অনেক দিন ব্লগে কোন কৌতুক পোস্ট দেখিনা, তাই -----
১/ এক মাতাল একটা রেস্তোরাঁয় গোলমাল করায় চার জন বেয়ারা তাকে ঘাড় ধরে ফুটপাতে ছুড়ে ফেলে দিল।
বাইরে লোকজন ততক্ষণে জমে গেছে।
লোকটি তৎক্ষণাৎ উঠে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলল, আমাকে এভাবে হেনস্থা করা! খাড়া দেখাচ্ছি তোদের! এই বলে সমবেত লোকদের উদ্দেশ্যে বলল, আমি ভেতরে গিয়ে ওই চার বেয়ারাকে এক এক করে এক্ষুনি রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলছি আপনারা দেখুন।
লোকটি হুড়মুড় করে রেস্তোরাঁয় ঢুকে পড়ল। একটু পরেই একজন ফুটপাতে এসে মুখ থুবড়ে পড়ল।
সমবেত লোকজন হরষধ্বনি দিয়ে উঠলো- সাব্বাস! সাথে কাউন্ট আপ! ১,১,১,---
পড়ে থাকা লোকটির কণ্ঠস্বর শোনা গেল, ধুর মিয়ারা! কিসের এক এক করছেন, ওরা আমাকেই আবার ছুড়ে ফেলেছে!
২/ “এক মোরগ আর একটা হাসকে অপরাধ করার জন্য জেল খানায় ঢুকানো হয়েছে। মন তাদের খারাপ খুব। হাসটি মোরগকে জিজ্ঞেস করলো – আচ্ছা ভাই, এরা কি আমাদের পাঁলক ছেটে দেবে? মোরগ বললো, আমি তো ঠিক বলতে পারবো না; তুমি বরং ঐ কোনায় বসে থাকা ইঁদুরটাকে জিজ্ঞেস করো। হাস তখন ইদুঁরকে জিজ্ঞেস করলো, আচ্ছা ইঁদুর ভাই, এরা কি আমাদের পালক ছেটে দেবে? ইঁদুর টা গম্ভীর হয়ে বললো – আমি ইঁদুর নই, আমি শজারু”।
৩/ মহরমের বিরাট মিছিল বের হয়েছে। সেই মিছিলের মাঝামাঝি অবস্থানে আট দশ জন যুবক লোহার চেইন দিয়ে তাদের পিঠে আঘাত করছে আর হাই হোসেন, হাই হোসেন বলে সুর করে মাতন করছে। চেইনের আঘাতে তাদের পিঠ রক্তাক্ত হয়ে গেছে, তবুও থামছে না তারা। দেখা গেল বিদেশী এক ভদ্রলোক সেই মিছিল ঠেলে মিছিলের মাঝখানে যাবার চেস্টা করছেন রক্তের উৎস কোথায় তা দেখার জন্য। তিনি গিয়ে দেখলেন ঘটনা কি ঘটছে। অবাক হয়ে এ সব কান্ড দেখে কিছু বুঝতে না পেরে তিনি একজনকে জিজ্ঞেস করলেন – মাফ করবেন স্যার, এই লোকগুলো এভাবে নিজেদের আঘাত করে রক্তাক্ত হচ্ছে কেন? ভদ্রলোক তখন বিদেশীকে সেই ১৪০০ বছর আগে কারবালায় কি ঘটেছিল তার একটা ছোটখাটো বর্ননা দিলেন। বিদেশি ভদ্রলোক সব শুনে কিছুটা দিশেহারা হয়ে বললেন – “তা এরা কি সেই খবর আজই পেল?”
৪/ রেস্তোরাঁয় ঢুকে চার পাঁচ পদের দামি খাবার খেয়ে একটা পান মুখে দিয়ে ভদ্রলোক বেয়ারাকে ডেকে বললেন, “এখানকার ম্যানেজারকে একবার ডেকে দাও”।
বেয়ারা ম্যানেজারকে ডেকে দিল। ম্যানেজার আসল।
ভদ্রলোক বললেন, আপনি আমাকে চিনতে পারেন? দুই বছর আগে আমি এই রেস্তোরাঁয় খাওয়ার সময় সামান্য কুড়ি টাকা দিতে পারি নি। মনে পড়ে, সে সময় আপনি বেয়ারাদের দিয়ে আমাকে মেরে রাস্তায় ফেলে দিয়েছিলেন?
- আমাদের মাফ করবেন স্যার, সে সময় ভুল করে আপনাকে…..
-আপনি ক্ষমা চাইছেন কেন? আপনি আপনার বেয়ারাদের ডাকুন।
- অবশ্যই স্যার এক্ষুনি তারা আপনার কাছে ক্ষমা চাইবে।
- না না ক্ষমার কথা আসছে কেন? আজও আমার কাছে টাকা নেই, তারা কাজ শুরু করুক।
৫/ এক মৌলবী সাহেব সাধ্যমতো ধর্মকর্ম করতেন আর সময় পেলেই করতেন ওয়াজ। মৃত্যুর পর তিনি বেহেশতে ছোটখাটো একটা বালাখানা পেলেন। আর অল্প কিছু দাস দাসী। সেখানে তার সুখেই দিন কাটতে লাগল।
একদিন মর্নিং ওয়াক সেরে ফেরার পথে তিনি পাশের আলিশান বালাখানাটার মালিকের দেখা পেয়ে গেলেন। আরে , এ যে তাঁর দুনিয়ার প্রতিবেশী বাস ড্রাইভার। লোকটা মদ খেত, বউকে পেটাত, জুয়া খেলত। আর সেই কিনা বেহেশতে এমন বালাখানা হাঁকিয়ে বসেছে!
মৌলবী সাহেব একদিন ফেরেশতার দেকা পেয়ে রহস্যটা কী জানতে চাইলেন।
ফেরেশতা বলল, আপনার বালাখানা ছোট হবার কারন হল, আপনার ওয়াজ অধিকাংশ শ্রোতা মনে রাখে নি। দু’ একজন মাত্র আল্লাহর নাম
মৌলবী সাহেব বললেন, তা ওই ড্রাইভার ব্যাটা কী করেছে, জানতে পারি কি!
ফেরেশতা বলল, সে যখন দু’ বোতল দেশী মদ টেনে বাস চালাত, তখন বাসের সকল যাত্রী তো বটেই, রাস্তার সব পথচারীও আল্লা! আল্লা! করত। তারই পুরস্কার ওই বিশাল বালাখানা।
অনেক হিতাকাঙ্ক্ষী পোস্টটিকে হিটাকাংখী ভাবতে পারেন, তাই শিরোনামে ১৮্+ দেয়নি। নিচের জোকটা মনে হয় সেরকম তাই ছোটদের জন্য আর নিচে না যাওয়ার নির্দেশনা রইল।
৬/ বিদেশে পড়াশোনা করতে গিয়ে এক মেয়ে সেখানে এর ছেলেকে বিয়ে করে বসে। ছেলেটির আবার একটি পা ছিল না।
মেয়েটি মাকে চিঠিতে জানালো- মা তুমি শুনে হয়তো দুঃখ পাবে তবুও বলছি- মাই হাসব্যান্ড হ্যাজ অনলি ওয়ান ফুট!
উত্তরে মা লিখেছে- দুঃখ করিস না মা, তোর আব্বারটা মোটে পাঁচ ইঞ্ছি!!!
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৪৭