ওরা মরে! বাবার হাতে ক্রুদ্ধ কুঠার,
ওরা মরে! মা'র হাতে দূর্লভ জল্পাই আচার।
প্রেমিকার মৃত্যুতে ওদের মৃত্যু হয়; বন্ধুর মৃত্যুতে।
শানানো ছুরি, দেশী পিস্তলের কর্কশ বাঁট,
দুহাতে তুলে উন্মাদ ত্রিশূল; ওরা মরে।
যায় যায়! ওরা মারা যায়!
মুখভঙ্গীমায় এক টুকরো বিষন্ন আলো জ্বেলে।
এইসব যুবকেরা! আহ! এভাবে বার বার মরে মরে,
মৃত্যুতে অনম্বর শান্তি পেয়ে- বেঁচে থাকে
ঘেমো বর্ষায়; দিগন্তে বিলীন মায়ের চোখের আদ্রতায়।
তপ্ত সে আদ্রতা; বাবার হাতে ধরা মুড়ি-মুড়কি
আর চিনির মোয়ায়- কোন এক নিরপেক্ষ
নিরুপদ্রব দুপুরে; চশমার ঝাপসা কাঁচে;
সময়ের সুর ছিঁড়ে বেঁচে উঠে যৎকিঞ্চিত
এইসব যুবকেরা।
ওদের ছোট্ট বোন ইস্কুলের ছাত্রী ছিলো যে;
মৃত্যুর মুহূর্তে- এখন শেষ বিকেলের ঘনিষ্টতায়
প্রেমিকের হাত ধরে হেঁটে যেতে যেতে;
দুর্লভ অমর স্থির চিত্রপট।
হয়ত মনে করে মৃত্যুকে জড়িয়ে ধরা;
ওর সেই যুবক-উদ্যত খড়গ ভাইয়ের কথা।
সেই এক লহমায়;এক ন্যানো সেকেন্ডের প্রয়োজনে
ওরা বেঁচে উঠে এইসব যুবকেরা।
ভাইয়া তোকে আমি মরতে দেবোনা; কক্ষনো না।
আহ্! কি যে অক্ষয় আনন্দ নিয়ে মারা যায়
ওদেরই একজন; কেনো যে?
কোনো মানে আছে কি,এইসব নিস্ফল মৃত্যুতে?
স্নানের পর বারান্দায় ভেজা চুল; বাঁকানো ঘাড়
আকাশের গায়ে আলতো চোখ রেখে;
দাঁড়িয়ে আছে যে নারী; সদ্য বিবাহিতা।
অকস্মাৎ তীব্র এক আলোকচ্ছটা এসে;
ভেদ করে চোখের শান্ত সীমারেখা।
নিউরোনে অস্থির এক যুবকের নিথর লাশ;
কিছু অনুচ্চারিত কথা-কিছু অপ্রকাশিত ভাবনা
দুলে উঠে...হঠাৎ যে কেন ওই শান্ত আদ্র চোখে
বেঁচে উঠে ওরা- এইসব যুবকেরা।
আমাদেরই কিয়দাংশ ওরা।
এইসব যুবকেরা।।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০১২ রাত ১:১২