সামনে আলোকিত দেয়াল,
পিচ্ছিল আলো জড়িয়ে আছে।
দেয়ালের নগ্ন শরীর-পেছনে একখানা জানালা
অন্ধকার!
ঝাঁজালো অন্ধকারে জানালার পাঁচটি আঙ্গুল
ভেঙ্গে গেছে; চোখ খুবলে খেয়েছে
কালো পিপড়ার দল!
পচা গলিত জানালার লাশ।
ডান পাশে দরোজা কাঁচের-সাত মাথা সাপ,
ওপাশে ক্রোধান্ধ আক্রোশে ফুঁসছে
দু’টো জ্বলন্ত সিগ্রেট-তীব্র আগুনের ছটা
কাঁচের দরোজা!
চৌকাঠে আগুনে আগাছা-কাঁটা।
আমার বাম দিকে দিগন্ত সমৃদ্ধ মাঠ;
মৃত জ্যোৎস্না পড়ে আছে ঐ মাঠে,
রক্তাক্ত; ব্রাশ ফায়ারে ঝাঁঝরা,
নাপাম বোমায় ঝলসানো জ্যোৎস্না; মাঠের পাহারায়।
বারুদের গন্ধ মাঠের শরীরে।
আমার উপরে পাহাড় আর আকাশ;
ক্রুর দৃষ্টি মেলে জেগে আছে।
বিদ্যুতের ফণা ছোবল মারছে,
মেঘ-মেঘের পশ্চাতে দানব মেঘ
জলের ঝলক!
অশরীরি মেঘ...এই খানে জন্ম থেকে আমি আছি।
কোন দিকে যাবো ? এই ভেবে বসে আছি।
আমাকে ডাক দেবে...
এই আকাঙ্খায় নিস্পৃহ আমি।
কালো জানলায় কখন শুভ্র আলো দেখবো?