প্রথম ঘটনা।
তখন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ছিলাম।পরীক্ষায় গরুর রচনা এসেছিল। রচনা লিখতে লিখতে 'মাঝে মাঝে গরু আমাদের গাছগাছালি খেয়ে ফেলে' এই কথাটা ভেবে সমাপ্তিতে লিখলাম 'গরু আমাদের অপকার ও করে।'
স্যার যেদিন খাতা দিলেন নম্বর দেখে চোখ ছানাবড়া। চোখ দিয়ে ঝরঝর করে পানি ঝরছে। কী কারণে নম্বর কম পেলাম খাতা চেক করতে গিয়ে গরুর রচনার নিচে গিয়ে চোখ আটকে গেল। সেখানে লাল কালি দিয়ে লেখা " গরু অপকার করে লেখায় তোমাকে কোন নম্বর দেয়া হল না।"
আমার কষ্ট দেখে ক্লাসের অনেকেই কষ্ট পেয়েছিল। প্রতিদ্বন্দ্বীরা অবশ্য গালটিপে মিটমিট করে হাসছিল।
দ্বিতীয় ঘটনা।
সমাজ বিজ্ঞান পরীক্ষায় দশটি প্রশ্নের মধ্যে সাতটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। আমি ভুলক্রমে আটটি প্রশ্নের উত্তর লিখেছিলাম। যে প্রশ্নগুলোর উত্তর তুলনামূলক অন্য গুলোর থেকে ভাল হয়েছিল স্যার তার থেকে একটা কেটে দিয়েছিলেন। নম্বর যা পাওয়ার কথা ছিল তার থেকে কম পেয়েছিলাম। শুধু নম্বর কম পাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। বেত্রাঘাত ও সহ্য করতে হয়েছিল।
দুটি ঘটনাই এখন আমাকে বেশ ভাবায়।
প্রথম ঘটনার উপলব্ধি: জীবনে ইবাদত, বন্দেগী, ভাল কাজ বলে কিছু নেই। সামান্য যা কিছু করার চেষ্টা করি। তা যদি কাল বিচার দিবসে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কোন কারণ দেখিয়ে ছুড়ে ফেলে দেন। তা যদি পছন্দ না করেন।
দ্বিতীয় ঘটনার উপলব্ধি: ভাল আমল যা কিছু করি তা যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিখানো সিস্টেমের মধ্যে না পড়ে তবে তা গ্রহণ যোগ্য না।
হে আল্লাহ, আপনি আমাদেরকে শিরক ও বিদআত থেকে হেফাজত করুন।
ربنا لا تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا উচ্চারণ- রাব্বানা লা তুআখিজনা ইন্নাসিনা আও আখত্বা`না।
অর্থ- হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের দায়ী করো না যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি। (সূরা আল-বাক্বারাহ : আয়াত ২৮৬
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৭