চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা।
পাশের বাসার বিড়ালটা এসে যদি দুধের হাঁড়ি বা হাজার টাকা কেজি মূল্যের ইলিশ মাছ ভাজা সাবাড় করে দেয় তাও বিড়ালটার গায়ে কেউ আঘাত করে না প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্কটা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে। প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্কটা অটুট থাকার কথা চিন্তা করে আর্থিক ক্ষতির কথাটা ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করে। আর বন্ধুর বিড়াল হলে তো কথাই নেই। বন্ধু বলে কথা। যে থাকে অন্তরের অনেকটা জায়গা দখল করে। শুনেছি লাইলীর বাড়ির কুকুরটা মজনুর বাড়িতে এলে মজনু তার পায়ে চুমু খেত।
দুদিন আগে আমরা যাদের সাথে বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ মিষ্টি বিনিময় করলাম। সেই বন্ধুরাই আজ আমাদের লাশ উপহার দিল। আমাদেরই বুঝতে ভুল। আমরা তাদের ভাষা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছি। আমরা তাদের নয় প্যাকেট মিষ্টি দিয়েছিলাম।আর তারা দিয়ছিল সাত প্যাকেট। তখনই তারা আমাদের হিসেবটা বুঝিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু সে হিসেবটা আমরা বুঝিনি।যা আমরা বুঝিনি তাহলো, বাকী দুই প্যাকেট মিষ্টির প্রতিটির বিনিময়ে আমাদের এক একটি লাশ উপহার দেয়া হবে।
আমরা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুনতে পাই তাদের সাথে আমাদের বর্তমানের সম্পর্ক যে কোন সময়ের থেকে উষ্ণ। সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ের বন্ধুত্বের সম্পর্ক যখন আমাদের সীমান্তে অসহায়, গরীব, বুভুক্ষু হত্যা থামাতে পারেনা।যে সম্পর্ক জনসাধারণের জন্য নয়। তখন অবশ্যই প্রশ্ন জাগে সে সম্পর্ক তাহলে কার স্বার্থে?
যে সম্পর্ক সাধারণ মানুষের চোখে জল এনে দেয়।যে সম্পর্কের বন্দুকের নালা থাকে জনগণের মাথা বরাবর আর নজর থাকে এ দেশের সম্পদের দিকে তাকে অন্য কেউ বন্ধুত্বের সম্পর্ক বললেও আমি বলি না। আমার কাছে বন্ধুত্বের সংজ্ঞা ভিন্ন।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮