পাক্ষিক হুর
একটি বেহেশতী ট্যাব্লয়েড।
৩১ শে ডিসেম্বর ২০১২ রাত ১১.৫৯ ঘটিকা
সমগ্র বিশ্বের ন্যায় ঢাকাও প্রস্তুত থার্টি ফার্স্ট উজ্জাপনে।
স্থানঃ ঘন কুয়াশার চাদরে আবৃত কাশিমপুর ২ নং কারাগার ।
টিয়া পাখি সেল।
দৃশ্যঃ
কেরমান কাতিবান ফেরেশতা (নেক আমল, ফেরেশ্তা নং ৫ এর ক) জনাব “রকিব” আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাইদী সাহেবের সেলের কয়েদখানার দুই গারদের ফাঁকে পা ঝুলাইয় বিষন্ন মনে বসিয়া শেখ সিগারেট টানিতেছেন।আর বাহিরে বদ আমলের লেখক অপর কেরমান কাতিবান ফেরশতা “আতিব” জেল চত্বরের চাপ কল চাপাইয়া টিনের বালটি ভরিয়া পানি নিজ অংগে ঢালিতেছে আর পৌষের শীতে হি হি করিয়া ফোঁপাইতে ফোঁপাইতে নিজের ভাগ্যকে দুষিতেছেন। আতিবের বালতির জলের হিসাব উহার নেক আমলের খাতায় যুক্ত হইবে বলিয়া ফরমান জারি হইয়াছে। তাই সেই হিসাব টুকিতে টুকিতে কিছুক্ষন পুর্বে ঘটিয়া যাওয়া এক ভয়ানক দুর্ঘটনার কথা ভাবিয়া নেক আমলের লেখার ফেরেশ্তা নিজের মনকে সান্তনা দিতেছেন।
ব্যাটা সা(চু)ঈদী সকাল থেকেই ঘ্যানঘ্যনা করিতেছিলো থার্টি ফার্স্টে অবশ্যই তাহাকে তাহার ময়না টিয়া জান্টু পাখি ডানাকাটা পরীদের আনিয়া দিতে হইবে।সাথে লইট্যা ফিসের ঝোল।ব্যাটা ভোর হইতে না হইতেই জেল জমাদারকে পুটু ঘুষ দিয়া কোথা হইতে এক বোতল বেজীর তেলের শালশা যোগার করিয়া রাখিয়াছে।তাহার কাঁধের বদ আমলের হিসাবরক্ষক ফেরেশতা “উত্তেজক তৈল” আমদানীর বিধিনিষেধ ও উহা ব্যাবহারে গুনাহ পরিমান জানাইয়া তেল আমদানীর হেতু জিজ্ঞাসা করিতেই দাঁত মুখ খিঁচাইয়া খেকাইয়া কামড়াইতে আসিলো আর গলা কাপাইয়্যা শ্লোগান মারিয়া বলে কিনা
“আমার মেশিন কলিজুর হাত, তেল মারেঙ্গা কেয়া বাত !!”
তুই বদের বদ বেটা বদ আমলের ফেরেশতা, তুই বুলবুলে বেহেশতকে এত্তেলা দেখাস!!! আমার কলিজু ডানাকাটা পরী সোনার হরিনদের আমার নিকট আনিয়া দে...... আমি মেশিন চালাইবো... থাট্টিফাস্ট পালন করিবো। দীর্ঘদিন নিজামির পুটুর বদ গন্ধ শুকিতে শুকিতে দেল জেগার দোনো হাদসা হো গায়া।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলিয়া যাইতেছে তাই উপায়ন্ত না দেখিয়া বদ আমলের লেখক কেরমান কাতেবিন ফেরেশ্তা বেহেশ্তীটক থ্রি জি ফোনে জিব্রিল আমিন কে ধরিলেন এবং এই কালরাত্রিতে একটি বন্দোবস্ত করিয়া কাশিমপুর কারাগারকে বিপদের হাত হইতে উদ্ধার করিতে ধর্না দিলেন।এদিকে নতুন বছরের আগমনের প্রারম্ভের অনুস্টান আয়োজনের প্রস্তুতির তদারকিতে ব্যাস্ত সমগ্র বেহেশত। তবে স্বর্গীয় থার্টি ফার্স্ট নাইটের অনুস্টানে সদ্য বেহেশতে তাশ্রিব রাখা মুফতি আমিনীর হামলার আশংকায় সার্বিক নিরাপত্তার তত্বাবধানে থাকা আতংকিত জিব্রিল আমিন কিঞ্চিত বিরক্ত হইয়া কহিলেন দুনিয়াদারির এইসব দামড়া দাদু মুদু ম্যানেজ করা তুমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব। কেন বাপু এ রঞ্জিত গুপ্তকেশ নিয়া খামাখা উপরে ফোন দিয়া দিকদারি কর? জানো না বেহেশ্তে ইসলামি ছাত্রীসংঘের শাখা প্রশাখা নাই? আর দেখছো না আমি এইখানে আরেক পান খাওয়া মেশিন নিয়া বিয়াপক টেনশনে আছি? এখন যাও বসুন্ধরা মার্কেট হইতে একখানি প্রমান সাইজের পেলাস্টিকের পুতলা যোগার করিয়া সেই সাঈদী না চুইদির সেলে দিয়া আইসো।
রুহুল কুদ্দুসের নির্দেশ শিরোধার্য অতএব বদ আমলের কেরমান কাতেবিন ফেরেশ্তা ঢাকার তাবত মার্কেট খুজিয়া পাতিয়া একটি সুন্দরি প্লাস্টিক নির্মিত নারী মুর্তি নিয়া সাঈদীর কারা কক্ষে হাজির হইলেন।
পুতলা বগলে উহাকে নিজ কক্ষে দেখিবামাত্রই আল্লামা দেলোয়ার সকল যথাযথ ধর্মীয় ভাব গাম্ভির্য বিসর্জন দিয়া বদ আমলের ফেরেশ্তা সমেত প্লাস্টিকের ললনাটির উপর “লাড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান” মুডে ঝাপাইয়া পড়িলেন।
ভয়ানক শক ওয়েভের ধাক্কা আর বদ আমলের লেখক ফেরেশতার মর্মভেদী আর্তনাদে কাশিমপুর কারাগারের তাবদ ফিউজ বার্স্ট হইয়া বাতি নিভিয়া চতুর্দিকে গভীর অমানিষা নামিয়া আসিলো।
পরিশিস্টঃ দুর্ঘটনার খবর পাইয়া সপ্ত আসমান হইতে উদ্ধারকারী ফেরেশ্তাদল নামিয়া আসিয়া সাইদীর দেহের বিশেষ অংশে করাত চালাইয়া নিপীরিত ফেরেশতাকে অর্ধচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে এবং একজন কেরমান কাতিবান ফিরিশ্তার কেরমানিত্বের উপর হামলার শাস্তি স্বরুপ আল্লাম দেলুয়ার হোসেন সাঈদির ওয়াজ মেহেফিলসমুহের অডিও টেপের পাশাপাশি উহার ভয়ানক দুঃশ্চরিত্রের নির্দেশক সকল প্রমানাদির আমল এই দুনিয়াতেই একেএকে আমল আম জনতার মাঝে উন্মুক্ত করিবার নির্দেশ সম্বলিত ফরমান জারি করিয়া দেয়। তাহারি ফলশ্রুতিতে আমরা আজ আল্লামা বুলবুলে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ছাবের সূমধুর কন্ঠের অডিও টেপ খানি পাইয়াছি।