১। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন গ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার পান?
ক) গীতাঞ্জলি
খ) সোনার তরী
গ) বনফুল
ঘ) Song offerings
প্রশ্নের ফাঁদঃ প্রশ্নটি পড়ে অপশন ক) তে গীতাঞ্জলি দেখা মাত্রই আপনি (ক) এর বৃত্ত ভরাট করে ফেললেন। কারণ যখন থেকেই রবীন্দ্রনাথ এর নাম শুনেছেন তখন থেকেই জেনে আসছেন তিনি গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তাই আর পরের অপশনগুলো পড়ার প্রয়োজনই মনে করলেন না। কিন্তু এখানে একটা সুক্ষ্ম শুভংকরের ফাঁকি আছে। নোবেল পুরস্কার যাঁরা দেন তারা তো আর বাংলা গীতাঞ্জলি পড়ে তাঁকে নোবেল দেননি। তার গীতাঞ্জলি কাব্যের ইংরেজি অনুবাদ Song offerings পড়েই নোবেল পুরস্কার দেন।
কাজেই সঠিক উত্তর হবে ঘ)। Song offerings। তবে Song offerings অপশন না থাকলে গীতাঞ্জলি শুদ্ধ হবে। প্রশ্নটা একবার পরীক্ষায় এসেছিল ও।
২।” স্বাধীনতা তুমি ” কবিতায় কার সতেজ ভাষণের কথা বলা হয়েছে?
ক) জাতীয় চার নেতার
খ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের
গ) তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীর
ঘ) ইয়াহিয়া খানের
প্রশ্নের ফাঁদঃ স্বাধীনতা শব্দটির সাথে বঙ্গবন্ধুর নামটা খুব ভালোভাবে জড়িত। তাই এই প্রশ্নটা আপনার কমন না পড়লেও পরীক্ষায় আপনি ঠিকই অপশন খ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দাগিয়ে আসবেন। কিন্তু এখানে সুনির্দিষ্ট করে বলা আছে ” স্বাধীনতা তুমি ” কবিতায় কার সতেজ ভাষণের কথা বলা হয়েছে? অর্থাৎ কবি যা বলেছেন তাই সরাসরি উল্লেখ করতে হবে। তাছাড়া “সতেজ ভাষণ ” এটা ও একটা পয়েন্ট যা কবি তার কবিতায় উল্লেখ করেছেন। শামসুর রহমান তার কবিতায় তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীর সতেজ ভাষণের কথা বলেছেন, যা অপশন গ) তে দেয়া আছে।
৩। কে “মজলুম আদিব ” ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন?
ক) মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
খ) শামসুর রহমান
গ) শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক
ঘ) কাজী নজরুল ইসলাম।
প্রশ্নের ফাঁদঃ ১ম অপশনটি পড়ে আপনার হয়তো আর বাকিগুলো পড়তেই ইচ্ছে হচ্ছেনা। কারণ সেই ছোটবেলায় পাঠ্যপুস্তকে পড়ে আসছেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নামের সাথে মজলুম শব্দটি জড়িত। এমনকি প্রাইমারি স্কুলে থাকাকালীন একটা প্রশ্ন ও ছিল “মাওলানা ভাসানীকে মজলুম জননেতা বলা হয় কেন? ” আর প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়া মাত্রই আপনার সেই কথাটি মনে পড়ে গেল এবং যথারীতি অপশন (ক) দাগিয়ে দিলেন। কিন্তু প্রশ্নটি আরেকবার পড়ে দেখুন তো। বলা হয়েছে “ছদ্মনামের ” কথা। মজলুম শব্দটা কি মাওলানা ভাসানীর ছদ্মনাম? এটা তো তাঁর উপাধি। এছাড়া প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছে “মজলুম আদিব ” ছদ্মনাম কে ব্যবহার করতেন, শুধু “মজলুম ” নয়। সঠিক উত্তর হল অপশন খ) শামসুর রহমান।
৪। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন নিউইয়র্কে “কনসার্ট ফর বাংলাদেশ ” এর প্রযোজনা করেন কারা?
ক) জর্জ হ্যারিসন ও এলেন ক্ল্যাইন
খ) জর্জ হ্যারিসন ও পন্ডিত রবি শংকর
গ) পন্ডিত রবি শংকর ও এলেন ক্ল্যাইন
ঘ) জর্জ হ্যারিসন ও ইয়ভগেনি ইয়েভ।
প্রশ্নের ফাঁদঃ আপনি উত্তর দেখেই চোখ আটকে যাবে অপশন (খ) তে, যেখানে বলা আছে জর্জ হ্যারিসন ও পন্ডিত রবি শংকর। কিন্তু সঠিক উত্তর হল ক) জর্জ হ্যারিসন ও এলেন ক্ল্যাইন। কারণ প্রশ্নে বলা হয়েছে কারা প্রযোজনা করেন? কিন্তু আপনি এতদিন শিখে এসেছেন কারা আয়োজন করে? কনসার্ট ফর বাংলাদেশের আয়োজন করে জর্জ হ্যারিসন ও পন্ডিত রবি শংকর। কিন্তু প্রযোজনা করেন জর্জ হ্যারিসন ও এলেন ক্ল্যাইন।
এছাড়াও আরো কিছু মজার জানা-অজানা তথ্য দিচ্ছিঃ-
১. যতই চেষ্টা করুন না কেন, আপনি কখনোই মনে করতে পারবেন না আপনার স্বপ্ন কীভাবে শুরু হয়েছিল।
২. সমাজবিজ্ঞান অনুযায়ী পতিতবৃত্তিও এক ধরণের সমাজসেবা।
৩. ১৯২০ সালে একটি কুকুর প্রায় ৯ বছর ধরে তার মালিকের কবরের পাশে বসে অপেক্ষা করেছিল নিজে মারা যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত। এটাই হলো প্রভুভক্তি।
৪. Shitsenders নামে একটি সাইট আছে যাতে আপনি অর্ডার দিলে আপনার শত্রুর বাড়িতে বেনামে গরু,ঘোড়া,হাতি অথবা গরিলার মল পাঠাবে। এর চেয়ে ভালো প্রতিশোধ আর কি হতে পারে।
৫. Princess and the Frog সিনেমাটি বের হওয়ার পর প্রায় পঞ্চাশজন ছেলেমেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। কারণ তারা ব্যাঙের মুখে kiss করার ফলে এর জীবাণুর দ্বারা সংক্রামিত হয়েছিল।
৬. আমেরিকার নেব্রামকায় একটি গ্রাম আছে যার অধিবাসী মাত্র একজন। সে নিজেকে ওই গ্রামের মেয়র মানে আর নিজেকে নিজে টেক্স দেয়।
৭. ফ্রান্সে মৃত কাউকেও বিয়ে করা যায়।
৮. হিটলার আর স্ট্যালিন তারা দুজনে মোট চার কোটি মানুষ হত্যার জন্য দায়ী। দুজনেই একদা নোবেল শান্তি পুরস্কারে মনোনীত হয়েছিল।
৯. বেবুনরা কুকুর কিডন্যাপ করে তাদের পোষাপ্রাণী হিসেবে পোষে।
১০. কয়েলের ধোঁয়ায় মশা মারা যায়না শুধু অজ্ঞান হয়।
ভিন্নরকম আরো কিছু জানা-অজানা তথ্যঃ-
১। হামিং বার্ড
পৃথিবীর সবচে ছোট পাখিটির নাম হামিং বার্ড, এটা সবাই জানে। কিন্তু এটা জানেন কি? একটি হামিং বার্ডের ওজন এক টাকার একটি কয়েনের চেয়েও কম। শুধু তাই নয়, হামিং বার্ড ভূমি থেকে উড়ে সোজা উপরের দিকে উঠতে পারে রকেটের মত করে আবার সোজা নিচেও নামতে পারে। শুধুকি তাই? এরা বাতাসে এক জায়গায় স্থির হয়েও উড়তে পারে হেলিকপ্টারের মত।
_
২। গোল্ড ফিশ
হুমায়ূন আহমেদের কোনো একটি লেখাতে পরেছিলাম গোল্ড ফিসের স্মরণশক্তি নাকি খুবই কম। ১ সেকেন্ড পরেই সে ভুলে যায় আগের সব কিছু। কিন্তু এটা জেনে রাখেন ওদের কোন কোনটি ৪০বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
_
৩। উটপাখি
উটপাখি উড়তে না পারলেও ঘন্টায় ৭০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে!
মজার বিষয় হচ্ছে উটপাখির মাথার মগজ কিন্তু খুবই ছোট। ওদের মগজ এতটাই ছোটোযে ওদের চোখের আকার মগজের চেয়ে বড়!
_
৪। হাতির বাচ্চা
গরু বা ছাগলের ছোট বাচ্চা দেখেছেন কিরকম তিড়িংবিড়িং লাফায়!! শুধু এরাই নয় সকল স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বাচ্চারাই লাফালাফি করে। শুধুমাত্র হাতি বাচ্চারাই লাফাতে পারে না।
_
৫। গরু
যারা কুরবানির সময় হাটে যান তারা বিষয়টি চাক্ষুস করে থাকতে পারেন। বিষয়টি হচ্ছে- গরু সহজেই সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে পারলেও নামার সময় কোনভাবেই নামতে পারে না। ফলে গরুগুলি ট্রাক থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে নামে।
সংগ্রহকৃত তথ্যভান্ডার থেকে-
ছবি : ইন্টারনেট।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩