লেখাটি আরো পড়ুন: বিসর্গ ব্লগ এবং ফজলে এলাহি ডট কম থেকে।
প্রতিনিয়ত পিষ্ঠ হতে কার ভাল লাগবে? কারুরই না। তবু মানুষের জীবনে, হয়ত কারো কারো জীবনে, বারবার ভাগ্য হয়ে ফিরে আসে পিষ্ঠ হওয়া। না, এখানে ডানলোপ কিংবা হানকোকের টায়ারে পিষ্ঠতার কথা বুঝানো হচ্ছে না। বরং মানসিকভাবে, শ্রম মাধ্যমে, বাক ব্যবহারে, অধিকার আদায়ে প্রতিনিয়ত সবল কর্তৃক দুর্বলের প্রতি যে পিষ্ঠন প্রক্রিয়া; আমি তার কথাই বলছি। তিনি, যে কেউ হতে পারেন, একজন পদের লোক, হয়েছেন, তাতে কি? তাই বলে কি বাকী সবাই 'লোক' নন? তিনি এমনটাই ভাবেন কিংবা আমাদের তৈরী সমাজ তাকেও এ শিক্ষাই দিয়েছে যে, অধঃস্তনদের 'লোক' ভাবতে নেই। নিছক কোন জড় পদার্থ কিংবা আধুনিক রোবট ভাবতে পার। তবে জড় পদার্থের চেয়ে রোবট বলাই যুক্তির কাছাকাছি। কারণ, জড় পদার্থে বাক নেই, রোবটে যা সম্ভব হচ্ছে দিনে দিনে। বিবেকবোধ শূন্য রোবটের পক্ষেই সম্ভব ন্যায় অন্যায় বোধহীন হওয়া। হাঁ, বাধ্য হয়ে কেউ কেউ নির্বোধ হয়ে যান। কিন্তু তা যে কতটা কষ্টের, কেবল ভুক্তভোগীই তা জানেন।
কি নির্লজ্জ ভাবে মানুষ একথা বলতে পারে, তা এর পূর্বে আমার জানা ছিল না। অথচ আশ্চর্য হলাম এই দেখে যে, ব্যাপারটি যেন আমিই জানি না; বাকী সবাই মোটামুটি জানে ও মানে। কর্তা ব্যক্তির ভুল হলেও ভুল নয়, আমাকে বলতে হবে তিনিই 'শুদ্ধ'(?)। কি নির্লজ্জ প্রহসন! শুধু 'তিনি'র মুখ থেকে নয়; প্রায় বাকী সকলের মুখ থেকেই একথা শুনতে হলো যে, 'তিনি কর্তা, তিনি যা বলবেন তা ভুল হোক আর শুদ্ধ হোক 'জি হুযুর' বলে যেতে হবে'।
ভাবলাম, ভাবছি এখনো, ওরাই বদলে গেল? না কি আমিই এখনো শিশু র'য়ে গেলাম, যে কিনা সহজ-সরলতার বাইরে আর কিছু ভাবতেই শিখিনি!