চাচার বাসায় দোয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন শেষে নিজ বাসায় এসে যখন টিভি দেখছিলাম হঠাৎ চোখে পড়ল সন্ধার দিকে ইফতার পূর্ব মুহূর্তে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে সাংবাদিক, মুক্ত মনা ব্লগার ও লেখক শাহজাহান বাচ্চুকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। দুটি মোটর সাইকেলযোগে ৪ জন দুর্বৃত্ত এই মুক্তমনা লেখককে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
শাহজাহান বাচ্চুর এক ভাতিজা বলেছেন, ‘উনি ব্লগে লেখালেখি করতো। মৌলবাদিরা তাকে প্রতিনিয়ত হুমকি ধমকি দিতো।
অন্যদিকে শাহজাহান বাচ্চুর মেয়ে আচল জাহান বলেন, আমার বাবা একজন ব্লগার ছিলেন। তিনি ধর্মবিরোধী লেখাখেখি করতেন। গত তিন বছর ধরে তিনি গ্রামের বাড়িতেই বসবাস করতেন। আচলজাহান আরও বলেন ‘একসময় যখন ব্লগারদের হত্যা করা হচ্ছিল তখন আমার বাবার নাম ১১ নম্বর লিস্টে ছিল। ২ বছর আগে আমার বাবাকে মোবাইল ফোনে নিয়মিত হত্যার হুমকি দেয়া হতো।
প্রযুক্তি অনেকদুর এগিয়ে গেছে কিন্তু প্রযুক্তির ব্যবহার এর বিষয়ে আমরা সচেতেন হতে পারিনি। এ দ্বায়ভার আমাদের অন্য কারো নয় মি. শাহজাহান বাচ্চু কি কখনো প্রশাসনকে অবহিত করেছেন? যে নিয়মিত হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। প্রতি মুর্হুতে হাজারো মোবাইল ট্যাপিং হচ্ছে ছোট বড় রাঘববোয়ল এমনকি চুনোপুটিও বাদ যাচ্ছে না। প্রশাসন নিশ্চই তার নিরপাত্তা নিশ্চত করতে পারতেন। এখন তো তার Ranking নিয়েই প্রশ্ন হচ্ছে যেখানে অনেক ব্লগার হত্যার হুমকি পাওয়ার পর পরই দেশের বাইরে চলে গেছেন সেখানে তিনি গ্রামের বাড়ীতে চলে এসেছেন। তবে বলা মুশকিল ভয়ে না পারিবারিক দ্বন্ধে দ্বিতীয় স্ত্রীর টানে? সে যাই হোক কাউকে হত্যা করে ধর্মান্ধতা থেকে দুর করা যাবে না। প্রয়োজন সঠিক ধর্ম জ্ঞান দান করা হত্যা করা নয়।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩