বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের সব কিছুই প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে আবর্তিত । এ কারণে অনেকে এ ব্যবস্থাকে ‘প্রধানমন্ত্রীর এক নায়কত্ব’ বলে অভিহিত করেন । সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধণীর মাধ্যমে বিএনপির শাসনামলে (১৯৯১-৯৬) রাষ্ট্রপতিকে যেভাবে ক্ষমতাহীন করা হয়, তাতে দু:খ প্রকাশ করে আওয়ামীলীগের শাসনামলে (১৯৯৬-২০০১) দলের মনোনীত ও সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহম্মদ একবার বলেছিলেন ‘কবর জিয়ারত করা ছাড়া রাষ্ট্রপতির কোন কাজ নেই ।‘
গত ২৫ বছর অনেকটা পালাক্রমে ক্ষমতায় আসীন বিএনপি ও আওয়ামীলীগ যুক্তিসঙ্গতভাবে প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির মধ্যে ক্ষমতা বন্টনে সুশীল সমাজসহ অনেকের প্রস্তাবে কর্ণপাত করেনি । এখন বিএনপি নির্বাহী বিভাগে অর্থাৎ মুলত: প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে ক্ষমতার ভাসাম্য আনার কথা বললেও গত তিন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত বেগম খালেদা জিয়া তাঁর শাসনামলে কখনও প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনার কথা বলেন নি । শেখ হাসিনাও এ যাবত তাঁর শাসনামলে প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কখনও কোন বক্তব্য রেখেছেন বলে মনে পড়ে না । তবে সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে এরুপ দাবি অনেকবার উঠেছে ।
কিন্তু ‘প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকতে হবে’ এই তত্ত্ব স্বীকার করলে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে দ্বৈত্ব শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, যা রাষ্ট্রের কার্যকারিতা হ্রাস করবে । পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই তাই প্রধানমন্ত্রীর হাতেই বেশিরভাগ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এবং রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সমান্তরাল শাসন অসম্ভব বলে মনে করা হয় । তাই রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা খুব বেশি বাড়ানো তা রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর হবে না । তবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা কিছুটা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। এর ফলে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা খু্ব একটা কমবে না অথচ রাষ্ট্রপতি কিছু বিষয়ে তাঁর অবদান রাখতে পারবেন । এক্ষেত্রে নিম্নলিখিত সংস্কারসমুহ সাধন করা হবে :
প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে (হ্রাস):
১:১: সংবিধানে বিধান করা হবে-কেউ দলের প্রধান অথবা সেক্রেটারি জেনারেল হলে তিনি প্রধানমন্ত্রী কিংবা মন্ত্রী পদের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন । এবং একই ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না । বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার দুটি বড় উৎসের একটি হলো প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে থাকতে পারেন । এর ফলে প্রধানমনত্রীর কাজে স্বার্থের সংঘাত দেখা দেয় । দলীয় প্রধান হিসেবে তাঁর দলের সদস্যদের প্রতি একটা আনুগত্য রয়েছে । কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যখন তিনি শপথ নেন, তখন তাঁকে ওয়াদা করতে হয় যে, তিনি অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী গয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেবেন না । দলীয় প্রধানের পক্ষে এ ধরণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন অত্যান্ত কঠিন । কোন নিয়মতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় সরকার প্রধান বা প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিত্ব গ্রহনের পর দলীয় প্রধানের পদে আর থাকেন না এজন্য যে, দলের নেতৃত্ব ত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রতিটি দরের ও প্রত্যেক নাগরিকের প্রধানমন্ত্রীরুপে শাসনকাজে মনোযোগী হতে পারেন । তাছাড়া এই অবস্থায় রাজনীতি () ও শাসন ব্যবস্থায় () আবর্ত স্বতন্ত্র হয়ে ওঠে।
১:২: সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ পরিবর্তন এনে শুধু অনাস্থা প্রস্তাব পেশের সময় ব্যতীত অন্য সময়ে বিরোধী দলের আনীত উপযুক্ত প্রস্তাবের পক্ষে যেন সরকারি দলের যারা আগ্রহী তারা সমর্থন দিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা হবে । কেননা বর্তমান অবস্থায় ৭০ অনুচ্ছেদ শুধু সদস্যদের আনুগত্য বৃদ্ধি ছাড়া অন্য কোন লক্ষ্য অর্জন করে না । সদস্যদের সৃজনশীলতা অথবা যথার্থ বক্তব্যের সব পথ রুদ্ধ করেছে ।
১:২:১: সকল সাংবিধানিক পদ যথা: বিচারক, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সদস্য, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য, কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল, শাসনতান্ত্রিক পদের বাইরে যথা: দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য, তথ্য কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য অর্ন্তভুক্ত এবং অতিগুরুত্বপূর্ণ নিয়োগের ক্ষেত্রে উপযুক্ত আইনি কাঠামো তৈরি করা হবে : এ লক্ষ্যে নিরপেক্ষ সার্চ কমিটি গঠনের বিধান করা হবে । সার্চ কমিটির রুপরেখটি নিম্নরুপ করা হবে । যথা : নিয়োগে স্বচ্ছতাদান এবং আস্থার সংকটের অবসানের জন্য সার্চকমিটি গঠিত হবে যাদের ভাবমূর্তি ভালো ছিল এমন অবসরপ্রাপ্ত কর্মজীবী এবং শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিবৃন্দের সমন্বয়ে । এতদসঙ্গে সার্চকমিটির যাবতীয় কার্যক্রম জনসম্মুখে প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক করা হবে । কারও সম্পর্কে কোন তথ্য বা অভিযোগ থাকলে তা তাদের খন্ডাতে হবে ।উপযুক্ত শুনানির মুখোমুখি করা হবে । সার্চকমিটি কর্তৃক প্রস্তাবিত আধিকারিকজনের সম্মানার্থে এবং মহানুভবতা ও বিতর্ক এড়ানোর জন্য রাষ্ট্রপতি প্রকাশ্য লটারির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সংখ্যককে নিয়োগ দিবেন ।
১:২:২: সাংবিধানিক পদসমুহে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিচারকদের পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত জেষ্ঠ আমলা, অবসরপ্রাপ্ত রাজনীতিবিদ , টেকনোক্রেট, শিক্ষাবিদ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের থেকে অর্ন্তভূক্ত করার সুযোগ রেখে আইন প্রনয়ণ করা হবে ।
বর্তমান বাংলাদেশের সংবিধানে সাংবিধানিক পদে নিয়োগে ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর খেয়াল-খুশিকেই সবার উপরে স্থান দেওয়া হলেও কিছু ক্ষেত্রে আবার তা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যেও আইন তৈরির বিধান রাখা হয়েছে । সংবিধানের ৯৫ (২) গ, ১১৮ (১), ১৩৭ অনুচ্ছেদের আওতায় যথাক্রমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, নির্বাচন কমিশনার ও পিএসসির সদস্য নিয়োগে সার্চ কমিটি সরকার প্রবর্তন করতে পারে , অথচ ১৯৯০ সালের পরে বেগম খালেদা জিয়ার ১০ বছর ও শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে এ ধরণের পদে নিয়োগে উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্রে মেধা ও যোগ্যতা নয়, ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগত রাগ-অনুরাগের বহি:প্রকাশ ঘটানো হয়েছে । সেই সময়ের বিগত জোট সরকার তথাকথিত স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন করতে গিয়ে একটি সার্চ কমিটি গঠন করে । প্রধান বিচারপতির মনোনীত আপিল বিভাগের কোন বিচারকের নের্তৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটি একটি প্যানেল তৈরি করে । এর মধ্য থেকে দুদক চেয়ারম্যানসহ অন্য তিন সদস্য নিয়োগের এ ব্যবস্থাটি উত্তম হলেও বিসমিল্লাতেই গলদ সৃষ্টি হয় । বিতর্কিত সিইসি এমএ আজিজ এক্ষেত্রে খালেদা জিয়া সরকারের ইঙ্গিতে প্রথম অনিয়ম করেন । তিনি ইতিহাসের প্রথম সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকা জমা দিয়ে পরে তাতে অন্য নাম ঢোকান । এই দ্বিতীয় তালিকা তৈরিতে তিনি যে কমিটির আর বৈঠক ডাকেন নি । কাগজে কলমে তার প্রমান পাওয়া যাবে ।
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনার বাছায়ে সার্চ কমিটির ধারণা ইসিই প্রথমে দিয়েছিল, তারা যেভাবে বলেছিল সেটা হাসিনা সরকার কর্তৃক গঠিত সার্চ কমিটিগুলোর চেয়ে অনেক উন্নত প্রক্রিয়া ছিল । কিন্তু সেটা সরকারি দল নেয়নি । শুধু কাঠামোটা নিয়েছে এবং ফাঁকিটা ধামাচাপা দিয়েছে ।
১:৩: সংবিধানের ৫৫(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বা তাঁর কর্তৃত্বে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রযুক্ত হবে’ । এক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধণ করে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত একচ্ছত্র ক্ষমতা নমনীয় করা হবে । অন্যান্য সভ্য সমাজের মতো নির্বাহী ক্ষমতার কার্যকর অনুশীলন লিখিতভাবে মন্ত্রী সভার কাছে দিতে হবে । তাহলে ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীকে রেখে এতটা মারাত্বক উত্তেজনা সৃষ্টি হবে না ।
১:৪: কার্যবিধিমালায় প্রধানমন্ত্রীকে খুব বেশি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে । নিম্নে উল্লেখিত দুটি ক্ষেত্রে ক্ষমতা নমনীয় করা হবে । প্রথমত, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত হয়ে জারি করা হয় । এতে সংসদের তেমন কোন ভূমিকা নেই । কার্যবিধিমালা বিধির মাধ্যমে না করে আইনের মাধ্যমে জারি করার বিধান করা হবে । যাতে এই বিধিমালঅ প্রনয়ণে সংসদের ভূমিকা থাকতে পারে । দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রী যেকোন সময় নতুন মন্ত্রণালয় অথবা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করতে পারেন । এ কাজটি গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হওয়া দরকার । সুতরাং এই ক্ষেত্রে সংসদের অনুমোদনের বিধান করা হবে ।
১:৫: রেফারেন্ডাম বা গণভোট ব্যবস্থা সংবিধানে পুন:প্রবর্তন করা হবে । সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদের বক্তব্য-প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ; এবং জনগণের পক্ষে সেই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে কার্যকর হইবে’ । এটি সংবিধানের শ্রেষ্ঠতম বক্তব্য, কিন্তু পরিতাপ এই যে, প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিকদের রাষ্ট্রের কোন পর্যায়ে নির্দিষ্ট দিনে ভোট দেওয়া ছাড়া আর কোন ভূমিকা নেই । অত্যন্ত জটিল বিষয়ে বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের যেসব ক্ষেত্রে ঐক্যমত হচ্ছেনা অথচ হওয়া উচিত, সেক্ষেত্রে প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিকদের যথার্থ ভূমিকা পালনের ক্ষেত্র তৈরি করার লক্ষ্যে কোন কোন বিষয়ে জনমতের প্রকাশ ঘটিয়ে রেফারেন্ডাম ব্যবস্থার বিধান করা হবে ।
রাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রে (বৃদ্ধি):
১:৬: সংবিধানের ৪৬ (৫) অনুচ্ছেদকে পরিবর্তন করে রাষ্ট্রপতি যেন জাতীয় সংকটকালে প্রধানমন্ত্রী তথা সরকারকে পরামর্শ দান করতে পারেন-তার ব্যবস্থা করা হবে ।
১:৭: সংবিধান সংশোধণ করে রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রী অথবা মন্ত্রীপরিষদের সুপারিশ পুনর্বিবেচনার জন্য ক্ষমতা প্রদান করা হবে । তবে নিয়ম তরা হবে যে, এ ধরণের আদেশ নথি প্রা্প্তির ১৫ দিনের মধ্যে দিতে হবে । প্রধানমন্ত্রী কিংবা মন্ত্রীপরিষদ পুনর্বিবেচনা করে যে সিদ্ধান্ত দেবে সেই সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতিকে ১০ দিনের মধ্যে অনুমোদন করতে হবে । সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কারণ বিষয়টি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ঝুলিয়ে রাখা যাবে না । হয়তো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত থেকে যাবে তবু কোন কোন ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী কিংবা মন্ত্রীপরিষদ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার সুযোগ পাবে ।
১:৮:রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদের অধিবেশনে তাঁর কথা উচ্চারন করতে পারেন তার ব্যবস্থা তরা হবে । প্রতিবছরের প্রথম অধিবেশনে জাতীয় সংসদে মন্ত্রীসভা কর্তৃক তৈরি করা বক্তব্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের সূচনা করেন, এক্ষেত্রে তাঁর মতামত অথবা উপদেশের কোন সুযোগ নেই । জাতির অভিভাবক হিসেবে তিনি যেন এক্ষেত্রে তা২র কথা উচ্চারন করতে পারেন তার বিধান করা হবে ।
১:৯: সংবিধানের ৮০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদ কর্তৃক প্রনীত বিল আইনে রুপান্তরের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির সম্মতির বিধান রাখা হয়েছে । কিন্তু পঞ্চদশ সংশোধণীতে রাষ্ট্রপতির সম্মতির গুরুত্ব সংকুচিত করা হয়েছে ।
২:১: ক্ষমা প্রদর্শনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রীপরিষদ সুপারিশ করতে পারে কিন্তু সে সুপারিশ বাধ্যামূলক হবে না । রাষ্ট্রপতি ইচ্ছা করলে এ ধরণের সুপারিশ প্রত্যাখান করতে পারেন মর্মে বিধান করা হবে ।
২:২: প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের অপসারনের ব্যাপারে প্রধানমনত্রীর সুপারিশ বাধ্যতামূলক হবে না । রাষ্ট্রপতি অপসারণের প্রস্তাব গ্রহণ না করলে এ ধরণের সুপারিশ প্রত্যাখান করতে পারেন ।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭