অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অফিস রাজনীতি বা কর্মক্ষেত্রের রাজনীতি আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক (Interpersonal Relation ) কে বাড়িয়ে তুলতে পারে। কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে এবং দ্রুত পরিবর্তনকে সহজতর করতে পারে। সাধারণত ম্যানেজারগণ কোন পরিবর্তন কে সহজে মেনে নিতে পারে না। সে ক্ষেত্রে আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক অনেক কাজে লাগে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের প্রভাব কর্মক্ষেত্রে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বহাল রাখতের কার্যকরি। আর এই ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তোলার পশ্চাদে অফিস রাজনীতিই কাজ করে। অফিস রাজনীতিতে যত ভাল দিক থাকুক না কেন মন্দেরভাগই বেশি। ব্যক্তি এবং দল (Group) উভয়ই অফিস রাজনীতিতে জড়িত হতে পারে। এই ধরনের পদক্ষেপ অত্যন্ত ধবংসাত্মক হতে পারে। কেননা লোকেরা সংগঠনের খরচে ব্যক্তিগত লাভের দিকে মনোনিবেশ করে। স্ব-পরিবেশনকারী রাজনৈতিক পদক্ষেপ আমাদের সামাজিক দলাদলি, সহযোগীতা, তথ্য সরবরাহ সহ অন্যান্য অনেক সাংগঠনিক কার্যকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
কাজেই বৃহত্তর স্বার্থে সাংগঠিক রাজনীতিতে মনোনিবেশ করা দরকার, রাজনৈতিক পরিমন্ডলকে বুঝা দরকার। যারা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার বা নেতা তাদেরকেই অগ্রগামী ভূমিকা পালন করতে হবে। কেননা নেতিবাচক রাজনীতি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সাজানো থাকে। উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি অর্জন করা। নেতিবাচক কর্মকান্ডের মধ্যে থাকে গুজব ছড়ানো, কারো পিছনে পিছনে কথা বলা, দরকারের সময় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদানে বিরত থাকা অথবা অসত্য, অর্ধ সত্য প্রদান করা। রাজনীতি অনেকটা তৈলাক্ত করণ করার মত। কর্মক্ষেত্রের আভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অঙ্গকে তেল দেয়া। জন এল্ডার্ড মনে করেন, প্রতিদিনের কর্মকান্ডে কিভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করা যায় তাই হচ্ছে রাজনীতি। কেননা সংস্থার লোকেরা প্রতিটি কথোপকথনে, প্রতিটি সিদ্ধান্তে এবং প্রত্যেক আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্কের মিথস্ক্রিয়ায় ক্ষমতা প্রদর্শন করে। বৃটিশ মনোবিজ্ঞানী অলিভার জেমস মনে করেন অফিস রাজনীতির পরিসীমা বুঝতে হলে আমাদের জানা দরকার ব্যক্তিত্বের অন্ধকার ত্রয়ী ক্ষেত্র (Dark Triad ) সম্পর্কে। ব্যক্তিত্বের এই অন্ধকার ত্রয়ী ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে, মানসিক অস্তিরতা সংক্রান্ত ব্যাধি (Psychopathy),আত্মমুগ্ধতা (Narcissism)আর প্রতারণা বা ঠগবাজি (Machiavellianism)।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪১