ইহা একটা জুরমিস টাইপ লিখা। এই লিখাটা লিখার সময় খাতা কলম নিয়ে বসছিলাম। ভাবছিলাম আজ কলমের কালি শেষ করে লিখে উঠব।
আমার আবার লিখার সময় বিড়ি সিগারেট দরকার হয়ে পড়ে। বিড়ি টেনেটুনে অ্যাস্ট্রাগুলো উড়িয়ে খাতা ধুসর করে তারপর লিখা শুরু করি।
হঠাৎ খেয়াল পড়ল। বিড়ি ব্যাতিত বিড়ির প্যাকেটও নাই চোখের সামনে। ইচ্ছা করতেছে খাতা ছিড়ে জলে ডুবে চিবিয়ে চিবিয়ে খেয়ে ফেলি। বিধিবাম তাহা উন্মাদের কাজ। আমার নহে।
কয়েকদিন আগেই কলমটা গিফট দিয়েছিল হৃদয়ের বালা। গিফটা দেওয়ার সময় স্বভাবতই জিজ্ঞেস করেছিলাম কয় টাকা নিল। বিশ টাকা নাকি নিয়েছে।
এখন পকেটে মামা থেকে চুরি করা দিয়াশলাই ছাড়া কিছু আর কিছু নাই। বিড়ি না পাইলে আমার মস্তিষ্কে ভাবনা আসেনা। খাতায় কলমের কালি কুঁচাতে পারিনা।
বিড়ি কেনা প্রয়োজন। নাহলে আমার মাথা ব্যাথা ধরে যায়। মস্তিষ্কের নিউরনগুলো বারবার খবর পাঠাচ্ছে। হাতে কলমটা বিক্রি করে দিলেই হাতে টাকা চলে আসবে। হাতে টাকা আসে মানে বিড়ির সাথে সাক্ষাৎ নিশ্চিত।
লিখার চিন্তা বন্ধ করে দিয়ে ছোটাপুর কাছে ছুটলাম। আপুকে বলতেই কলমটা কিনে নিল পনের টাকা দিয়ে।
আমি এখন একটা ভাঙাচোরা টঙের সামনে। পাঁচটা ডারবি নিব। তিনটাকা করে পনের টাকা আসছে। টাকা দোকানওয়ালার হাতে গুজে দিয়ে ধুর মারলাম বাড়ির দিকে বিড়িগুলো পকেটে ভরে। আমার ছাদের উপর গোপন আস্তানায়।
টেবিলের উপর খাতাটা ঝিম ধরে শুয়ে আছে। তার পরাণের বন্ধু কলম তাকে ছেড়ে চলে গেছে।
খাতার উপর আমারও আর রুচি নাই। অবাধ্য হয়ে মোবাইলটা টেনে নিলাম। নোট এপস টা খুলে লিখতে শুরু করলাম। আমার জুরমিস টাইপ লিখা।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৮