Postojnska Jama গুহা, স্লোভেনিয়া বেড়ানো সুযোগটা হয়েছিল আগস্ট ২০১১ তে। কিছু বাঙ্গালি ফ্যামিলির আমন্ত্রণে ওদের সফর সঙ্গী হয়েছিলাম আমরা। আমরা রওনা হয়েছিলাম ইতালীর মিলান শহর থেকে। গাড়ীতে ৫ ঘন্টার জার্নি, আমরা পৌছি বেলা ১২ টায়।
আমাদের সফর সঙ্গী পিচ্ছি গুলো ভ্রমণের আনন্দের মাত্রা বাড়িয়েছিল। এখন আমরা সরাসরি চিলে যাব গুহায়।
প্রবেশ পথ।
একনজরে Postojnska Jama গুহাঃ
১। বিশ্বের সবচেয়ে বড় “classic Karst” গুহা এটি।
২। গুহার মোট দৈর্ঘ্য ২০ কি,মি,
৩। ১৮৮ বছর যাবত এটি পর্যটকদের কাছে আকর্ষনীয়।
৪। ইউরোপের সবচেয়ে বেশি ভিজিটেট গুহা এটি।
পর্যটকদের ভীড়ে গিজ গিজ করছিল...
৫। ১৮৭২ সালে এই গুহায় প্রথম ট্রেন লাইন স্থাপন করা হয়।
৬। ১৮৮৪ সালে এই গুহায় বিদ্যৎ সংযোগ প্রদান করা হয়।
৭। গুহার ভেতর গড় তাপমাত্রা ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আকর্ষনঃ
১। বট গাছ থেকে যেমন ঠেশ মূল গুলো জুলে থাকে তেমনি গুহার উপর থেকে চুনা পাথরগুলো ঝুলে আছে। বিভিন্ন রঙের ও বয়সের ঝলঝলে এই জিনিস গুলো দেখলে বড়ই আশ্চর্য লাগে।
২। গুহার ভিতর আছে Biospeleological Station, যেখানে আপনি দেখতে পাবেন বিচিত্র ধরনের প্রাণী। এগুলো অন্ধ ও বর্ণহীন। দীর্ঘদিন যাবৎ অন্ধকার গুহায় থাকতে থাকতে এদের এই অবস্থা। স্থানীয় ভাষায় এদেরকে বলে হিউম্যান ফিস।
৩। Predjama Castle, এটি গুহার শেষ প্রান্তে নির্মিত। ত্রয়োদশ শতাব্দিতে নির্মাণ করা হয় এটি। গুহার ভিতর দিক দিয়ে দেখলে মনে হয় যেন ঝুলে আছে। এর নির্মান শৈলী দেখলে মনে হবে মানুষ এবং প্রকৃতির এক যৌথ অবদান।
৪। দক্ষ গাইডের চমৎকার বর্ণনা।
প্রবেশ পথ।
সুবিধাঃ
১। পর্যটন স্পটে্র পার্কিং এরিয়াটা অনেক বড়। পার্কিং এরিয়াতেই আছে টয়লেট ও ওয়াশ রুমের ব্যবস্থা। এত চমৎকার ব্যবস্থা ইউরোপের অনেক বিখ্যাত পর্যটন স্পটে নেই। আকর্ষন বলছি এ কারনেই যে এগুলো ব্যবহারে আপনাকে কোন পয়সাও দিতে হবে না!
২। পার্কিং এরিয়া থেকে বের হলেই আছে একটা খাল। এই খাল পার হয়ে গুহার প্রবেশ পথের দিকে যেতে হয়। খালের পাড়ে সাজানো গোছানো একটা ছোট পার্ক আছে। পার্কে আড্ডা দেয়ার ব্যবস্থা আছে।
খালের উপর পাখির বাসা।
৩। গুহা ভিজিটের জন্য আপনি যদি শীতের কাপড় সঙ্গে না নিয়ে থাকেন তা হলেও অসুবিধা নেই। তিন ইউরো’র বিনিময়ে আপনি একসেট ভারী কাপড় ভাড়া পেতে পারেন ১,৫ ঘন্টার জন্য।
স্যুভিনিয়র সপ।
৪। এই স্পটে আছে অনেক স্যুভিনিয়র সপ। যেখানে পাবেন সংগ্রহে রাখার মতো অনেক জিনিস তুলনামূলক কম দামে।
অসুবিধাঃ
১। গুহার ভিতর ট্যুরে মোট সময় লাগে ১,৫ ঘন্টা। গুহা ভিজিটের জন্য প্রতি ২ ঘন্টা পর পর ব্যাচ। মিস হলেই ২ ঘন্টা অপেক্ষা।
২। গুহার বাইরে আকর্ষনীয় তেমন কিছুই নেই সময় কাটানোর জন্য।
৩। টিকেটের মূল্য কিছুটা বেশী।
৪। গুহার ভিতর ছবি তোলা নিষেধ।
বিঃদ্রঃ কিছু ছবি নিজের তোলা, বাকি গুলো ইন্টার নেট থেকে সংগ্রহীত।