একটুখানি পদ্য
ঠিক রাত্তির দুটো। কতদিন কতরাত আমি একাকী জেগে থাকি। টেবিলে কফিমগ. বাইরে তুষার তখনো ঝুরঝুর। যেন ছোটবেলার বায়না ধরা সাদামেঘ. হাওয়াই মিঠাই; চারআনাতে কেনা আমার একচিলতে ছোটবেলা- হারিকেনের মিহি আলোয় দুলতো মাথা, লেপের আদর, চিকন বাতাস, ঝাপসা হতো বইয়ের সব পাতা। তখন চারিদিক ভাসতো আজানের সুরে। বড় পবিত্র দশদিক। শুদ্ধ হতাম, সেই সাথে পৃথিবী। আমার পৃথিবী, আমার ভুবন। সেই দিগন্ত যেখানে শেষ সেখানে নীল আকাশ, ফসলের মাঠ, কচি টিয়া রঙ ধানক্ষেতের বুকটা জুড়ে। হাওয়ায় দোলা শনশন। যতদূর চোখ যায় সবুজের মাখামাখি- তারই মধ্যখানে সিঁথির মতো পায়ে চলা পথ। ঐ দূরে বহেড়তলীর হাট, বয়েসী অশ্বত্থতলা। কাঁচা বাঁশ, মাটির ছোট গৃহ, পসরা হরেক। পায়ে পায়ে কৃষ্ণচুড়ার লাল ডালের ছায়া মিশতো আমার বংশাই নদীর জলে। কত আপন তার ঘোলা গভীর জল। দু'কূল ছায়ায় ছলাৎ ছলাৎ অপূর্ব কোলাহল। ছেঁড়া পালে মাঝি চলে দূর দেশ। সরে যায় গ্রাম-জনপদ, কত খালবিল। ছইয়ের তলায় নতুন রাঙাবউ। সিক্ত তার চোখের তারা। মলিন হয় কাজল। বাপের বাড়ি আর কতদূর? কোথায় এমন তালের সারি বাবুই পাখির বাসা? ঘন বাঁশঝাড় ছাড়িয়ে গেলে পুরনো দিনের দালানকোঠা, আম কাঁঠালের বন পেরিয়ে ভাঙা খেয়াঘাট, সর্ষে ফুলের মন মাতাল ঘ্রাণে পাগল করা গাঁও।
ছিল চৈত্র দুপুর, বোশেখ মাসের ঝড়, আম কুড়ানোর দল। কেমন করে ভুলতে পারি মাটির হাঁড়ি ভরা খেজুর রস, পাটালী গুড়ের ক্ষীর, মায়ের হাতের ভাপা পুলি। বাবার ফেরার গুনছি প্রহর। কখন খাবো ঠোঙা ভরা গরম জিলাপীর রস।
তারপর পেছন ফেলে কতটা বছর........... দুরন্ত শৈশব, অদক্ষ কৈশোর। কখন যেন বুকের কোনে রঙধনুরই রঙ। চেনা মফস্বল কেমন যেন অচেনা হয়ে যায়। গোধূলী রাঙা ভালবাসা ধূসর কেবল ময়ূরকন্ঠী নীল। তবুও আমার সবটা জুড়ে তারই বসবাস। "প্রিয়" কেমন তোমার বেলী তলার ফুল, চিলেকোঠার একলা ঘরে ঝুম বৃষ্টিভেজা ছাদ? হয়না জানি প্রথম বরষায় তোমার কোন স্নান। ছোঁওনা তুমি নাওনা তুমি কদম ফুলের ঘ্রাণ। এখনো কি জানালায় তোমার চড়ুই পাখিটা খেলে। প্রজাপতির পেছন পেছন ফড়িং লেজে সুতা বেঁধে তুমি এখনো ছুটতে পারো? ধবল জোসনার অমন রোদে পুড়তে একা কেমন লাগে, কেমন করে গোনো তুমি আকাশ জোড়া তারা। অচেনা মেয়ের নাটাই ঘুড়ি আসে কি তোমার কবিতা পড়ার ঘরে? প্রিয়, তুমি এখনো কবিতা পড়? কেমন তোমার কবিতাবিহীন সকাল সন্ধ্যেরাত?
যখন কেবল তুমি ছাড়া অন্য কেউনা-
মায়াবী কাজল চোখে না বলা সব ভাষা,
জানোনা কি কাশফুল, সবুজ দুর্বা ঘাস,
এ........ই...... পদ্য; .............................
অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা নিয়োগ কারা দেয় ?
বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনের সফল পরিসমাপ্তির পর আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কেরা ডক্টর ইউনুসকে দেশের ক্ষমতা গ্রহন করার আহবান সেই শহীদ মিনার থেকেই জানিয়েছিল। ডক্টর ইউনুস প্রথমে অরাজি হলেও পরে ছাত্রদের হাজারো অনুরোধের মুখে... ...বাকিটুকু পড়ুন
গণমুখী একটি চাওয়া
মানুষের মুখে হাসি ফুটুক,
আঁধার মুছে আলোর ছোঁয়া,
ক্লান্তিহীন পথ চলুক,
নতুন স্বপ্ন আনবে জোড়া।
দিনবদলের শপথ নিয়ে,
কাঁধে কাঁধ মিলে কাজ করে যাই,
নদীর স্রোতে ভেসে ভেসে
একটি স্রোতে মিলিয়ে যাই।
সবার তরে সমান বিচার,
ধনীর দুঃখীর,... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলার একমাত্র অভিশপ্ত রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ
২৩শে জুন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব জনাব সিরাজ উদ দৌলা ব্রিটিশদের কাছ হেরে যান কেবলমাত্র মীরজাফর, জগৎশেট, রাজভল্লভ, ঘষেটিদের কারণে। বাংলার ইতিহাসে এই দিনটি একটি অভিশপ্ত দিন। এর পর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন
সেকালের গ্রামের বিয়ের বর দেখা
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
একদিন পরেই শুক্রবার। সকালেই বাবাকে ঐ বাড়ির ঘরবর (অর্থাৎ বর দেখা অনুষ্ঠানকে আঞ্চলিক ভাষায় ঘরবর বলে) উপলক্ষে ডাকা হয়েছে। বাবা সকালে গিয়ে বর দেখা উপলক্ষ্যে কি কি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ওবায়েদুল কাদের কি মির্জা ফখরুলের বাসায় আছেন?
"পালাবো না, পালিয়ে কোথায় যাবো? দরকার হলে মির্জা ফখরুলের বাসায় আশ্রয় নেবো। কি ফখরুল সাহেব, আশ্রয় দেবেন না?" ওবায়েদুল কাদের একটি জনসভায় এই কথাগুলো বলেছিলেন। ৫ই আগষ্টের পরে উনি মির্জা... ...বাকিটুকু পড়ুন