الحمد لله
সকল প্রশংসা এবং কৃতজ্ঞতা আল্লাহর জন্য।
সুখ শান্তি, দুঃখ কষ্ট, উত্থান পতন, সফলতা বিফলতা নিয়েই জীবন। জীবনে উত্থান আছে, পতন আছে। সফলতার পাশাপাশি আছে বিফলতা। সুখের পরে যেমন দুঃখ আছে, দুঃখের পরে আছে সুখ। সব কিছু নিয়েই জীবন। এর কোনটাকে বাদ দিয়ে জীবন হয় না।এ সবই জীবনের অংশ, জীবনের সৌন্দর্য।
অনেক দুঃখ ভোগের পরে কষ্টের বিনিময়ে ক্রয়কৃত সুখ অনেক স্বাদের, অনেক মধুর। লটারির মাধ্যমে বিলিয়নিয়ার হওয়া আর তিল তিল করে নিজে উপার্জন করে বিলিয়নিয়ার হওয়ার স্বাদ এবং তৃপ্তি এক রকম না। রাত জেগে,ঘুম হারাম করে পরীক্ষায় পাস আর ফেলের অনুভূতি পক্ষান্তরে নকল করে পাস আর ফেলের অনুভূতি যেমন এক না।
জীবনের সুখের সময় গুলোতে যেমন মহান রাব্বুল আলামীনের শুকরিয়া জ্ঞাপন করা এবং তাকে ধন্যবাদ দেয়া আমাদের কর্তব্য তেমনি শত কষ্টের মাঝেও তাঁর শুকরিয়া জ্ঞাপন করা ধন্যবাদ দেয়া আমাদের কর্তব্য।এই শুকরিয়া জ্ঞাপন এবং ধন্যবাদ দেয়ার মাঝেই লুকিয়ে থাকে প্রশান্তি, আত্মতৃপ্তি। আল্লাহ আমাদের মুখাপেক্ষী নন। আমরা তার মুখাপেক্ষী।তাই বেশি বেশি আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করা এবং তাকে ধন্যবাদ দেয়া আমাদের উচিৎ। আমরা যতই কষ্টের মাঝে থাকি, যত ধরণের কষ্ট আমাদের বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে রাখুক না কেন তারপর ও আল্লাহ তার অসংখ্য নেয়ামতের চাদর দিয়ে আমাদের ঢেকে রাখেন। আমরা চিন্তা করলে তাঁর শুকরিয়া আদায়ের জন্য অসংখ্য অপশন, উপাদান আমরা খুঁজে পাই। সে সবের কথা চিন্তা করে আমাদের সর্বাবস্থায় অন্তর থেকে শুকরিয়া আদায় এবং ধন্যবাদ জানানোর বাক্য 'আলহামদুলিল্লাহ' বলা উচিৎ।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন- لان شكرتم لازيدنكم ولئن كفرتم ان عذابي لشديد
অনুবাদ- তোমরা কৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমি তোমাদেরকে আরো বেশি দেব আর অকৃতজ্ঞ হলে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি তো কঠোর (সূরা ইব্রাহীম, আয়াত ৭)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৪