“মাগো, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফেরে .....” [ ছবি ও লেখা ব্লগ ]
[তৃতীয় এবং শেষ পর্ব ]
“মাগো, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফেরে .....” ২য় এবং ১ম পর্ব।
বিজন আকাশ পারে
কে যেন ডাকিছে মোরে
রঙের পেখম মেলি......
ছবি : ট্যারানটুলা নেবুলা , টেলিস্কোপের চোখে ।
হ্যা, আট হাত-পাওয়ালা ভয়ঙ্কর মাকড়সা ট্যারানটুলার মতোই দেখতে আকাশে এই রঙের খেলাটি । তাই নাম – ট্যারানটুলা নেবুলা । ১ লক্ষ ৭০ হাযার আলোকবর্ষ দূর থেকে আসা এই আলোকদৃশ্য আপনার চোখে ধরা দেবে দক্ষিন আকাশে ।
বিশাল ম্যাজেলানিক মেঘমালার (Large Magellanic Cloud) মিয়্যুজিয়ামে ঝোলানো আছে ছবিটি । এতো দূরে থেকেও এর উজ্বলতা এতোটাই যে, যদি ওরিয়ন নেবুলার দুরত্বে এটি আপনার কাছেই থাকতো তবে তার আলোতে সূর্য্যের মতোই আপনার ছায়া পড়তো পৃথিবীর গায়ে । তখন ---- যার ছায়া পড়েছে মনের আয়নাতে.... গানটির মতো আপনার আকাশের আধেকটাই জুড়ে থাকতো তার ছবি । এ পর্য্যন্ত আপনার জানা সবচেয়ে উষ্ণ , সবচেয়ে উজ্বল আর সবচেয়ে বড় দানবাকৃতি নক্ষত্রের রঙ মিশিয়েই আঁকা হয়েছে এই ধুম্র মেঘমালা, ১১০০ আলোকবর্ষ আয়তনের মহাকাশের ক্যানভাসে। নাসার শক্তিশালী তিন তিনটি অবজারভেটরী – হাবল, চন্দ্রা আর স্পিৎজারের টেলিস্কোপিক তুলি দিয়ে আঁকা হয়েছে ছবিটি ।
ছবি : ট্যারানটুলা নেবুলার ব্যবচ্ছেদ .....
ট্যারানটুলা নেবুলার ছবিটির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে যে বিশাল দৈত্যাকারের তারাগুলো, তাদের রঙের আলোতেই উদ্ভাসিত এই ধুলোর মেঘমালাটি । এই তারাদের মোট ভর চার লক্ষ পঞ্চাশ হাযার সূর্য্যের ভরের সমান । তাই এতোগুলো সূর্য্যের দীপ্তি নিয়ে সে তো সুদূরের আকাশ রাঙিয়ে তুলবেই ! রাঙিয়ে তুলবে আপনার মনটাকে ও ।
মন মোর উড়িবারে চায়
অসীম আকাশের গায়,
নেচে নেচে, গানে গানে -
জানি - জানি তুমি রহিবে চেয়ে
আমারই পানে .....
ছবি : প্রজাপতি, প্রজাপতি পাখনা মেলো.... বাটারফ্লাই নেবুলা ।
সূর্য্যের চেয়ে পাঁচগুন বেশী ভর নিয়ে একটি মৃতপ্রায় নক্ষত্রের শুককীট থেকে জন্ম নিচ্ছে একটি অপরূপ প্রজাপতি । শান্ত একটি প্রজাপতির মতো মনে হলেও আসলে সে তা নয় । পাখনাগুলোকে ছুঁইয়ে দেখার সাধ আপনি ভুলেও করবেন না যেন কোনদিন । কারন প্রজাপতির মেলে দেয়া পাখনায় আগুন যেন তার পরশমনি ছুঁইয়ে গেছে । বিশ হাযার (২০,০০০) ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা নিয়ে উত্তাল কুন্ডলীকৃত গ্যাস, কেন্দ্রে থাকা মৃতপ্রায় নক্ষত্রটির বুক ফেটে ছড়িয়ে যাচ্ছে দু’দিক থেকে ঘন্টায় ৯৫০,০০০ কিলোমিটার বেগে । একটি মরনোন্মুখ নক্ষত্রের কি প্রজাপতি হয়ে পাখনা মেলার ইচ্ছে ? হয়তো !
জ্যোতির্বেত্তারা এমন সুন্দর একটি প্রজাপতিকে “প্লানেটারী নেবুলা”র শ্রেনীতে ফেলেছেন । কারন ছোটখাটো একটি টেলিস্কোপের চোখেও নক্ষত্রটিকে গ্রহের মতো গোলাকারই দেখাবে । মহাশূন্যে ১৯ বছরের পুরনো হাবলকে সারাতে আর আপগ্রেড করতে গিয়ে ২০০৯ সালের মে মাসে নাসার নভোচারীরা যে নতুন একটি ক্যামেরা বসাচ্ছিলেন তাতেই ধরা পড়েছে এই মহাকাশীয় প্রজাপতিটি ।
...নিউ জেনারেল ক্যাটালগ অব নেবুলা এ্যান্ড ক্লাস্টার অব ষ্টারস.... যাকে সংক্ষিপ্ত করে ডাকা হয় এন,জি,সি (NGC) সেখানে এটাকে নথিভূক্ত করা হয়েছে এন,জি,সি – ৬৩০২ নামে । জ্যোতির্বিদ্যায় মহাকাশের গভীরে থাকা সব বস্তুকেই চিহ্নিত করে করা এই ক্যাটালগটি সুপরিচিত হয়তো আপনার কাছে । এন,জি,সিতে এরকম ক্যাটালগকৃত মহাকাশীয় বস্তুই আছে আট হাযারের মতো ।
মাত্র ৩৮০০ আলোকবর্ষ দূরে আপনার ছায়াপথ গ্যালাক্সির স্কর্পিয়াস কনষ্টিলেশনে রয়েছে এন,জি,সি – ৬৩০২ । সেখানে ২২০০ বছর আগে এই বাটারফ্লাই নেবুলাটি তার পাখনা মেলতে শুরু করেছে । এর মধ্যেই তার পাখনার ব্যাপ্তি ২ আলোকবর্ষ ছাড়িয়ে গেছে । বাটারফ্লাই নেবুলাটি তার পাখনা আরও মেলুক আর আপনার মনের সব আঁধার কোনে কোনে রঙের রঙ মশাল জ্বালুক ।
এইখানে শূন্যে, উঠেছে অজেয় পাহাড়
একটি হিমালয় যেন আকাশের ভেতর,
রহস্যে ঘেরা আগুনের তনুখানি তার....
ছবি : দ্য মিস্টিক ফ্যান্টাসী মাউন্টেন ।
ছবি : ফ্যান্টাসী মাউন্টেনের একটুকরো অংশ যেখানে উজ্বলতা ছড়াচ্ছে সদ্য জন্মানো শিশু নক্ষত্রের দল ।
৭৫০০ আলোকবর্ষ দূরের কারিনা নেবুলার ভেতর গড়ে উঠেছে তিন আলোকবর্ষ উঁচু এই গ্যাস আর ধুলোর পাহাড়টি । আগুনের হল্কা তার গায়ে । আশেপাশের উত্যক্তকারী বিশাল বিশাল তারাদের (ষ্টার টিজার) প্রচন্ড রেডিয়েশান আর আয়নিত ধুলিকনার তীব্র ঝড়ো বাতাসে এই পাহাড়ের আবরন খসে খসে যাচ্ছে ধ্রৌপদীর বস্ত্রহরনের মতো । তাই আয়নিত উষ্ণ গ্যাসের বিচ্ছুরন তার প্রান্ত জুড়ে । তার কোলে জন্ম নেয়া শিশু তারাদের রঙে রাঙানো অক্সিজেনের স্বচ্ছ নীল ওড়না উড়ে উড়ে যাচ্ছে তার শীর্ষ থেকে । হাইড্রোজেন আর নাইট্রোজেন কুন্ঠিত হয়ে সবুজ হয়ে উঠেছে । সালফার গ্যাস লজ্জায় হয়ে গেছে কমলা-লাল । রেডিয়েশানের লোলুপ হাতে লজ্জা খসাতে দেবেনা বলে আয়নিত গ্যাস আর ধুলোরা কেউ কেউ ভেতরে ভেতরে জমাট বেঁধে কালচে রঙ ধরে ঘাপটি মেরে বসে আছে যেন । পরতে পরতে গ্যাসীয় এই রঙের লাজরাঙা খেলা তার সারা তনুমন জুড়ে । তবুও শেষ রক্ষা হবে তো ?
২০১০ সালের ১লা ফেব্রুয়ারী হাবল স্পেস সেন্টারের ওয়াইল্ড ফিল্ড ক্যামেরা -৩ (WFC-3) এর এই ছবি বলছে শেষ রক্ষা বুঝি আর হলোনা ! যে হারে এই পাহাড়ি মেয়ের শরীর থেকে আবরন খসে যাচ্ছে ( ছবিতে মধ্য শিখর থেকে খসে উড়ে যাচ্ছে ধুলোর খন্ড মেঘ ) তাতে মাত্র কয়েক মিলিয়ন বছরের ভেতরেই এই রহস্যে ঘেরা পাহাড়টির রঙ মুছে যাবে আকাশের গা থেকে ।
মহাপ্রস্থানের পথে
মরনের ধুপছায়া মাখি
জুড়াইছি তব আঁখি ।
মরনের পরে ....
কে তুমি পূজিবে মোরে
আজি হতে অযুত বছর পরে ?
ছবি : বাটারফ্লাই নেবুলা M2-9 ।
মৃত্যুর কি কোনও রঙ থাকে ! মৃত্যুর ছবি কি শিল্পে ঐশ্বর্য্যমন্ডিত হয়ে ওঠে ! হয়তো !
তাই আকাশের নিবিড় বুক থেকে হারিয়ে যাওয়ার আগে নক্ষত্রেরা এমনিই রঙ ছড়ায় বুঝি !
আসলেও তাই । মহাপ্রয়ানের পথে দুটি নক্ষত্রের একত্রে জড়াজড়ি করে নিঃশেষ হয়ে যাবার ছবি এটি ।
ছবি : ১৯৯৮ সালে হাবল ওয়াইড ফিল্ড প্লানেটারী ক্যামেরা - ২ এ চারটি ন্যারো ব্যান্ড ফিল্টার ব্যবহার করে তোলা রূপসী M2-9 ।
আদিগন্ত নিঃসীম আকাশের কালো অন্ধকারে এরকম আবেগে জড়াজড়ি করে থাকা অনেক বে-শরম নক্ষত্র জুটিই (binary star system) দেখতে পাবেন আপনি ।
এটিও তাই - M2-9 বা বাটারফ্লাই বা জেট নেবুলা । পৃথিবী থেকে কনষ্টিলেশন “অফিয়্যুকাস”য়ের দিকে ২১০০ আলোকবর্ষ দূরের এই দ্বৈতনক্ষত্র জুটির মরনের আগে হেচকি তোলার নান্দনিক একটি ছবি । প্লুটোর কক্ষপথের চেয়ে দশগুন বড় এলাকা নিয়ে জুড়ে থাকা গ্যাস-বলয়ের ভেতরে অন্তিম শয়ানে একে অপরকে আলিঙ্গনে বেঁধে রেখে নক্ষত্র দুটি গুনছে মৃত্যুপ্রহর ।
ছবির মাঝখানের উজ্বলতাটুকু মূল নক্ষত্রের অন্তিমদশা । পরষ্পরের তুমুল আকর্ষনের আবেগে নক্ষত্র দুটির বুক থেকে যে গ্যাস ফুলে ফেঁপে উঠছে তাইই ছড়িয়ে যাচ্ছে দুদিকে । মাত্র ১২০০ বছর আগে এই উদগার, গ্যাসীয়বলয় থেকে ছুটে চলার পথে তাকে দিয়ে গেছে এই প্রজাপতি রূপটি । প্রতি সেকেন্ডে ২০০ মাইল বেগে ছিটকে বেড়িয়ে আসা এই গ্যাসীয় স্রোতকে আপনি ----- সুপার-সুপারসনিক জেট --- বললেও কোনও ক্ষতি নেই । নভোচারীরা বলছেনও তাই – জেট নেবুলা ।
এমন নৈঃস্বর্গিক রূপ-রঙ নিয়ে আমাদেরও জীবনাবসান হবে কি ? কে জানে .......
আকাশে এখন খুব নীরবতা
জমেছে আঁধার গাঢ়,
হৃদয়ে প্রেমের গল্প
হে প্রিয়তমা, কাছে এসো আরও .
ছবি : পৃথিবী থেকে ৬২ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে দুটি গ্যালাক্সির কাছে আসা ।
শুধু যে চন্দ্রিমা আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হাত ধরাধরি করে কাছে বসে থাকা জুটির দেখা মিলবে আপনার তা নয়; আকাশের উদ্যানেও আপনি এরকম জুটি দেখতে পাবেন ঢের ঢের ।
এদুটি গ্যালাক্সির দেখা হয়েছিলো ১০০ মিলিয়ন বছর আগে । সে থেকেই তারা প্রেমে মশগুল । দুজনার ভেতরে জমে থাকা প্রচন্ড আবেগের তাড়নায় (combined force of their awesome gravity) দুজনে দুজনাকে ঘিরে নৃত্যরত আজও । এই প্রেমজ ঔরসে জন্ম হচ্ছে আরও হাযার হাযার নক্ষত্র । এদের ভেতরে থাকা বৃহদাকার নক্ষত্রগুলো অনেক আগেই সুপারনোভা হয়ে ঝরে গেছে । নীরব আকাশে এ দুটি গ্যালাক্সির হৃদয়ের এই গল্প পাপারাজ্জিদের মতো তুলে এনেছে নাসার (NASA’s space telescopes) মহাকাশীয় তিন তিনটি টেলিস্কোপ । ছবির নীল রঙ, চন্দ্রা এক্স-রে অবজারভেটরীর তোলা । সুপারনোভা বিষ্ফোরণের ফেলে যাওয়া অক্সিজেন , আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম আর সিলিকন মেশানো মেঘমালার রঙ । হাবল স্পেস টেলিস্কোপ তুলে এনেছে এর সোনালী আর খয়েরী রঙ । স্পিৎজার স্পেস টেলিস্কোপ ধরেছে তার লাল রঙটি । এই রঙ নতুন জন্ম নেয়া নক্ষত্রদের উত্তাপে উত্তাপে রঙিন হয়ে যাওয়া উষ্ণ গ্যাসের ।
১৯৯৯ থেকে ২০০২ সাল নিয়ে ১১৭ ঘন্টা লেগে থেকে এই তিনটি পাপারাজ্জির তোলা এই অনিন্দ্য সুন্দর ছবিটি শুধু আপনার জন্যেই । তবে কবে যে এরা দুজন একে অন্যের মাঝে বিলীন হয়ে যাবে , জন্ম দেবে অন্ধকারের এক অতল গহ্বর সময়ই তা বলে দেবে । সেদিন কি আপনার কষ্ট হবে খুব !!!
ভবিষ্যতের ছবি আঁকে
কোন বিষন্ন কারিগর এসে !
তবে কি এই পৃথিবীর সব বিজন ঘাস
চাঁপাফুল মাখা এইসব মধুমাস
শেষ হবে রজনী শেষে ?
ছবি : ভবিষ্যতের ছবি । এ্যান্ড্রোমিডা আর ছায়াপথ গ্যালাক্সির যুগলবন্দী । তীব্র আকর্ষনে একে অপরের মাঝে হারিয়ে যেতে নেই মানা ......
কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পান ? যে ধাবমান কাল আমাকে – আপনাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে চলেছে এক দুঃসাহসী ভ্রমনের পথে ?
মহাবিশ্বের এই রূপ-রস-রঙের খেলায় .....মাগো, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফেরে ..... গানটিতে আর কতোদিন মজে থাকবেন আপনি ? আর কতোদিন আপনার জানালায় সূর্য্যের সোনালী আলোর ঝিলিমিলি দেখতে পাবেন ? কতোদিন মায়াবী চাঁদের জ্যোৎস্নায় আপনার প্রিয়তমা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনবেন আপনার কবিতা ?
যা কিছু চাওয়ার , চেয়ে নিন সব । ভালোবেসে নিন সব তুচ্ছ তৃনলতা – মাটির সোঁদা শরীর – আকাশ,বাতাস আর সমুদ্রের ঘ্রান ।
মাত্র পৌনে চার বিলিয়ন বছর । তারপর হয়তো আর কিছু নেই । বলতে হবে – হে বন্ধু ; বিদায়... ।।
হাবল টেলিস্কোপের ধারন করা তথ্য নিয়ে নাসা (NASA) এমন ভয়ঙ্কর এক আকাশের ছবি এঁকেছেন । আপনার আকাশের হৃদয়কে বিদীর্ণ করে দেবে বলে প্রতি সেকেন্ডে ৬৮ মাইল বেগে ছুটে আসা এ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সির এই ভালোবাসার রঙ কী মনোহর ! বড় ভালোবাসা যেমন কাছে টানে তেমনি নাকি দূরেও ঠেলে দেয় ! এ ছবি কাছে টানার নয় – দূরে ঠেলে দেয়ার । এ এক ভাঙনের গল্প ।
ছবি : ফটোশপে চিত্রায়িত মহামিলনের গান .....
ভাঙনের আগে মিলন মূহুর্তের এই অপরূপ ভবিষ্যতের ছবিটি আরিজোনার প্রেসকট এলাকা থেকে দুটি ভিন্ন সময়ে ক্যামরায় তোলা ছবি নিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে ফটোশপ -৫ এ তুলে এনেছেন সীন পার্কার ।
মফস্বল শহর প্রেসকটের নির্মল আকাশ থেকে নিজের ১৪ ইঞ্চি টেলিস্কোপিক ক্যামেরায় সীন পার্কার তুলেছেন ছায়াপথ গ্যালাক্সির চিরায়ত ছবিটি । আর ছুটে আসা এ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সির ছবিটি আলাদা ভাবে তুলে , দুটোকে মিলিয়ে এঁকেছেন এক অচেনা ভবিষ্যতের পালাচিত্র ।
ছবি : রাতের আকাশে একদিন এ্যান্ড্রোমিডা আর ছায়াপথ গ্যালাক্সির শেষ উষ্ণ চুম্বন ...
চার মিলিয়ন বছর পরে এভাবেই বেজে উঠবে বিরহের বীণ , করুন অস্তরাগে । এ্যান্ড্রোমিডা আর ছায়াপথ গ্যালাক্সি যেদিন পরস্পরের টানে হৃদয়ভাঙার খেলায় মেতে উঠবে ।
সেদিন আপনি আর শোনাবেন না কোনও হৃদয়ের গান । কেউ এসে বলবেনা আর , ভালো আছো তো ...!
শুধু সেই মহা মিলনের দিনটুকু পর্য্যন্ত আপনার মনে হবে .........
খেলিছো এ বিশ্ব লয়ে
হে বিরাট শিশু আনমনে.........
শূন্য মহা আকাশে
তুমি মগ্ন লীলা বিলাসে
ভাঙিছো গড়িছো নিতি
ক্ষনে ক্ষনে
নিরজনে প্রভু নিরজনে ....
সূত্র : NASA / Wikipedia /
https://annoyzview.wordpress.com/
http://www.universeforfacts.com
http://www.skyimagelab.com/m16eanega.html
http://www.astromax.org/
http://earthsky.org/
http://www.spacetelescope.org/
http://apod.nasa.gov
http://www.nasa.gov/vision/universe/solarsystem/stereo1_prt.htm
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:০৪