somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১৯৭৯ সালে সন্ত্রাসী দল কর্তৃক ক্বাবা শরীফ দখল, মুসলিম ইতিহাসের এক অনালোচিত অধ্যায়।

২০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পবিত্র হারাম শরীফ দখলের মূল পরিকল্পনাকারী জুহাইমান আল ওতাইবি

''আসসালামুয়ালাইকু ওয়ারাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকু ওয়ারাহমাতুল্লাহ''।
কাবা শরিফের ঈমাম মুহাম্মাদ ইবনে সুবাইইল এর ইমামতিতে সবে ফজরের নামাজ শেষ হয়েছে। তারিখটা ২০শে নভেম্বর ১৯৭৯ সাল। ১৪শ হিজরির প্রথম দিন, ১লা মহররম। ক্বাবা শরিফের ভিতর নামাজের কাতারে ৫০ হাজার মুসল্লি। নামাজের সালাম ফিরানোর সাথে সাথে ক্বাবা শরিফের ভিতর শুরু হয় গোলাগুলি।

প্রায় সাড়ে তিনশ সশস্র সন্ত্রাশী দলের কয়েকজন ক্বাবার পাহারায় নিয়োজিত পুলিশদের হত্যা করে, ক্বাবা শরীফের প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দিয়ে মুসল্লিদের দিকে অস্ত্র তাক করে দাঁড়িয়ে পড়ে। অন্য একটা দল ক্বাবা শরীফের ভু-গর্ভস্ত অংশ থেকে বেরিয়ে এসে আকাশে গুলি ছুড়তে থাকে। সামনের কাতার থেকে একজন বেশ আক্রমণাত্মক ভাবে উঠে এসে ক্বাবা শরীফের ঈমাম মুহাম্মাদ ইবনে সুবাইইল এর কাছ থেকে মাইক কেড়ে নেয়।

মাইক হাতে লোকটি সৌদীআরব সরকারের দুঃশাসনের এবং দুর্নীতির বিবরণ দিতে শুরু করে। মুসল্লিরা সব স্তম্ভিত। মাইক হাতে লোকটি হলো জুহাইমান আল ওতাইবি (Juhayman al-Oteibi ) যে এক সময় সৌদি ন্যাশনাল গার্ডে চাকরী করতো। সে এই পুরো আক্রমনের নেতা।

সৌদীআরব সরকারের দুঃশাসনের বিস্তারিত বলে আর পৃথিবী জুড়ে অন্যায় ও পাপ কর্মের বিবরণ দিয়ে জুহাইমান উপস্থিত ৫০,০০০ মুসল্লিকে বোঝাতে চাইছিল যে একটা পরিবর্তন আবশ্যিক। কিছুক্ষণ বক্তৃতা দেবার পর মুসল্লিদের হতবিহব্বল করে দিয়ে জুহাইমান বললো “একমাত্র ঈমাম মাহদীর কাছেই আছে পরিত্রাণের উপায় এবং তিনি আজকে আমাদের মাঝে উপস্থিত রয়েছেন”। এরপর সে বলা শুরু করলো রাসূল (সাঃ) ঈমাম মাহদীর আগমন সম্পর্কে কি কি বলে গিয়েছেন।

ঘটনার আকস্মিকতা কাটার আগেই সে উপস্থিত মানুষদের মধ্যে থেকে দ্বিতীয় একজন ব্যক্তিকে দাড়াতে বললো। সেই ব্যক্তি দাঁড়ালো এবং ধীর গতীতে রূকন এবং মাকামের মধ্যবর্তী স্থানে এসে অবস্থান গ্রহণ করলো। এই দ্বিতীয় ব্যক্তিটি ছিলো মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ আল-কহতানী (Mohammed Abdullah al-Qahtani ) (তথাকথিত ইমাম মাহাদি) । সে আসলেই কুরাইশ বংশের কহতন গোত্রের অধিবাসী ছিল।


পবিত্র হারাম শরীফের উপর ধোয়ার কুন্ডলী


প্রতি নামাজের পর জানাজা হয় ক্বাবা শরীফে। জানাজার জন্য সেদিন জুহাইমানের সহযোগীরা হারাম শরীফে প্রবেশ করিয়েছিল বেশ কয়েকটি কফিন যার কোনটিতেই লাশ ছিল না। কফিন ভর্তি ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। তখন আবার কাবা শরীফের নির্মাণকাজ চলছিল। এর সুযোগ নিয়ে জুহাইমান কিছু পিকাপ ট্রাকে আরও কিছু আগ্নেয়াস্ত্র কাবার ভু-গর্ভস্ত অংশে আগের দিন চালান করে দিয়েছিল।
তখন বিন লাদেন গ্রুপের দ্বারা মসজিদ সম্প্রসারণ করা হচ্ছিল। বিন লাদেন গ্রুপের একজন এই ঘটনা দেখে ফোন করে বাইরে জানিয়ে দেয়, ঠিক এরপরই সন্ত্রাসীরা কেটে দেয় টেলিফোন তার। কিন্তু বিশ্ব জেনে যায় কাবায় কিছু একটা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এই সেই ধনী বিন লাদেন গ্রুপ, যার প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মাদ বিন লাদেন। তার পুত্রই ওসামা বিন লাদেন। তবে বিন লাদেন গ্রুপের সাথে আল-কায়েদার কোনো সম্পর্ক ছিল না, এবং এখনো সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে এই মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি।
সন্ত্রাসীরা মসজিদের উপরে ‘ডিফেন্সিভ পজিশনে’ চলে যায়। তারা, মিনারে মিনারে ‘স্নাইপার’ রাখে। আর বাকি সবাই আশ্রয় নেয় মাটির নিচে। বাইরের কেউ জানত না ভেতরে কজন জিম্মি। কেউ জানত না ভিতরে কী হচ্ছে, কেমন ক্ষয়ক্ষতি; এরা কারা, কী চায়, কী করবে।

প্রিন্স ফাহাদ তখন তিউনিসিয়াতে মিটিং এ ছিলেন, আর ন্যাশনাল গার্ডের প্রধান প্রিন্স আব্দুল্লাহ ছিলেন মরক্কোতে। তাই কিং খালিদ এই মিশনের দায়িত্ব দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স সুলতানের উপর, সাথে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স নায়েফ।
একশ’ পুলিশ মসজিদ পুনরুদ্ধার করতে চেষ্টা করে, কিন্তু প্রচুর পুলিশ সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ হারায়। ভিতরে জিম্মিকারিরা সংখ্যায় প্রচুর অনুমান করে পরে পুলিশের সাথে সৌদি আর্মি আর ন্যাশনাল গার্ড যোগদান করে। মিনারে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা সন্ত্রাসিদের সাথে পেরে উঠেনা যৌথ বাহিনী। প্রচুর সৈনিক স্নাইপারের গুলিতে নিহত হয়।

জরুরী মিটিং এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সৌদি সরকার মুসলিম রাষ্ট্র সমুহের ভিতর সবচেয়ে চৌকশ পাকিস্তানি আর্মি স্পেশাল ফোর্সের সাহায্য চায় । পাকিস্তান আর্মি এসে সম্মিলিত ভাবে নতুন করে চক কষে। রাতের মধ্যে পুরো মক্কা খালি করে ফেলা হয়! শূন্য হয়ে যায় মক্কা নগরী।

এই পর্যায়ে এসে সম্মিলিত বাহিনীকে ধর্মীয় বাধার সম্মুখীন হতে হয়। বাইরে যতটুকু খবর গেছে, তা থেকে ফতোয়া কমিটি দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছিল, এটি কি আসলেই ভবিষ্যৎবাণীর সাথে মিলে যাচ্ছে? নাকি বানোয়াট? অনেক কিছুই মিলছে, আবার মিলছেও না। তাছাড়া হারাম শরিফে রক্তপাতের আদেশ কি দেয়া উচিৎ হবে? ইত্যাদি। উল্লেখ্য,মানুষতো অনেক দূর সাধারণ অবস্থায় মক্কাতে গাছও উপড়ে ফেলা যায় না, গাছের প্রাণ নিধনও হারাম। ফতোয়া কমিটির প্রধান আবদুল্লাহ ইবনে বাজ- সংশয়ে পড়ে যান।

ক্বাবা শরীফের পুরো নিয়ন্ত্রণ তখন জুহাইমানের হাতে। সে ক্বাবা শরীফের সবকটি টেলিফোন লাইন কেটে দিলো। ক্বাবা শরীফের মিনারের উপর তার বাহিনীর লোক নিয়োজিত করলো যাতে কেউ সামনে আসলেই তাকে হত্যা করা যায়। তারপর মাইকে ( যার আওয়াজ মক্কার অনেক জায়গায় শোনা যেত ) সে দাবী জানালো রাজ পরিবারের ক্ষমতা তার কাছে হস্তান্তর করার জন্য।

সৌদীআরব সরকার এই প্রথম এইরকম ভয়াবহ সমস্যার সম্মুখীন হলো। ক্বাবা শরীফে কি ঘটছে তা তাদের কাছে ধোয়াটে। যখন বুঝলো যে সন্ত্রাসীরা ক্বাবা শরীফ দখল করে নিয়েছে, তখন তারা ঠিক করতে পারলো না তাদের কি করা উচিত কারণ ক্বাবা শরীফে সকল প্রকার যুদ্ধ, বিগ্রহ, হত্যা নিষিদ্ধ। সৌদীআরব সরকার আগেই ফতোয়া কমিটির প্রধান উলেমা আব্দুল আজিজ বিন বাজের কাছে ফতোয়া চায়। আব্দুল আজিজ অন্য উলেমাদের সাথে পরামর্শ করে ফতওয়া দিলেন যে এ পরিস্থিতিতে ক্বাবা শরীফ সন্ত্রাসীদের থেকে পুনরুদ্ধার করতে সৌদীআরব সরকার পাল্টাআক্রমন চালাতে পারবে । সৌদীআরব সরকার তৎক্ষণিক সেনাবাহিনী ও সৌদি ন্যাশনাল গার্ডের সৈন্য পাঠাল। কিন্তু মিনারে মিনারে ওৎ পেতে থাকা জুহাইমান বাহিনী গুলি করে সহজেই সৈন্যদের হত্যা করতে লাগল।

ক্বাবা শরীফের ভেতরে ৫০,০০০ মুসলমান হয়ে পড়ল অবরুদ্ধ। সংকটের মধ্য দিয়ে তিন দিন কেটে গেল। সৌদীআরব সরকার অসহায়, এই বিপর্যয় সামলানো তাদের জন্য কঠিন। কিন্তু এক সময়ে সবার জন্য খাবার সরবরাহ করতে না পেরে অন্যান্য মুসলমানদের জুহাইমান বাহিনী বাইরে যেতে অনুমতি দিলো। এই সুযোগে ক্বাবা শরীফের ঈমাম মুহাম্মাদ ইবনে সুবাইইল, যিনি জুহাইমান আর কথিত ঈমাম মাহদীর কথা ও আচরণে বুঝতে পেরেছিলেন যে পুরো ঘটনাটি উগ্র এবং বিপদগামী কোন গোষ্ঠির কাজ,তিনি মুক্তদের সাথে কৌশলে বেড়িয়ে গেলেন এবং সৌদীকর্তৃপক্ষকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করলেন।


পবিত্র হারাম শরীফ ঢুকার চেষ্টা করছে যৌথ বাহিনী ।

সৌদীকর্তৃপক্ষ জুহাইমান ও কথিত ঈমাম মাহদীকে আত্মসমর্পণ করার আহবান জানালো। কিন্তু জুহাইমান অনমনীয়। সে মাইকে তাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া পেশ করতে লাগল। তার দাবী দাওয়ার মধ্যে ছিল নারীদের যে কোন রকমের শিক্ষা থেকে বিরত রাখা, সৌদীআরবের সব টেলিভীষণ বাজেয়াপ্ত করা ও সৌদীআরব থেকে সব অমুসলিম বিতাড়িত করা। সৌদীআরব সরকার দাবী মানতে অস্বীকৃতি জানায়। কেটে গেলো আরও কয়েকদিন।

এমতাবস্থায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় অবরোধের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের ভাতে মারা হবে। কিন্তু বোঝা গেল, তারা প্রচুর খেজুর নিয়ে ঢুকেছে, আর জমজম কূপ থাকায় পানিরও সমস্যা নেই তাদের।
সুতরাং এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে সৌদি সরকার ফ্রান্সের কাছে কমান্ডো সহযোগিতা চায়। ফ্রান্স সরকার সাথে সাথে তিন জন কমান্ডো পাঠায় যারা প্রত্যেকে ৩০০ সন্ত্রাসীকে প্রতিরোধে সক্ষম।

দেখা দেয় আরেক বিপত্তি। তিন জন কমান্ডো ছিল অমুসলিম। ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী কোন অমুসলিম হারাম শরিফে প্রবেশ করতে পারেনা। বিষয়টি জানানোর পর পেশাদারিত্বের স্বার্থে তিন জন কমান্ডো ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে সন্মত হন। পরে একটি সংক্ষিপ্ত ধর্মান্তরযজ্ঞে মাধ্যমে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে অপারেশনে অংশ নেন।


ক্ষতিগ্রস্ত পবিত্র হারাম শরিফে অভ্যন্তড়ের দৃশ্য

তিন কমান্ডোর নেত্রিত্বে সৌদি সেনাবাহিনী ও পাকিস্তানি স্পেশাল ফোর্স কয়েকবার আন্ডারগ্রাউন্ড সুড়ঙ্গ দিয়ে মিশনের চেষ্টা করে। তারা কাউকে নিশানা করতে ব্যর্থ হয়। ক্বাবা ঘরের আন্ডার গ্রাউন্ড সম্পর্কে তাদের কোন ধারনা ছিল না।
তখন ক্বাবা শরীফের নির্মাণকাজে নিয়োজিত ছিল বিন লাদেন কন্সট্রাকসন কোম্পানি। সৌদীকর্তৃপক্ষ তাদের কাছ থেকে জেনে নেয় ক্বাবা শরীফের ভেতরের বিবরণ। ক্বাবা শরীফের নীচে রয়েছে কয়েকশো ঘর, রয়েছে হাজারটা গলি। এসবের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ বিন লাদেন কন্সট্রাকসন কোম্পানির ইঞ্জিনিয়াররা সৌদীকর্তৃপক্ষকে জানায়। ততক্ষণে সৌদীসেনাবাহিনীকে সাহায্য করতে আসা ফরাসী বিশেষ কমান্ডো বাহিনীর সাথে যোগ দেয় পাকিস্তানের এক বিশেষ কমান্ডো দল। তিন দেশের বাহিনী মিলে পরিকল্পনা করে ক্বাবা শরীফ পুনরুদ্ধারের।


ক্ষতিগ্রস্ত পবিত্র হারাম শরিফে অভ্যন্তড়ের দৃশ্য

নয় দিনের মাথায় সন্ত্রাসীমুক্ত করার উদ্দেশ্যে সম্মিলিত বাহিনী তাদের ট্যাংক ও কামান বহর নিয়ে ক্বাবা শরীফের কাছে অবস্থান নেয়। সকাল গড়িয়ে দুপুর আসে। এক পর্যায়ে তারা শুরু করে গোলা ছোড়া। ফরাসী বিশেষ কমান্ডো বাহিনী সৌদীআরবের পদাতিক বাহিনীকে নিয়ে এগিয়ে যায় দ্রুত। জুহাইমানের বাহিনী অবস্থান নেয় কাবা শরীফের ফটকের কাছে ও ভু-গর্ভস্ত অংশে। হয় তুমুল যুদ্ধ।

ভূগর্ভস্থ অংশ থেকে সন্ত্রাসিদের বের করে আনতে ফরাসী বিশেষ কমান্ডো বাহিনী এরপর পানি দিয়ে ক্বাবা শরীফের পুরো মেঝে পরিপূর্ন করে দেয় এবং তার মধ্যে বৈদ্যুতিক তার ছেড়ে দিয়ে বিদ্যুততাড়িত করে দেয় জায়গাটা। এতে জুহাইমান বাহিনী কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। হয়ে পড়ে কিছুটা ছন্নছাড়াও। এবার সেনাবাহিনী শুরু করে বেপরোয়া গুলি। হেলিকপ্টার থেকে পাকিস্তানি কমান্ডোরা মিনারে মিনারে নেমে গুলি চালাতে থাকে । এতে মৃত্য হয় কথিত ঈমাম মাহাদী মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ সহ তার বেশ কিছু অনুসারীর।


যুদ্ধে নিহত কথিত এবং ভন্ড ইমাম মাহদী, মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ

তখনো ভু-গর্ভের উঁচু অংশে লুকিয়ে আছে কিছু সন্ত্রাসী। এদের কব্জা করার জন্য ফরাসী বিশেষ বাহিনী, তাদের সাথে আনা বিষবাষ্প, ভু-গর্ভস্ত ঘর গুলোতে ছড়িয়ে দেয়। তারপরও কিছু সন্ত্রাসী রয়ে যায়। এবার সৌদীআরব সেনাবাহিনী উপর থেকে ভু-গর্ভস্ত অংশে গর্ত করে গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে ভেতরে থাকা সন্ত্রাসী অনেকে মারা যায়, বাকীরা বেড়িয়ে আসে। সেনাবাহিনী তখন ঘটনার মুল পরিকল্পনাকারী জুহাইমান ও তার সত্তর জন সহযোগীকে গ্রেফতার করে।

সেনাবাহিনীর হাতে বন্দী জুহাইমানের ৬৭ জন সহযোগী যাদেরকে পরবর্তীতে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়

এই ঘটনায় ১২৭ জন সেনাবাহিনী এবং পুলিশ সদস্য মারা যায়, আহত হয় ৪৫১ জন। জুহাইমান বাহিনীর মারা যায় ২৬০ জন সন্ত্রাসী। ক্বাবা শরিফ সন্ত্রাসীদের দখলে থাকে দুই সপ্তাহ। এই পুরো সময় পবিত্র হারাম শরীফে কোন রকম তাওয়াফ হয় নি, হয় নি কোন নামাজ।
খবর ছড়িয়ে যাবার পর ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি এটিকে ইহুদী-নাসারার চক্রান্ত বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, “সন্দেহ নেই, এটা সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকান ক্রিমিনাল আর আন্তর্জাতিক ইহুদিবাদিদের ষড়যন্ত্র।” ফলে সারা বিশ্বে মুসলিমদের মধ্যে আমেরিকাবিদ্বেষ গড়ে উঠতে থাকে। পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস পুড়িয়ে দেয়া হয়। লিবিয়ার ত্রিপোলিতেও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ভেঙে পুড়িয়ে দেয় ক্ষুব্ধ মানুষ।

তথাকথিত ইমাম মাহদি সেই ঘটনাতে নিহত হয়। জুহাইমান আর তার ৬৭ অনুসারী গ্রেফতার হয়। গ্রেফতারের তিন দিন পর জুহাইমান এবং তার সকল সহযোগীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।

লিঙ্ক সমুহ-
এ্‌ক,
দুই,
তিন,
চার,
পাঁচ।




সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩
৩৯টি মন্তব্য ৩৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দেশনায়ক তারেক রহমানকে সম্পৃক্ত করার নেপথ্যে  

লিখেছেন এম টি উল্লাহ, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৮


আগেই বলেছি ওয়ান ইলেভেনের সরকার এবং আওয়ামীলীগের যবনায় জনাব তারেক রহমানের বিরুদ্ধে পৌনে একশ মামলা হলেও মূলত অভিযোগ দুইটি। প্রথমত, ওই সময়ে এই প্রজন্মের নিকট উপস্থাপন করা হয়েছিল দেশনায়ক তারেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্পকে নিয়ে ব্লগারদের রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



**** এডমিন টিমের ব্লগারেরা আমাকে বরাবরের মতোই টার্গেট করে চলেছে, এভাবেই সামু চলবে। ****

ট্রাম্পের বিজয়ে ইউরোপের লোকজন আমেরিকানদের চেয়ে অনেক অনেক বেশী শংকিত; ট্রাম্প কিভাবে আচরণ করবে ইউরোপিয়ানরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্পের বিজয়, বিশ্ব রাজনীতি এবং বাংলাদেশ প্রসংগ

লিখেছেন সরলপাঠ, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২১

ট্রাম্পের বিজয়ে বাংলাদেশে বা দেশের বাহিরে যে সব বাংলাদশীরা উল্লাস করছেন বা কমলার হেরে যাওয়াতে যারা মিম বানাচ্ছেন, তারাই বিগত দিনের বাংলাদেশের ফ্যাসিস্টের সহযোগী। তারা আশায় আছেন ট্রাম্প তাদের ফ্যাসিস্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঠেলার নাম বাবাজী !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩১

এক গ্রামীণ কৃষক জমিদার বাড়িতে খাজনা দিতে যাবে। লোকটি ছিলো ঠোটকাটা যখন তখন বেফাস কথা বা অপ্রিয় বাক্য উচ্চারণ করে ক্যাচাল বাধিয়ে ফেলতে সে ছিলো মহাউস্তাদ। এ জন্য তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×