জলপদ্মকে ঘিরে কিছু সম্ভাবনা ছিলো
নীলাভ রোদনের বুকে তুমি এক সিংহতারা
কোকাকোলার বোতলের শীতলতা সহ
তুমি ছিলে বিদ্যুতের তার।
জলপদ্ম তোমাকে দিলাম ব্যথার আকাশ
পথের আড়ালে পথ থেকে এনে দিলাম
ব্যথার তৈজস- তুমি কি ফিরিয়ে দেবে?
সতেরই জুলাই তুমি রুদ্ধ আকাশ থেকে
নেমে এলে- সাথে প্রভাবিত করার সমস্ত কৌশল,
এবং কৃতকার্যতা নিয়ে ফিরে গেলে;
অলৌকিক আড়ালে- তুমি এলে
গোপন বোতল থেকে বেরিয়ে এলো,
আমার সমস্ত ভন্ডামী-খুলে গেলো পুষ্পদ্বার।
ভেসে এলো শতবর্ষের সুগন্ধী...জীবন
নতুন জীবনোপলব্ধি- কবিতার ভেতর রুপালী তুফান
কেনো এই সব লুকায়িত প্রচ্ছদ, কেনো?
তুমি কি স্বর্গীয় নারী?
স্বর্গের সুখ দিলে পাপবিদ্ধ জেসাস; আমাকে।
এলে, তবে কেনো ফিরে গেলে?
ফিরে গেলে একলা পৃথিবীতে ফেলে-এই
ভবঘুরে আমাকে।
আমিতো তোমাকে দেখিনি এত বছর
ওহ! এত বছর কি নিঃসঙ্গ যন্ত্রনা ছিলো
মেঘ আর মেঘান্তরে- আকাশের অন্তরেও
সেই দুঃখ ছিলো নীলের আড়ালে।
ছিলো নাকি? এই বলে তুমি কি হাসবে একাকী?
হেসো, হেসে নাও হংস বালিকার মত
জলপদ্ম হয়ে-একা একাই হেসো।
হেসে উড়িয়ে দিও নিওরোনের তাবৎ স্মৃতি
আমাকে ঘিরে।
আমি এক বিলুপ্ত নদী; খরায়, তাপে নাব্যতা হারিয়ে
এখন হারালাম জলপদ্ম কে।
জলপদ্ম তোমাকে ঘিরে অনেক স্বপ্ন ছিলো
ইচ্ছে ছিলো, মৃত্যু ছিলো-জন্ম ছিলো।
বালির মত ঝুরঝুর এই থাকাথাকি
ভেতরে সভ্যতা এনেছে-লৌকিকতা ছেড়ে
ক্রমশঃ সভ্য হয়েছি- আমি অন্ধ হয়ে গেছি
তোমার চাক্ষুস প্রভায়।