somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টাইম ম্যাগাজিনের দৃষ্টিতে এশিয়ার সেরা স্থাপত্য

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৯৫৯ সালে প্রথম ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবন কমপ¬ক্সটরেি পরকল্পনাি গৃহীত হয়। তৎকালীন সামারকি সরকার পাকস্তানরিে প্রস্তাবতি দ্বতীয়ি রাজধানী শরেে বাংলা নগরে পাকস্তানরিে দ্বতীয়ি সংসর্দ ভবন নমাণরিে পরকল্পর্না থিকেে বতমান সংসদ র্ভবনট নমাণিরিে সদ্ধান্তি গ্রহণ কর।ে তখনকার খ্যাতনামা স্থপতি লুই কান ভবন কমপ¬ক্সটরেি নকশা প্রণয়নরে জন্য প্রাথমকর্ িভাব নবোচতিি হন। তাঁকে সরাসরি কাজে নযুক্তি না করে ভবনরে প্রাথমকি নকশা প্রদানরে জন্য বলা হয় এবং ১৯৬র্২ সালর মোচ মাসে তনিি আনুষ্ঠানকি দায়ত্বি পান। ১৯র্৬১ সাল বতমোন মানকি ময়াি এভনউ-িি এর উত্তর পাশে ২০৮ একর জমি দ্বতীয়ি রাজধানী প্রকল্পরে জন্য অধগ্রহণি করা হয় এবং ১৯৬২ সালে মূল নকশা প্রস্তুত হয়। ১৯৬৪ সালে ১৫ মলয়নিি ডলাররে অনুমতি ব্যয় ধরে কমপ¬র্ক্সটর নমােণিি কাজ শুরু হয়। সমস্ত সুবধাদসহিি ৩২ মলয়নিি ডর্লারর পরবেততিি ব্যয়ে কমপ¬র্ক্সটর নমােণিি কাজ শষে হয় ১৯৮২ সাল।ে কমপ¬ক্সটরর্েি মধ্য অন্তভূেক্ত আছে মূল সংসদ ভবন, সংসদ সদস্য, মনস্টারিি ও সক্রটোরদরেিে হোস্টল,ে অতথিি ভবন ও কমউনটিিি বল্ডং।িি রাস্তা, হাঁটার পথ, বাগান ও লকে দ্বারা এ সমস্তর্ কছুই আকষণিী য় করে তোলা হয়ছ।র্েে
সুপ্রম কোট,ি গ্র্যান্ড মসজদি ও প্রসডন্টরেেিে বাসভবনরে ক্ষত্রেে মূল মাস্টার র্প¬ান পরবেতনি সাধতি হয়। এ ভবনগুলো যর্তটা কম আকষণীয় করা যায় সদকেেি বশিে গুরুত্ব দয়েি এগুলো প্রধান সংসদ ভবন এলাকা থকেে সরয়েি নয়ো হয়ছ।েের্ প্রাথমক র্পযায়ি নমতিেি ভবনগুলোর মধ্যে প্রসডন্টরেেিে র্বাসভবন (বতমানে গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন) ছলি একট।ি ১৯৬৪ সালে সংসদ ভবনরে নকশা সম্পন্ন হয় এবং এর র্পরপরই নমাণি কাজ শুরু হয়। ১৯৭১ সালরে স্বাধীনতা যুদ্ধরর্ েসময় নমাণাধীনি প্রধান অবকাঠামোটরি কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭৪ সালে বাংলাদশে সরকার ভবনরে মূল নকশায় কোনর্ রকম পরবতনি র্না এন নমোণি সম্পন্ন কর্রার কৃতত্বপূণি সদ্ধান্তি গ্রহণ করন।ে
জাতীয় সংসদ ভবনরে প্রধান বশষ্ট্যৈি এর বশালত্বরেি মাঝে র্নহতিি । মাবলে পাথর সংযুক্ত বপুলি কংর্ক্রটরিে বহদয়োলরেি মাঝে মাঝে রয়ছেে নখুঁতি জ্যামতকিি আকৃতরি প্রবশদ্বোর। বৃত্তাকার ও আয়তাকার কংক্রটরিে সমাহার ভবনটকেি দয়ছিেে এক বশষিে স্থার্পত্যক সাকিযৈ যা এর মহান উদ্দশ্যরেে সার্থ সোমঞ্জস্যপূণ। ভবনরে একবোরে কন্দ্রবন্দুতিেে হলো সংসদরে প্রধান হল, যখোনে সংসদর্ সদস্যগণ পালামন্টেে বসন।ে সমকন্দ্রকেি নকশার মূল হলরুমকে কন্দ্রে করে বভন্নিি অংশগুলো গড়ে উঠছ।েে ছাদ দয়েি প্রবশে করা আলোর মালা দ্বারা সাত তলা উঁচু গোলাকার মূল হলরুমটি এমনভাবে বষ্টতেি ঠকি যনে দবীরে মঞ্চকে ঘরেি উন্মুক্ত গোলাকার পথ। মূল ভবনরে চার বাহু বরাবর চার কোনে অন্যান্য কাজরে জন্য রয়ছেে চারটি একই ধরনরে অফসি ব¬ক। যোগাযোগরে জন্য রয়ছেে বভন্নিি প্রকার সঁড়রর্িি ব্যবস্থা। বগাকার নকশার হলওে এটি নপুনভাবিে অস্টভুজরে মধ্যে স্থাপতি হয়ছ।েে নয়তলা বশষ্টিি হলওে অনুভূমকি যোগাযোগ রয়ছেে মাত্র তনটিি তলায়। মাটরি উপরে কাঠামোটরি উচ্চতা ৪৯.৬৮ মটার।ি মূল ভবন কমপ¬ক্সটিে নয়টি স্বতন্ত্র্য বভাগেি বভক্ত।ি এর মধ্যে আটটি ৩৩.৫৩ মটারি এবং কন্দ্রীয়ে অষ্টভুজাকার ব¬কটি ৪৭.২৪ মটারি উঁচু। কন্দ্রীয়ে ব¬কটি ৩৫৪ আসন ধারণক্ষম অ্যাসম্বলেি কক্ষ নয়েি গঠত।ি সমগ্র কমপ¬ক্সটরেি আয়তন হলো মূল ভবনে ৭৪,র্৪৫৯.২০ বগমটার,ি দক্ষণি প¬াজায় ২০,র্৭১৭.৩৮ বগমটারি এবং উত্তর প¬াজায় ৬,র্০৩৮.৭০ বগমটার।ি দক্ষণি প¬াজার মূল প্রবশে পথটি একটি প্রশস্ত সঁড়রিি আকারে ধীরে ধীরে ৬.২৫ মটারি উচ্চতায় উঠে গছ।েে এর বসমন্টেের্ েরয়ছেে পাকংি এরয়া,ি তত্ত্বাবধায়ক এজন্সরেি অফসি ও মূল ভবনরে সুবধাদিি প্রদানরে জন্য স্থাপতি বভন্নিি ব্যবস্থা। একটি কৃত্রমি লকে ভবনরে চারপাশরে প্রাচীর ঘরেি আছে এবং এটি উত্তর ও দক্ষণি প¬াজাকওে সংযুক্ত করছ।েে সমস্ত ভবনটাকে মনে হয় যনে পানরি উপরে ভসেের্ উঠছ।েে পালামন্টে ভবনে প্রবশরেে জন্য রয়ছেে দক্ষণরিে গ্র্যান্ড প¬াজা ও উত্তরে সবুজ ঘাসে আচ্ছাদতি বাগান ও ইউক্যালপ্টাসরিে সারি শোভতি প্রসডন্সয়ালেিিে স্কয়ার। উত্তর প্রবশে পথরে দকেি রয়ছেে একটি অ্যাম্ফথয়টোরিি যখোনে রাষ্ট্রীয় বভন্নিি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠতি হয়। উত্তর প¬াজা পরয়েেি ক্রসন্টিে লকরেে পাশে রয়ছেে একটি রাস্তা। ভবনরে কোথাও কোন কলাম নই।ে শূন্য স্থানরে অংশ হসবিেে ফাঁপা কলাম রয়ছেে ঠকইি কন্তুি তা শুধুই কাঠামো নকশায়র্ ভারসাম্য রক্ষাথে ব্যবহৃত হয়ছ।েে এটি অনকটোই বশালি কংক্রটকিে খোদাই করে পরণতি করা হয়ছেে একটির্ অসাধারণর্ কাযকর র্ভাস্কয। নমোণি মসলা হসবিেে কংক্রটি ব্যবহৃত হয়ছেে এবং ভতররেে ও বাইররে অংশে ব্যবহৃত হয়ছেে ঢালাই কংক্রট।ি যে দক্ষতার সাথে আলোকে প্রয়োগ করা হয়ছেে তাই হলো কান- এর নকশার সবর্চয়েে গুরুত্বপূণ বশষ্ট্য।িৈ ছাদ দয়েি প্রবশকৃতে আলো বভন্নিি জায়গাকে যভোবে আলোকতি করছেে তাতে মনে হয় আলোকচ্ছটা ঝরর্ েপড়ছ স্বগে থক।েে
জাতীয় সংসদ ভবনরর্ েনকশায় সূযরে আলো এবং বৃষ্টরি প্রতরোধকিে ববচনোি করা হয়ছেে অত্যন্ত গুরুত্বরে সাথ।ে অন্যদকেি বাতাসরে বাধাহীন চলাচলকে সম্ভব করছেে বহঃস্থি ফাসাদরে বশালি জ্যামতকিি ত্রভুজ,ি আয়র্তক্ষত্র, সম্পূণে বৃত্ত ও বৃত্তাংশ এবং সমতল খলানসমূহ।ি ভবন কাঠামোটি একটি অসাধারণ সৌধ হসবিেে দৃষ্টগোচরি হয়। এখানে বাইররে দকেি গতানুগতকভাবিে জানালা স্থাপন পদ্ধতকেি এড়য়েি যাওয়া হয়ছেে এবং মূল দওয়োলে ফাঁক সৃষ্টি করে বশালি স্থাপত্যরে অসুবধাকেি দূর করা হয়ছ।েে স্থাপত্যকি শলীতেৈ ভবনটি ঢাকার আধুনকি ভবনসমূর্হ থকেে সম্পূণ স্বতন্ত্র। এ ভবনরে প্রধান সমালোচনার বষয়ি এর র্অত্যধক নমাণিি ও রক্ষণাবক্ষণে ব্যয়। ৫৮,র্৩২৭.৫৯ বর্গমটার (পালিামন্টে ভবন ৩.৪৪ একর; উত্তর প¬াজা ১.৪৬ একর; দক্ষণি প¬াজা ৪.৯৮ একর এবং আবাসকি ভবন, হোস্টল,ে বাগান, রাস্তা, লকে ইত্যাদ)ি এলাকার এ ভবন কমর্প¬ক্সটরে র্সবমোটি নমাণি ব্যয় ১২৮ কোটি টাকা। ভবন কমপ¬ক্সেে ৫০টি সোপান, ৩৪০টি শৌচাগার, ১৬৩৫টি দরজা, ৩৩৫টি জানালা,র্ ৩০০ট পাটশনিি দওয়োল, ৩র্৩৩০.৫৭ বগমটারি কাঁচরে শাটার, ৫র্৪৩৪.৮৩ বগমটারি কাঠরে শাটার, ৩৭৩৮ ঘনমটারি কাঠরে প্যানলে রয়ছ।েের্ ভবনর বোষকি রক্ষণাবক্ষণে ব্যয় সাড়ে ৫ কোটি টাকা।র্ ভবনর সবোচ্চে তলাটি বা লবলর্েে ১০ ব্যবহায বভন্নিি যন্ত্রপাতরি জন্য ব্যবহৃত হয়।
১৯৮২ সালরে প্রথমদকেি ভবনটরি কাজ সম্পন্ন হয় এবং একই বছর ২৮ জানুয়ারি প্রসডন্টেেি জাস্টসি আব্দুস সাত্তার এটরি উদ্বোধন করন।ে ১৯৮২ সালরে ১৫ ফব্র“য়োরি এ ভবনে জাতীয় সংসদরে প্রথম অধবশনেি অনুষ্ঠতি হয়। পৃথবীরি প্রায় সকল স্থাপত্য বষয়কি পত্র-পত্রকায়ি বাংলাদশরেে জাতীয় সংসদ ভবন আলোচতি হয়ছেে এবং এটি আগা খান স্থাপত্য পুরস্কারে ভূষতি হয়ছ।েে পুরস্কার প্রদানরে সময় প্রকাশতি সম্মাননা পত্রে বধৃতি উক্তি এ প্রকল্পরে একটি প্রকৃষ্ট মূল্যায়ন কর।ে সখোনে উল¬খে করা হয়ছেে ‘র্অসাধারণ সামথ্যতায় স্থাপত্যকি গুরুত্বসহ অর্বয়ব ও সৌন্দযরে র্মার্পকাঠতেি উত্তীণ এ ভবনর্ট জর্িুর বোডি কতৃক প্রশ্নবদ্ধি হয়ছেে এ বলে য,ে এ গরীব দশটরিে নকটি শরেে বাংলা নগরে স্থাপতি এর প্রয়োজন কতটুকু। তারপরও ভবনটরি র্নকশা ও নমাণি পরকল্পনাি প্রকাশ করে যে কালক্রমে এটি র্ব্যাপক জনসমথন পয়ছ,েেে বাংলাদশেে গণতন্ত্ররে প্রতীক হয়ে এটি দাঁড়য়েি আছে এবং বভন্নিি কল্যাণকর উপায়ে দশটকিেে অনুপ্ররণো যুগয়েি চলছ।েে

৪টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা নিয়োগ কারা দেয় ?

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনের সফল পরিসমাপ্তির পর আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কেরা ডক্টর ইউনুসকে দেশের ক্ষমতা গ্রহন করার আহবান সেই শহীদ মিনার থেকেই জানিয়েছিল। ডক্টর ইউনুস প্রথমে অরাজি হলেও পরে ছাত্রদের হাজারো অনুরোধের মুখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমুখী একটি চাওয়া

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২০


মানুষের মুখে হাসি ফুটুক,
আঁধার মুছে আলোর ছোঁয়া,
ক্লান্তিহীন পথ চলুক,
নতুন স্বপ্ন আনবে জোড়া।

দিনবদলের শপথ নিয়ে,
কাঁধে কাঁধ মিলে কাজ করে যাই,
নদীর স্রোতে ভেসে ভেসে
একটি স্রোতে মিলিয়ে যাই।

সবার তরে সমান বিচার,
ধনীর দুঃখীর,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলার একমাত্র অভিশপ্ত রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ

লিখেছেন জ্যাকেল , ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫০

২৩শে জুন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব জনাব সিরাজ উদ দৌলা ব্রিটিশদের কাছ হেরে যান কেবলমাত্র মীরজাফর, জগৎশেট, রাজভল্লভ, ঘষেটিদের কারণে। বাংলার ইতিহাসে এই দিনটি একটি অভিশপ্ত দিন। এর পর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের গ্রামের বিয়ের বর দেখা

লিখেছেন প্রামানিক, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৩


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

একদিন পরেই শুক্রবার। সকালেই বাবাকে ঐ বাড়ির ঘরবর (অর্থাৎ বর দেখা অনুষ্ঠানকে আঞ্চলিক ভাষায় ঘরবর বলে) উপলক্ষে ডাকা হয়েছে। বাবা সকালে গিয়ে বর দেখা উপলক্ষ্যে কি কি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওবায়েদুল কাদের কি মির্জা ফখরুলের বাসায় আছেন?

লিখেছেন রাজীব, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮

"পালাবো না, পালিয়ে কোথায় যাবো? দরকার হলে মির্জা ফখরুলের বাসায় আশ্রয় নেবো। কি ফখরুল সাহেব, আশ্রয় দেবেন না?" ওবায়েদুল কাদের একটি জনসভায় এই কথাগুলো বলেছিলেন। ৫ই আগষ্টের পরে উনি মির্জা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×