মুঠোফোনে মিসড কলের সূত্র ধরে পরিচয়। ফোনেই আট মাসের আলাপচারিতায় দুজনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরস্পরকে না দেখেই দুজনে সিদ্ধান্ত নেন, ঘর ছেড়ে পালিয়ে একে অপরের জীবনসঙ্গী হবেন।
দুজনের কথামতো দেখা করার স্থান ও সময় ঠিক করে মেয়েটি পৌঁছে যান সেখানে। এরপর ছেলেটি কৌশলে মেয়েটির সঙ্গে আনা ৩৫ হাজার টাকা ও প্রায় দুই ভরি স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যান।
ভৈরবের মেঘনা নদীর জোড়াসেতুর কাছে আজ শনিবার টাকা ও স্বর্ণ নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার এ ঘটনা ঘটে। প্রতারণার শিকার নরসিংদীর একটি কলেজের শিক্ষার্থী মেয়েটি জানান, ছেলেটি তাঁর কাছে নিজের পরিচয় দেন রাকিব আহমেদ (২৮) নামে। বাড়ি হবিগঞ্জ ডিসি সড়কে। ছেলেটি একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন বলেও তাঁকে জানান।
মেয়েটি জানান, দুজনের সিদ্ধান্তমতো সকাল ১০টার মধ্যে তিনি ভৈরবের জোড়াসেতু এলাকায় পৌঁছান। বাড়ি ছেড়ে যাচ্ছেন বলে সঙ্গে নেন ৩৫ হাজার টাকা ও প্রায় দুই ভরি স্বর্ণালংকার। একসময় ছেলেটি আসেন। ঢাকায় গিয়ে বিয়ের পরিকল্পনার একপর্যায়ে মেয়েটির কাছ থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিজের কাছে নেন ছেলেটি। এরপর তাঁকে (মেয়েটি) জানান, ঢাকায় গিয়ে কোথায় কীভাবে বিয়ে হবে, সে ব্যাপারে এক বন্ধু সাহায্য করবে। ওই বন্ধু পুরাতন ফেরিঘাটের কাছে অপেক্ষা করছেন। বন্ধুকে বিস্তারিত জানানোর কথা বলে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতে বলে ছেলেটি চলে যান। এরপর আর অপেক্ষার পালা শেষ হয় না। ফোন করে ছেলেটির মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মেয়েটি আরও জানান, একসময় ছেলেটি নতুন একটি মুঠোফোন নম্বর থেকে ফোন করে তাঁকে চলে যেতে বলেন। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ইন্টারনেট আর ফেসবুকে কুত্সা রটানোর ভয় দেখান। প্রতারণার শিকার হয়ে মেয়েটি কিছুটা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাঁর সহায়তায় এগিয়ে আসে। পরে গণমাধ্যমকর্মীরা গিয়ে মেয়েটির কাছে বিস্তারিত জানতে পারেন। মেয়েটির বাড়ি নরসিংদীর পলাশ উপজেলায়। পরে তিনি উপস্থিত লোকজনের পরামর্শে স্থানীয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ক্যাম্পে ছেলেটির ফোন নম্বর দিয়ে বাড়ির পথ ধরেন।
(এই পোষ্টে লেখকের কোন কৃতিত্ব নেই। প্রথম আলো পত্রিকা হতে কপি পেষ্ট করা হয়েছে।)