সেই সেবার শীতে ভরা কুয়াশার মাঝে,
হালকা বাসন্তী রঙের একটা দামী কাগজে
সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা।
চাদর মুড়ি দিয়ে কতবার যে পড়েছিলাম...
এই যে একবার দুপুরে খেয়েদেয়ে
আঁট করে এক কাপ চা হাতে চিঠিটা নিয়ে বসেছিলাম
বুঝতেই পারিনি কখন যে সন্ধ্যে নেমে এলো!!
সত্যি, সত্যিই আমি রবি ঠাকুর শরৎ বাবুর কত উপন্যাসই না পড়েছি;
কিন্তু এত ভালোবাসা কোথাও খুঁজে পাইনি
যতটা ছিলো রুপন্তির সেই চার লাইনের চিঠিতে।
ভালোবাসার কথা কোথাও লেখা ছিলো না বটে,
তবুও কেন যেন প্রতিটা শব্দ এক একটা আস্ত প্রেমের উপন্যাস।
বার বার বুক ছিদে নিয়েছিলো সে লাইনগুলি,
আমার জমানো ভালোবাসাকে করে দিয়েছিলো ক্ষত বিক্ষত।।
এখন আর বসা হয় না লেকের সেই পশ্চিম পাশটায়;
কেউ রাগ করে চিঠি ছুড়ে ফেলতেও আসে না!
রুপন্তিও হয়তো এতদিনে তার সে চিঠির মানুষটাকে পেয়ে গেছে।
আমিও তোহ পেয়েছি, নিষ্পাপ ভালোবাসায় মোড়া রুপন্তির সেই চিঠিটা।
যদিও সে জানবে না কোনদিন,
তবুও আমি চাই পরজন্মে বিচারে জানুক সে সত্যটা।।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৩