২।
কর্মক্ষেত্রের রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মিদের আচরণ, ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের পারস্পারিক সম্পর্ক বা মিথস্ক্রিয়া (Interaction ) জড়িত। আবার বলা যেতে পারে ভিন্ন ভিন্ন মতের মধ্যে একটা ভারসাম্য মূলক ব্যবস্থাও বটে। প্রতিষ্ঠান পরিচালনা প্রায়োগিক ক্ষমতার মাপকাঠি হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। প্রাতিষ্ঠিক কাঠামোর মধ্যে ক্ষমতার একটা বিভাজন থাকে। এই কাঠামোর উপরে দিকে যারা থাকে তাদের ক্ষমতা বা কর্তৃত্ব বেশি থাকে। অন্য দিকে যারা ক্ষমতা কাঠামোর প্রান্তে অবস্থান করে তাদের মধ্যকার প্রতিযোগিতা থেকেও রাজনীতির উদ্ভব হয়। কর্মক্ষেত্রের রাজনীতিকে আবার অফিস রাজনীতি বা সাংগঠনিক রাজনীতিও বলা চলে।
এই রাজনৈতিক কর্মকান্ডকে আবার দুইভাবে দেখা যাবে; কর্মিদের উন্নতি বা মঙ্গলের উদ্দেশ্যে পরিচালিত কর্মকান্ড যা মালিক পক্ষের কাছে পেশ করা হয়। আবার কোন ব্যক্তি বিশেষের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কর্মকান্ডও থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতি কর্মিদের স্ব –পরিবেশনা মূলক (Self- Serving ) আচরণ। এই ধরনের কাজে কর্মে কর্মিদের সার্বিক উন্নতি ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে। অন্য দিকে ব্যক্তি বিশেষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কাজ হলে অনেক সময়ই তা দমন মূলক (Coercive)বা হয়রানী (Harassment) মূলক হয়ে থাকে। যখন কর্মক্ষেত্রের রাজনীতি দমন মূলক হয়, তখন দৃশ্যমান হয়ে উঠে ক্ষমতার অপব্যবহার আর পশ্চাদের থাকে বিভিন্ন বস্তুগত স্বার্থ, যেমন সম্পত্তি বা অর্থলাভ, মর্যাদা বৃদ্ধি কিংবা অন্যের আচরণ কে প্রভাবিত করতে পারে এমন ছদ্ম-কর্তৃত্ব ( Pseudo-Authority)।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩