আমার দুষ্ট পাখিটির বয়স এখন ছয় ছোঁয় ছোঁয়। এই অল্প বয়সে তার পাকামো কথা বার্তা আমার খুব ভাল লাগে। আমার দুষ্ট পাখিটি আমার ছোট খালার মেয়ে। প্রতিদিন ছোট খালা অফিস যাওয়ার সময় আমার দুষ্ট পাখিটিকে আমাদের বাসায় দিয়ে যায়। ওর যেন আমার ঘুম সহ্য হয়না। এসেই ডাক দিবে ছোট দাদা উঠ। না উঠা পর্যন্ত তার বিরক্ত করা থামেনা। ঘুম থেকে উঠেই গত রাতে রাখা চকোলেট বের করে দেই। তা পেয়ে দুষ্ট পাখিটি কি যে খুশী হয়।
এবার আমার পালা ওকে দিয়ে নিজের মাথার চোল একটু টানিয়ে নেই। তারপর বলি যাও পত্রিকাটা নিয়ে এস ।ও মিষ্টি মেয়ের মত নিয়ে আসে পেপার।
এখন মূল কথায় আসি। আমার দুষ্ট পাখি এখন কিছু কিছু শব্দ বানান করে পরতে পারে। খুবই সহজ সরল শব্দগুলো। আমি মাঝে মাঝে পত্রিকায় বড় কিছু লেখা তাকে বানান করে পরতে বলি আর সে পড়ে। প্রতিদিনের মত আজও সে সকালে আমার বাসায় আসছে। আজ যদিও স্কুল নেই তবুও শুধুই চকোলেটের জন্য তার আসা। আমিও ও স্বভাব সুলভ তাকে দিয়ে পত্রিকা আনালাম। পত্রিকা খুলে একটা নিউজ পড়ে অবাক হয়ে গেলাম। আজকাল ধর্ষণ বা ধর্ষিত শব্দগুলো প্রত্রিকায় নিত্যদিনের শব্দগুলোর মতই যায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু আজ অবাক হলাম ধর্ষিতার বয়স মাত্র সারে পাঁচ বছর পড়ে। আর এই খবর আমি পড়লাম ঐ বয়সের এক মেয়ের হাত দিয়ে আনা পত্রিকা থেকে।
ভাগ্য ভাল আমার দুষ্ট পাখিটি ধর্ষণ নামক কঠিন শব্দ পড়তে পারেনা অন্যথায় ও যেভাবে অজানাকে জানার জন্য প্রশ্ন করে আমি তাকে কি উত্তর দিতাম আমার জানা নেই।
এই বয়সের সকল সুনামনিদের আমরা সকলে অনেক পছন্দ করি বিশেষ করে তাদের পাকামো বা তাদের কোন কিছুর জন্য বায়না করা আরও কত কি। কিন্তু আজ এইসকল কোমলমতি নিষ্পাপ শিশুগুলোও নরপশুদের হাত থেকে রেহায় পাচ্ছেনা।
অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে যে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া অসংখ্য ধর্ষণ যার সাথে জরিত শিক্ষক নামের কিছু নরপশুও রয়েছে কি এক অদৃশ্য শক্তির ছত্রছায়ায় কেউই শাস্তি পাচ্ছেন্না বিপরীতে কিছু ক্ষেত্রে ধর্ষিতাকে এবং তার ফ্যামিলিকে শাসানো হচ্ছে।
সরকারের কাছে সকল ধর্ষকের কঠোর শাস্তি দাবি করছি। আমরা আমাদের নতুন প্রজন্মকে একটি আলোকিত সমাজ দিয়ে যেতে চাই। ধরসকে ভরপুর সমাজ নয়।