দু-তিন আগে পত্রিকায় ক্যাসিনো শব্দটা দেখার সাথে সাথে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অবস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি দৃশ্য আমার চোখের সামনে ভেসে উঠেছিল। কারণ, ক্যাসিনো শব্দটার সাথে আমি প্রথম ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় ৮০৮ কোটি টাকা চুরি হওয়ার মাধ্যমে পরিচিত হই। এর আগে ক্যাসিনো শব্দটা আমার কাছে অপরিচিত ছিল। তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি হওয়া টাকা ফিলিপাইনের ক্যাসিনো নামক জুয়ার আসরে খোঁজ মেলে।
বাংলাদেশের মতিঝিলের ক্লাব পাড়ার মুক্তিযোদ্ধা ক্লাব, ওয়ান্ডার্স ক্লাব, ফকিরাপুল, ওয়ারীসহ অধিকাংশ ক্লাবগুলোতে অনেক আগ থেকেই হাউজি খেলা চলতো জানতাম। বিশ্বায়নের সুবাদে সেখানে যে ক্যাসিনো নামক জুয়া চলে সেটা জানা ছিল না।
বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা যতটা না ভালোর দিকে এগিয়ে গেছি তার থেকে বেশি খারাপের দিকে এগিয়ে গেছি। আমাদের বরাবরই ভালোর থেকে খারাপের দিকে ঝোঁক বেশি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কিছু কিছু পদক্ষেপ দেখে মনে হয় উনার যথেষ্ট সদিচ্ছা আছে। মানুষের মনের খবর একমাত্র মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনই ভালো জানেন। উনি যদি সত্যিই আবর্জনা মুক্ত করতে চান। দেশের জনগণকে উনি সাথে পাবেন। দেশের সাধারণ জনগণ উনার পাশে থাকবেন। তবে সে কাজ হবে অত্যন্ত কঠিন। বিগত দিনে বিরোধীদলীয় আন্দোলন প্রতিহত করার থেকে ও অধিকতর কঠিন। এমনকি শাপলা চত্বরের হেফাজতের আন্দোলন প্রতিহত করার থেকে ও কঠিন।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩২