কবিতাটি আরো পড়ুন: বিসর্গ ব্লগ এবং ফজলে এলাহি ডট কম
পার্থিবতাকে আগলে ধরে ক্রমাগত সরিয়ে দিচ্ছি অপার্থিবকে
অদৃশ্যকে, অবাস্তবকে, 'কেউ কেউ বলে' কিংবা 'শুনেছি' জাতীয় উদাহরণে
অথচ প্রতিনিয়ত পার্থিব হতে অপার্থিবে পাড়ি জমাচ্ছি, আমার মানব।
যদি দৃশ্যমানই হবে জীবনের চৌহদ্দি, তবে কেন 'বিশ্বাস' শব্দটির জন্ম হলো?
'প্রকাশ্য' শব্দের সাথে 'বিশ্বাস'-এর সংঘর্ষ চিরন্তন, বাঁধবে অনন্তকাল
ঈমানের নিগুঢ় রহস্য দানা বাঁধে এখানেই; অদৃশ্যের সাথে, অবাস্তবে, অপার্থিবে।
ক্ষণে ক্ষণে বদলায় দৃশ্যমান প্রেক্ষাপট, উপমা, উদাহরণ, সূত্রের বন্ধন
বিশ্বাসের প্রেক্ষিতে সৃষ্টি করে রাশি রাশি সংশয়, সন্দিহান হয়ে উঠে সমগ্র মনন;
কাল বেলার আশ্বাসে কে বসে থাকবে কতটা কাল, কে জানে সময়ের সমগ্রতা।
বিচ্ছিন্ন দিনকাল ফের গুলিয়ে উঠে বিশ্বাসের কড়াইয়ে, তৈরী হয় পাঁচন
পাঁচনীয় বিশ্বাস গলধাঃকরণ করে বেঁচে থাকি এই বস্তুবাদী নিরস পৃথিবীতে।
তবু আসমান হতে নাযিল হতে থাকে আশ্বাসের বাণী চিরন্তন, শুরু হত শেষ
আদম হতে মুহাম্মাদ (সা), কোন এক সহীফা হতে আল কুরআন:
ফিরে এসো! ফিরে এসো! কোথায় যাচ্ছ? কে তোমাকে বিভ্রান্ত করছে?
আমি ফিরে আসি, অবনত হই, চিত্তকে রঙিন করি মনিবের রঙে
প্রচেষ্টার সবটুকু শক্তি প্রয়োগ করে টেনে ধরি জীবন ঘোড়ার লাগাম;
খটাখট্, খটখট্; এভাবেই নিয়ন্ত্রিত হতে হতেও হয়ে পড়ি সামালহারা।
মূলত: নিরবচ্ছিন্ন গতির সাথে বিশ্রামের সুসম্পর্কই নিয়ন্ত্রিত ধারা
জীবনের সাথে সময়ের ভারসাম্যতাই সত্যিকারের নিয়ন্ত্রণ;
পার্থিবতা এবং অপার্থিবতার মাঝে এক সুনিপুণ সমঝোতা।
২৬ এপ্রিল ২০১০
মদীনা মুনাওয়ারা, সউদী আরব।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০১০ বিকাল ৪:০৯