হোটেল প্যালেস।
প্রথম দেখা গেটের দ্বারে
তোমার বাবার দামী গাড়ি।
রিক্সাওয়ালা মামা সাথে
আমার সেই বিশটাকা নিয়ে দরকষাকষি।
দেখে তুমি হেসেছিলে...
ওমা সে কি লণ্ডভণ্ড করে দেয়া হাসি।
তোমার কাছে বেশ মজার ছিলো,
আমার কাছে নিত্য দিনের ঘটনা।
দেখলাম- তোমার বাবার অনেক নাম
স্যার-স্যার ডাকে চারদিকে তুলকালাম।
দামি রুমে বুকিং ছিলো
আমিও ছিলাম সেই হোটেলেই
সব থেকে সস্তা রুমে।
ক্লান্ত ভীষন, তবু ঘুম কি আর আসে?
চোখ বুঝলেই ঘুম ভেঙে যায়
সেই যে তোমার হাসির শব্দে।
দ্বিতীয় দেখা সমুদ্রপারে।
কি আহ্লাদ ঘায় মেখেই না তুমি নেচেছিলে
শুনেছিলাম সমুদ্র সুন্দর
দেখেছিলাম আমি সব সুন্দর তোমার মাঝে।
বিধাতার কি নিপুর সৃষ্টি
সমুদ্র, পাহাড়, ঝর্না কিংবা গ্রীন ফরেস্ট
সব সৌন্দর্য যেখানে হার মানে।
ভেজা পায় হাটতে যখন
নরম বালি আমার বুকে
তোমার পায়ের ছাপ ফেলে।।
তৃতীয় দেখা সেই যে রাতে
জ্যোৎস্না ছিলো, তোমার মনে আছে?
গা হেলিয়ে বেঞ্চিতে
বসে ছিলে হিম বাতাসে।
এত বাতাস উপেক্ষা করে
তোমার ঘ্রাণ আমার নাকে।
সমুদ্রর ঢেউয়ে কি শব্দ ছিলো
কই শুনি নিতো!
কান জুড়ে তোমার হাসি
সবাই তাকিয়ে জ্যোৎস্না দেখে
আমি দেখি সবটুকু আলো
তোমার থেকেই উপচে আসছে।
বুঝিনি এটা শেষ দেখা
আমি ছিলাম আরো দিন পাঁচেক
কত খুঁজেছিলাম, ঠিকানাও মিলেনি
আজো সময় পেলেই সমুদ্রে যাই
সবই আছে, সেই ঢেউ, হোটেল সেই বেঞ্চি
আগের থেকেও বেশী মানুষ
শুধু নেই তুমি,
নেই সেই লণ্ডভণ্ড করে দেয়া হাসি, সে বাতসে বয়ে আসা ঘ্রান।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৯