১০ ডিসেম্বর জামালপুর হানাদর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ১১ নম্বর সেক্টরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাস্ত করে জামালপুরকে হানাদার মুক্ত করে। উড়ানো হয় স্বাধীনতার পতাকা।
১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর রাতভর পাকবাহিনীর প্রধান ক্যাম্প পিটিআই ঘাঁটির ওপর চতুর্মুখি গোলার আক্রমণ চালানো হয়। এই আক্রমণে ৪ শতাধিক পাকসেনা নিহত এবং আহত হন আরও শতাধিক।
১০ ডিসেম্বর ভোরে মৃত্যুঞ্জয়ী খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক মুন্সীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাকামী মানুষের ‘জয়বাংলা’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয় জামালপুর জেলা শহর। আকাশে ওড়ানো হয় স্বাধীন বাংলার পতাকা।
জামালপুরবাসী ৯ ডিসেম্বরের রাতের যুদ্ধ ও ১০ ডিসেম্বরের জামালপুর শহরকে মুক্ত হওয়ার স্মৃতিকে হৃদয়ের মধ্যে ধরে রেখেছে।
১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর রাতভর পাক হানাদারবাহিনীর প্রধান ক্যাম্প পিটিআই ঘাঁটির ওপর চতুর্মুখী গোলার অক্রমণ চালানো হয়। এতে চার শতাধিক পাকসেনা নিহত এবং আহত হয় আরো শতাধিক। ১০ ডিসেম্বর ভোরে মৃত্যুঞ্জয়ী খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক মুন্সীর নেতৃত্বে হাজারো মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাকামী মানুষের 'জয়বাংলা' স্লোগানে প্রকম্পিত হয় জামালপুর জেলা শহর।
৯ ডিসেম্বর জামালপুরকে মুক্ত করার লক্ষ্যে মুক্তি বাহিনী চর্তুদিক থেকে জামালপুরকে ঘিরে ফেললে হানাদার বাহিনীও আত্মরক্ষায় সর্বশক্তি নিয়োগ করে। এক পর্যায়ে ১০ ডিসেম্বর দিন ও রাতব্যাপী মুক্তি ও মিত্র বাহিনীর চতুর্মুখী আক্রমনে হানাদার বাহিনী পরাস্ত হলে ১১ ডিসেম্বর ভোরে কোম্পানি কমান্ডার ফয়েজুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিসেনারা হানাদার বাহিনীর হেড কোয়ার্টার পুরানা ওয়াপদা ভবনে স্বাধীন বাংলার বিজয় পতাকা উত্তোলন করেন। জামালপুর মুক্ত করার যুদ্ধে হানাদার বাহিনীর ২৩৫ জন সৈন্য নিহত হয় এবং ৩৭৬ জন হানাদার সৈন্য আত্মসমর্পন করে। আর এই যুদ্ধে মিত্র বাহিনীর ১১জন শহীদ হয়।
জামালপুরে ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর ৩১ বালুচ রেজিমেন্টের হেড-কোয়ার্টার।।
১১ ডিসেম্বর ভোরে কোম্পানি কমান্ডার ফয়েজুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিসেনারা হানাদার বাহিনীর সদর দফতর পুরানা ওয়াপদা ভবনে বিজয় পতাকা উত্তোলন করেন।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫২