিগত চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না। শেখ মুজিবের বেয়ে নাকি দুর্নীতি করতে পারে না। সে এবং তার পরিবার যে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করতে পারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিষয়ে সামু কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬

ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দলের পতন ঘটানো হয়। এটা আমাদের একটা জাতীয় গৌরবের দিন। এটা নিয়ে কারও সন্দেও থাকলে মন্তব্যে লিখতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জ্বীনভুতে বিশ্বাসী বাংগালী ও ঢাকায় ৫০ হাজার ভারতীয় একাউন্টটেন্ট

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৩




ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর ব্লগে লিখেছিলেন যে, উনার ভগ্নিপতিকে জ্বীনেরা তুলে নিয়ে গিয়েছিলো; ২ সপ্তাহ পরে ভগ্নিপতিকে দিয়ে গিয়েছে; এই লোক, সামুর কাছে আমার বিরুদ্ধে ও অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেছুর নিজস্ব একটি জ্বীন ছিলো!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৪



আমাদের গ্রামের খুবই সুশ্রী ১টি কিশোরী মেয়েকে জংগলের মাঝে একা পেয়ে, প্রতিবেশী একটা ছেলে জড়ায়ে ধরেছিলো; মেয়েটি ঘটনাকে সঠিকভাবে সামলায়ে, নিজের মাঝে রেখে দিয়েছিলো, এটি সেই কাহিনী।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×