স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে ধূমপান ছাড়ার ফলে শরীরে যেসব পরিবর্তন আসে সেগুলো জানানো হল।
৩ থেকে ৮ ঘণ্টা পরে: রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক হয় এবং নিকোটিন ও কার্বন মনোক্সাইডের মাত্রা কমা শুরু করে।
৯ থেকে ১০ বছর পরে: ধূমপায়ীদের তুলনায় যকৃতে ক্যান্সারের ঝুঁকি অর্ধেক কমে আসে এবং হৃদপিণ্ড অধূমপায়ীদের মতোই হয়ে যায়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও অনেক কমে।
৯ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পরে: শরীর কার্বন মনোক্সাইড অপসারণ করে এবং যকৃত মিউকাস ও অন্যান্য ধোঁয়ার অংশ-বিশেষ পরিষ্কার করে। আপনার স্বাদ ও গন্ধের চাহিদায় পরিবর্তন আসে।
৭২ ঘণ্টা পরে: নিয়মিত ধূমপান করলে শ্বাস গ্রহণে যে সমস্যা দেখা দেয় তা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। কর্মশক্তি বৃদ্ধি নিজেই বুঝতে পারবেন।
৩ থেকে ৯ মাস পরে: যকৃতের কার্যকারিতা বাড়বে। এতে কাশি ও মাথা ঘোরানোর সমস্যা ১০ শতাংশর মতো কমে আসে।
২ থেকে ১২ সপ্তাহ পরে: শরীরে সার্বিক রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি ঘটবে।
১ বছর পরে: স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ধূমপায়ীদের তুলনায় অর্ধেক কমে আসে।
১২ ঘণ্টা ধূমপান না করলে: সিগারেটের জ্বলন্ত আগুন থেকে বের হওয়া যে বিষাক্ত গ্যাস শরীর গ্রহণ করেছিল, তা ১২ ঘণ্টা পর থেকে স্বাভাবিক হয়ে আসে এবং শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়তে থাকে। কারণ ধূমপান করার সময় রক্তে অক্সিজেন যাতায়াত বাধাগ্রস্ত হয়ে থাকে।
২৪ ঘণ্টা পর: সিগারেট ছাড়ার একদিন পর হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়।
সিগারেট ছাড়া দুই দিন: এসময় শরীর নিকোটিনমুক্ত হয়ে যায়। এর ফলে ধূমপানের কারণে স্বাদ ও গন্ধ নেয়ার যে ক্ষমতা কমে গিয়েছিল, তা ধূমপান বন্ধ করার মাত্র দুইদিন পরেই বাড়তে শুরু করে।
ধূমপান বন্ধের তিনদিন: ধূমপান থেকে বিরত থাকার তিনদিন পর থেকেই বুকের ভেতরটা হালকা মনে হয় এবং শ্বাসক্রিয়া সহজ হয়। কারণ তখন আর শরীরের ভেতরে নিকোটিন থাকে না। আর সে কারণেই ধূমপান না করার লক্ষণগুলো ভালোভাবে ধরা পড়ে বা বোঝা যায়। তখন মাথাব্যথা, বমিভাব, প্রচণ্ড ক্ষুধা পাওয়া, হতাশা বা আতঙ্কভাব থাকে।
এক বছর কিংবা তার ঊর্ধ্বে: ধূমপান ছেড়ে দেয়ার এক বছর পর থেকেই হৃদরোগের ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায়। তাছাড়া দশ বছর ধূমপান না করলে একজন ধূমপায়ীর ফুসফুসের ক্যানসারে মারা যাওয়ার ঝুঁকির তুলনায় অর্ধেক কমে যায়। শুধু তাই নয়, ১৫ বছর ধূমপান থেকে বিরত থাকলে যে জীবনে কখনও ধূমপান করেনি তার মতো করোনারি হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। সূত্র: ডয়েচে ভ্যালে
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬